দৈনন্দিন জীবনে আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা কী

 

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যারা জানতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি। কম বেশি আপনারা সকলেই জানেন আমলকি আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তাই এই আর্টিকেলটির মধ্যে আমলকির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

আমলকির-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বেশ উপকার দেখা দিয়ে থাকে। কিন্তু এই উপকারিতার পাশাপাশি আবার কিছু অপকারিতা আমরা দেখতে পারি তাহলে চলুন নিম্নে আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

সূচিপত্রঃ আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মধ্যে সকল বিষয় নিয়ে তুলে ধরা হবে। সুস্থ দেহ ও সুস্থ মন সকলেরই কাম্য। আর তাই আমরা সকলেই আশা করি যে আমাদের দেহ ও মন সুস্থ রাখার জন্য আমাদের খাদ্য তালিকাতে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সুস্থতার আশা করতে পারি। আর তেমনি একটি উপকারী ভেষজ হল আমলকি। 


এই আমলকি আমরা অনেকভাবে খেতে পারি এবং আমাদের ত্বকের ব্যবহার করতে পারি এতে করে আমাদের অনেক উপকার হয়ে থাকে। আপনি প্রতিদিন একগাদা করে ঔষধ না খেয়ে অভ্যাস করুন প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে আমলকি অথবা আমলকির বিচি খাওয়ার। এর বাইরেও আমলকির গুঁড়া দিয়ে রান্নার সাথে ব্যবহার করে খাওয়া আবার আমলকির মোরব্বা তৈরি করে খাওয়া। 

আপনি যেভাবে খান বা আপনার ত্বকে মাখন সেভাবেই উপকার পাবেন। এখন আলোচনা করব আমলকি খেলে আমরা কি কি উপকার পেতে পারি এবং পাশাপাশি কি কি অপকারও পেতে পারি তবে আমলকি খাওয়ার অপকারের চেয়ে উপকারী বেশি। আর আমলকির সে সকল বিষয় নিয়েই থাকছে এই আর্টিকেল টি তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 
  • চুল লম্বা করতেঃ আমলকি চুলের টনিক হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। আপনার চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য আমলকি হতে পারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উপাদান। এটি শুধু আপনার চুলের গোড়াকেই মজবুত করবে না পাশাপাশি চুল পড়া বন্ধ করবে এবং চুল লম্বা করতে সাহায্য করবে।
  • খুশকি দূর করতেঃ যাদের মাথায় অতিরিক্ত খুশকির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে। প্রতিদিন বা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করে যদি চুলে এই আমলকির পাউডার পানিতে মিশিয়ে লাগাতে পারেন এবং ২-৩ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করেন তাহলে আপনার মাথার খুশকি দূর হয়ে যাবে।
  • পাকা চুল রোধ করেঃ কিছু মানুষ রয়েছে যাদের পরিণত বয়সের আগেই চুল পেকে মাথা সাদা হয়ে যাচ্ছে। লজ্জায় কারো সামনে যেতে পারেনা তাদের জন্য আমলকি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত চুলে মাখার জন্য আপনার পাকা চুল উঠা কমে যাবে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করেঃ আমলকি খাওয়ার কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে।এছাড়াও আপনার পেটে যে সকল সমস্যা রয়েছে এসব সমস্যাকেই দূর করবে আমলকি। 
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতেঃ আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে নিয়ম করে প্রতিদিন এক ডলার দুধের সাথে অথবা এক গ্লাস পানির সাথে দুই চামচ আমলকির পাউডার মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে দেখবেন কত তাড়াতাড়ি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়েছে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কালো দাগ দূরঃ যাদের ত্বক দীর্ঘদিন ধরে ব্রণ উঠে কালো দাগ হয়ে গেছে তাই এই কালো দাগ দূর করতে কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে আপনার জন্যই সহজ উপায় হলো আমলকি ব্যবহার করা। আপনি নিয়মিত আমলকি বেটে এর রস এবং একটু মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার মুখের কালো দাগ দূর হবে এবং তাকে উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
  • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ আপনাদের যাদের চোখে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ চোখে কম দেখা, চোখের নিচে কালো দাগ পড়া, চোখ জ্বালাপোড়া বা চুলকানির মধ্যে থাকা এ ধরনের সমস্যা দূর করতে আমলকির ব্যবহার অনেক উপকার নিয়ে আসবে। এতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যা আপনার চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। 
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ যাদের মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ কথা বলার সময় দেখা যায় যে মুখ দিয়ে গন্ধ বের হচ্ছে তাদের জন্য আমলকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নিয়ম করে আমলকি খেতে পারলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি আপনার দাঁতের সমস্যা ও দূর হবে।
  • মুখের রুচি বাড়াতেঃ আপনারা যারা গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন তাদের মুখে একদমই খাবারের রুচি থাকে না বা এমনিতেও অনেকের খাবারের প্রতি অনীহা দেখা যায়। তাদের জন্য এই টক জাতীয় ফলটি মুখে চিবিয়ে খাওয়া অনেক উপকারী এতে করে মুখের স্বাদ ফিরে আসবে। আবার আপনি চাইলে আমলকির মোরব্বা বানিয়ে বাসায় রেখে বেশ কিছুদিন খেতে পারেন। 
  • শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করেঃ নিয়মিত আমলকি খাওয়ার কারণে আপনার মানসিক চাপ, বদহজম, বমি বমি ভাব, কাশির সমস্যা, চুল পড়া সমস্যা, এসিডিটির সমস্যা, অ্যাজমার সমস্যা, মাথা ব্যথার সমস্যা, সর্দি কাশি, পেট ব্যথা সহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্মূল করে থাকে এই আমলকি।
  • প্রসাবের সমস্যা দূর করেঃ যাদের প্রসাবে ইনফেকশন সহ বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমলকি খেলে এ সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখা মুত্রাশয় পরিষ্কার রাখা ও গর্ভাবস্থায় কে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে এই আমলকি। 
  • মাসিকের সমস্যা দূর করেঃ যে নারীদের মাসিকের সমস্যা রয়েছে তারা যদি নিয়মিত আমলকি খেতে পারে তাহলে তাদের মাসিক ক্লিয়ার হবে। কারণ আমলকির মধ্যে এমন কিছু খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন রয়েছে যার ফলে মহিলাদের মাসিক ঠিক হয়ে যায়।
  • বয়সের ছাপ পরতে দেয় নাঃ আমলকির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার মাধ্যমে আপনার চেহারার মধ্যে বয়সের সাব পড়তে দেয় না অর্থাৎ আপনার ত্বকের কোষগুলোতে সতেজতা ধরে রাখে। 

আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

এবার আলোচনা করব অতিরিক্ত আমলকি খেলে বা অনিয়ম করে খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি দেখা দিতে পারে সে সকল বিষয় নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। গবেষকরা আমলকির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে তেমন কিছু ব্যাখ্যা দেননি কিন্তু এরপরেও আমলকির মাঝে কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেটাই তুলে ধরবো।
  • হাইপার এসিডিটির সমস্যাঃ আপনার যদি পূর্ব থেকে হাইপার এসিডিটির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার এই ফলটি খাওয়া উচিত হবে না।
  • মোটা হওয়ার সম্ভাবনাঃ আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খেতে থাকেন এতে করে আপনার অনেক ওজন বেড়ে যাবে এবং একপর্যায়ে মোটা হয়ে যাবেন। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে স্বাভাবিক খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারেঃ আমলকি এর ব্যবহারে অনেকের মাঝে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও পেট ব্যথা, মুখের ভিতরে জায়গায় জায়গায় ফুসকুড়ি ওঠা, মাথাব্যথা ও মাথা ঘুরা এ ধরনের সমস্যা একটু একটু দেখা দিতে পারে তবে সকলের ক্ষেত্রে নয়।
  • প্রসাবে জ্বালাপোড়াঃ অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকি খাওয়ার কারণে আমাদের প্রসবের জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তাই আমরা চেষ্টা করব অল্প কিছু খাবার বা স্বাভাবিকভাবে খাবার।
  • সার্জার এর আগে পরে খাওয়া ক্ষতিকরঃ আমাদের যখন কোন কারণে শরীরে সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে তার আগে বা পরে যদি আমরা এই আমলকি খাই তাহলে সেই কাটা জায়গাটুকু পেকে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। কারণ আমলকির মধ্যে এক জাতীয় টক রয়েছে যার ফলে সেখানে পেকে সম্ভাবনা রয়েছে। 

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আমরা কাঁচা আমলকি খেয়ে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক উন্নয়ন করতে পারি। কাঁচা আমলকি খেতে একটু টক হওয়ার কারণে অনেকেই লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেতে পছন্দ করে আবার অনেকেই টক হওয়ার কারণে কাঁচা আমলকি খেতে চায় না। কিন্তু এই কাঁচা আমলকি আপনার আমার জন্য যে কতটা উপকারী হতে পারে চলুন সেটাই দেখা যাক। 

একটি আমলকি কমলার চেয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ, আপেলের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুন, কলার চেয়ে ৩০ গুন বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আর আমাদের শরীরে অবশ্যই ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয়তা অনেক দরকার। কারণ আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব হলে চোখে কম দেখা থেকে শুরু করে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

এছাড়াও যাদের দিন দিন খাবারের প্রতি অরুচি হচ্ছে বা খাবার খেতে থাকলে বমি ভাব আসছে তাদের জন্য আমলকি খাওয়ার জুড়ি নেই। আপনি এই সকল উপকার গুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে দিনে কমপক্ষে দুটি করে কাঁচা আমলকি খেতে হবে। এরপরে আবার যারা রক্তশূন্যতায় বহুদিন ধরে ভুগছেন পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। 

তাদের জন্য আদর্শ ভেষজ উপাদান হলো আমলকি।আপনি যদি আরও ভালো উপকার পেতে চান তাহলে আমলকির সাথে ত্রিফলা ও বহেড়া একসাথে পানিতে মিশিয়ে রাতে রেখে দিবেন। এরপর সকাল বেলায় সেই পানি পান করবেন। তাহলে দেখবেন যে কত দ্রুত তার সাথে আপনার সমস্যাগুলো নিমিষেই দূর হচ্ছে। 

আমলকির গুড়া চুলে দিলে কি হয়

আমাদের মধ্যে থাকা খুব কমন একটি সমস্যা হল চুল পড়া। দেখা যাচ্ছে কম বেশি সকলেরই মধ্যেই এই প্রবলেম ফেস করতে হচ্ছে। হয়তো কোন সময় আবহাওয়া জনিত কারণে বা পানির কারণে হয়ে থাকেন। আবার আমাদের শারীরিক বিভিন্ন তার কারণে চুল করার সমস্যা দেখা যায়। তাই সকলেই চায় এই চুল পড়া রোধ করতে এবং ঝলমলে চুল পেতে। 

আর তাই আমাদের চুল পড়া রোধ করতে এবং সুন্দর চুল পেতে আমলকির গুড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আমরা যদি নিয়ম করে আমলকির গুড়া চুলে মাখতে পারি এতে করে খুব দ্রুততার সাথে দেখা যাবে যে চুল পড়া বন্ধ হচ্ছে। এখন চলুন জেনে নেই যে কিভাবে আমলকির গুড়া চুলের মাখতে হবে। প্রথমে আপনি যদি শুকনো আমলকি কিনে থাকেন তাহলে সে আমলকি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন। 


এবং সকালবেলা সেই ভিজিয়ে রাখা আমলকি গুলো শিলপাটা অথবা ব্লেন্ডারের বেটে নিবেন এক কথায় একটা পেস্ট তৈরি করবেন এবং তার পূর্বে আমলকির বিচি গুলো বের করে নিবেন। এরপরে সেই টেস্টের মধ্যে একটু লেবুর রস ও একটু অ্যালোভেরা মিক্স করে আপনার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত দিবেন। এবং দেওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টা পর যখন আপনার চুলগুলো শুকিয়ে যাবে। 

তখন নরমাল পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন আর এভাবে যখন আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করবেন এতে করে খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন। আবার আপনি চাইলে শুকনো আমলকি কিনে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে একটি বয়ামে করে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে পারেন।আবার অনেকেই রয়েছে যারা আমলকির গুড়া বিভিন্ন তরকারির সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। এটি করলেও অনেক লাভ হবে। 

আমলকি কি ত্বকের জন্য উপকার

হ্যাঁ বন্ধুরা আমলকি আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। ত্বক কে ভালো রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। আমরা আমাদের তাকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন কত ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু বাহির থেকেই ভালো রাখার চেষ্টা করলে হবে না বরং ত্বকের ভিতর থেকে ভালো রাখতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে। 

এতে করেই আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে। আপনারা কি জানেন ত্বক ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত এবং এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া দরকার। আর এ খাবারগুলো খাওয়ার পাশাপাশি রয়েছে আমলকির ব্যবহার। আপনি যদি সব দিক দিয়ে সঠিকভাবে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বক ভালো থাকবে। 

আমলকির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা ও বিভিন্ন যৌগ। আর তাই এই ফলটির নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাহলে চলুন জেনে নেই যে আমলকি আমাদের ত্বকের জন্য কি কি উপকার করতে পারে।

ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে 

আমলকি ভিটামিন সি যুক্ত একটি ভেষজ উপাদান। আমলকির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রী রেডিকেল এর মাধ্যমে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। যার ফলে আমাদের ত্বক অনেক ভালো থাকে এবং বার্ধক্য দূর করে।

কোলাজেন উৎপাদন করে

ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য। কোলাজেন হলোএক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের স্থিতিশীলতা ঠিক রাখে। আর তাই নিয়মিত আমলকি খেলে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনের সাহায্য করে। আর এভাবেই আমরা সুন্দর ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারি।

কালো দাগ কমায় 

আমলকির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের কালো দাগ কমায় এবং পাশাপাশি পিগমেন্টেশন এর দাগও কমায়। এছাড়াও দাগ কমানোর পাশাপাশি আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করে। 

সূর্য থেকে রক্ষা করে

আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে যার ফলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি গুলো দূর করতে সহায়তা করে।আমলকির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রসের মাধ্যমে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অতিরিক্ত স্তর তৈরি করে। আর এ কারণেই সূর্যের খারাপ রশ্মি থেকে আমাদের ত্বক কে সহজেই বাঁচিয়ে রাখা যায়। 

আমলকি খেলে পেটের কি কি সমস্যা দূর হয়

একটি মাঝারি আকারের কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি যুক্ত রয়েছেএকটি ছোট আমলকিতে। আমলকি খেয়ে আপনি আপনার হাজারো সমস্যা দূর করতে পারেন খুব সহজেই। পেটের হজম শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব যদি প্রতিদিন নিয়ম করে একটি বা দুটি করে আমলকি খেতে পারেন। 

আয়ুর্বেদিক এর মতে আমলকির এতটাই গুনাগুন রয়েছে যে এটি খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের মত গুরুতর সমস্যা ও দূর করা সম্ভব। এছাড়াও আমলকি খাওয়ার কারণে আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। আমলকি হল টনিক জাতীয় ফল আর তাই এই ফলটি খাওয়ার কারণে আপনি পেটের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 

আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগেন তাহলে কোন কথা ছাড়াই আপনার খাদ্য তালিকাতে একটি করে আমলকি বেছে নিন এতে করে কোন ওষুধ খাওয়া ছাড়াই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হবে।আমলকি খেয়ে পেটের কি কি সমস্যা দূর করবেন তরুণ একটু জেনে নেই।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়
  • এসিডিটি ভালো হয়ে যায়
  • পেট ফাঁপার সমস্যা দূর হয়
  • পেটের পিরা রোগ ভালো হয়
  • পিত্তথলে ভালো থাকে
  • রক্তকে বিশুদ্ধ করে
  • শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া বের করে আনে

প্রতিদিন আমলকি খেলে কি কি হতে পারে

প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার কারণে আপনি বড় বড় রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। ঠিক তেমনি একটি রোগ হলো পিত্তথলিতে পাথর জমা হওয়া। আপনারা অনেকেই জানেন না যে পিত্তথলিতে যে পাথর জমা হয় সেই পাথর দূর করা সম্ভব এই আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে। আমাদের এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে আমরা দেখা যায় যে প্রাকৃতিক কোন ভেষজ উপাদান খাই না। 

বরং দৌড়ে ডাক্তারের কাছে চলে যায় এবং গাদা গাদা ঔষধ খাই। কিন্তু সকলের বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা রাখা উচিত যে পিত্তথলিতে পাথর জমা হলে অবশ্যই প্রথমে আমাদেরকে আমলকি খেতে হবে।আমলকি খাওয়ার ফলে এই সমস্যার সমাধান ছাড়াও আমরা আরো যে সকল সমাধান পেতে পারি চলুন নিম্নের দেওয়া যাক।
  • সর্দি কাশি প্রতিরোধ করা যায়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
  • পেটের মেদ কমায়
  • চুল সুন্দর করে
  • শরীরের ব্যথা দূর করে
  • রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে
  • আয়রন আ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে
  • হার্ট সুস্থ রাখে
  • চাপমুক্ত রাখে

গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমলকির গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা গর্ভবতী মায়েদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে একজন মায়ের রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। বমি বমি ভাব লেগে থাকে।
 
আয়রনের ঘাটতি হয়ে যায়। আর এই সব কিছু মিলিয়ে এই সময়টাতে অবশ্যই সেই মাকে এমন কিছু খাবার খাওয়ানো উচিত যা অল্প পরিমাণে খাওয়ার ফলেও সকল গুনাগুন পেতে পারে। আর ঠিক তেমনি একটি ভেষজ উপাদান বা ফল হল আমলকি। তাহলে চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে। 
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা একজন গর্ভবতী মায়ের রগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
  • অলসতা দূর করেঃ এই সময়টাতে একজন হব মায়ের শরীর খুবই ক্লান্ত হয়ে যায়। অলসতা অনুভব করে এবং কোন কাজ করতেই মন চায় না। আবার মেজাজ ও খিটখিটে হয়ে যায় তাই এই সময়ে আমলকির রস খাওয়া উচিত যেন তার মুখে খাওয়ার রুচি ফিরে আসে।
  • আয়রনের ঘাটতি দূর করেঃ গর্ভবতী মায়েদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের দরকার হয় কিন্তু এই সময়টাতে তারা সব ধরনের খাবার না খেতে পারার কারণে তাদের আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এই টক জাতীয় ফলটি মুখরোচকভাবে খাবার ফলে অনেক উপকার হয়। 
  • হাত পা ফুলে যাওয়াঃ গর্ভবতী মায়েদের দেখা যায় ৬ মাস বা ৭ মাস থেকে তাদের হাত বা বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি থেকে ফুলতে শুরু করে আর তাই এই সময় আমলকি খেলে এই ফুলাকে নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি গর্ভবতী মায়েদের রক্তকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা স্বাভাবিক রক্তচাপকে ধরে রাখে এবং রক্তচাপ বাড়তে দেয় না।
  • মাড়ি থেকে রক্ত পড়াঃ গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের দাঁতের গোড়ালি থেকে রক্ত পড়ার সমস্যা দেখা যায়। আর তাই এ কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। আর তাই ভিটামিন সি যুক্ত আমলকি খাওয়ার কারণে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। 
  • শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশঃ গর্ভাবস্থায় সেই মা যদি নিয়মিত আমলকির জুস খেতে পারে এতে করে তার অনাগত সন্তানের মস্তিষ্ক অনেক ভালো হবে। 

আমলকি কিভাবে ও কখন খাবেন

অনেকের মনের প্রশ্ন রয়েছে যে আমলকি কিভাবে খাব এবং কখন খাব যেন দ্রুততার সাথে ফলাফল পেতে পারি। তাদের উত্তরে বলতে পারি যে আপনি আমলকি খাওয়ার সময় কাঁচা আমলকি কেই বেছে নিবেন। কারণ কাঁচা আমলকি আপনার জন্য বেশি উপকারী হতে পারেন। শুকনো আমলকি খেতে গেলে সেখানে আপনাকে কিছু নুন মিশিয়ে খেতে হবে। 


আর সেই নুন আপনার জন্য কিছু ক্ষতিকর দি ক নিয়ে আসতে পারে। এছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন দু-একটি করে কাঁচা আমলকি চিবিয়ে খেতে পারেন এতে করে এই সমাধান বেশি পাবেন। এবং এটি খেতেও একটু টক যা অনেকেই আনন্দের সাথে বা মজা করে খেয়ে থাকেন। এবার জানবো যে আমলকি কিভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। 

আপনি সকালে খালি পেটে ওঠে আমলকি কুচি করে কেটে একটু পানির সাথে গরম করে সেই পানিতে জুস হিসেবে খেতে পারেন। আবার আমলকি এমনিও মুখে চিবিয়ে খেতে পারেন। অনেকে আমলকি তরকারি হিসেবেও খেয়ে থাকে। শুকনো আমলকীয় পানির সাথে গুলিয়ে খেতে পারেন। 

তবে শুকনো আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি এর মাত্রা কিছুটা কম থাকে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন সকালে খালি পেটে বা দুপুরে খাবার পরে যে কোন সময় কাঁচা আমলকি মুখে চিবিয়ে খাওয়ার। এতে করে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়ে থাকবে আপনার। 

শুকনা আমলকি কিভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন

আমরা যখন আমলকি আমাদের ত্বকে ব্যবহার করব তখন শুকনোটাও করতে পারি। শুকনা আমলকি আমাদের তাকে ব্যবহার করলে এবং কিভাবে করলে কি ফলাফল পাওয়া যাবে সেটা নিয়েই এখন আলোচনা করা হবে। বর্তমান সময়ে আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা রূপচর্চার জন্য অনেক টাকা খরচ করে দামী প্রসাধনী ব্যবহার করছেন। 

কিন্তু আপনি চাইলেই হাতের নাগালে খুব অল্প টাকা খরচ করে এবং নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করার কারণে অনেক সুন্দর উপকার পেতে পারেন। ঠিক তেমনি হল আমলকি যার ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি সুন্দর ও মসৃণ ত্বকের অধিকারী হতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই যে আমলকি ত্বকের ব্যবহার করলে কি কি উপকার হবে। 
  • ব্রণের দাগ দূর করেঃ আপনি শুকনো আমলকি পাটায় বেটে বা পেস্ট বানিয়ে এটি মুখে মাখিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন। এতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজে আপনার মুখের দাগ দূর হবে।
  • ত্বকের মরা কোষ দূর করেঃ আপনি চাইলে আমলকির স্কার্ব ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখে বা ত্বকে যে মরা কোষগুলো রয়েছে তা দূর হবে এবং টানটান ভাব আসবে।
  • চুল পড়া রোধ করেঃ চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আপনি পরিমাণমতো শুকনো আমলকি একটু পানিতে ফুটিয়ে তারপরে তার বিচি ছাড়িয়ে সে আমলকি দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন।সেটি আপনার চুলের গোড়ায় ভালো করে মাখিয়ে সপ্তাহে দুই দিন নিতে পারেন। এতে করে আপনার চুল পড়া খুব সহজেই বন্ধ হবে।
  • আমলকির তেলঃ আমরা খুব সহজেই কিন্তু ঘরোয়াভাবে আমলকির তেল তৈরি করতে পারি।আমলকির রস ও নারকেলের সাথে ফুটিয়ে সেই তেলকে ঘরে রেখে নিয়মিত তুলে মাথার ফলে আমাদের চুল অনেক ঝলমলে হয়। সাথে সাথে চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজায়। 

আমলকির বীজ খেলে কি ক্ষতি হতে পারে

আমলকি যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তেমনি আমলকির বীর্য আমাদের শরীরের উপকারের জন্য অনেক কাজে আসে। আমরা সকলেই জানি যে বর্ষাকালে রোগবৃদ্ধি পায়। যে কোনোভাবে মানুষ সংক্রমিত হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর তাই এই সময়ে আমলকির বীজ খাওয়ার ফলে আপনি এই সংক্রমণের হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন। 

আমলকির বীজে এমন কিছু উপকারী ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা খাওয়ার ফলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে।এছাড়া আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে বের করে আনে। যার ফলে আমাদের শরীরকে সহজেই সংক্রমিত হওয়া থেকে দূরে রাখে।বাঙালির আরও একটি কমন সমস্যা হল বদহজম। 

অনেকেই রয়েছে খাবার খাওয়ার পরে সহজে হজম হতে চায় না। তাদের জন্য আমলকির বীজ অনেক উপকারী। আবার আমরা ত্বকের যত্নে যেরকম আমলকির রস ব্যবহার করে থাকি তেমনি কিন্তু আমলকির বীজও আমাদের ত্বকের অনেক উপকারি  হয়ে থাকে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন আমলকি খাওয়ার পাশাপাশি এর বীজও খেতে। 

আমলকির সিরাপ খেলে কি মোটা হওয়া যায়

আপনারা অনেকেই রয়েছেন যাদের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে সত্যিই কি আমলকি সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায়। তাদের জন্যই এই আর্টিকেলটিতে এখানে আলোচনা করা হবে। যাদের প্রশ্ন রয়েছে যে আমলকির সিরাপ খেলে কি মোটা হওয়া যায় তাদের উত্তরে এক কথায় বলবো যে না। অর্থাৎ সরাসরি মোটা হওয়া যায় না কিন্তু পরোক্ষভাবে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

পরোক্ষভাবে বলতে বোঝানো হচ্ছে যে যাদের মুখে খাবারের রুচি নেই তাদের মুখে খাবারের রুচি ফিরিয়ে আনার জন্য এই ভিটামিনটি খাওয়ানো হয়। এক কথায় একজন মানুষ যখন বেশি খাবার খেতে পারে তখন তার শরীর ফুলে যাবে বা মোটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর সেখান থেকেই মানুষ মনে করে থাকে যে আমলকির সিরাপ খেলে মোটা হওয়া যায়। 

এর মূল কথা হলো আমলকির সিরাপ খেয়ে মানুষের খাবারের প্রতি রুচি বাড়ে যার ফলশ্রুতিতে মানুষ অনেক সময় মোটা হয়ে যায়। আমি প্রথমে উত্তরে বলেছিলাম যে এটি খেলে সরাসরি মোটা হওয়া যায় না। এ কথাটি বলার কারণ হলো যে আপনি যখন এই সিরাপটি খাওয়া বন্ধ করে দিবেন তখন কিন্তু ঠিক আগের মতই খাবারের রুচি হারিয়ে যাবে। আর আপনিও আবার আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাবেন। যে কারণেই বলা হয়েছে যে সরাসরি মোটা হয় না বরং পরোক্ষ ভাবে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

FAQ আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ প্রতিদিন আমলকি খেলে কি হয়?
উত্তরঃ প্রতিদিন আমলকি খেলে আপনার পেপটিক আলসারের সমস্যা দূর হয় এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয় ওর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রশ্নঃ আমলকিতে কি এলার্জি আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ আমলকিতে কিছু মানুষের মধ্যে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ আমলকি খেলে কি চুল পাকা কমে?
উত্তরঃ আমলকির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খাওয়ার ফলে আমাদের চুল পড়া রোধ হয় এবং চুল পাকাও কমে যায়।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কয়টি করে আমলকি খাওয়া ভালো?
উত্তরঃ প্রতিদিন এক থেকে দুইটি করে আমলকি খাওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন আমলকি খেলে কি ত্বক ভালো থাকে?
উত্তরঃ নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে আমাদের বলিরেখা, বয়সের ছাপ, সুক্ষরেখা কমিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। 

প্রশ্নঃ এক কেজি আমলকির দাম কত?
উত্তরঃ এক কেজি আমলকির দাম খুচরা মূল্যে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ আমলকির অপর নাম কি?
উত্তরঃ আমলকির অপর নাম হল এমব্লিক মায়রোবালান, নিলিফাই, ইন্ডিয়ান গুজবেরি ও মালাক্কা নামে পরিচিত। 

উপসংহারঃ আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা 

আমলকির উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলের মধ্যে আমলকি সহ আমলকির বিচির গুনাগুন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যে সমস্যার সমাধানে আর্টিকেলটি পড়তে এসেছিলেন তারা যদি সে সম্পর্কে জানতে না পারেন তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে যাবেন। এতে করে আমরা আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। 

আর আমার লেখাটির পড়ে ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই সাবস্ক্রাইব করবেন যেন পরবর্তী আপডেট সবার আগে আপনি পেতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করবেন যেন তারাও উপকার পেতে পারে।আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে দয়া করে মাফ করবেন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url