পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত
আলোচনা করা হবে। যারা পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের জন্য
খুব ভালো একটি আর্টিকেল হবে এটা। পুদিনা পাতার সকল গুনাগুন তুলে ধরা হবে
আর্টিকেলটির মধ্যে।
আমরা অনেকেই আছি যে স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য অনেক খাবার খেয়ে থাকি ঠিক তেমনি
একটি খাবার হবে পুদিনা পাতা। তাহলে চলুন পুদিনা পাতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করি। অবশ্যই পুদিনা পাতার সকল গুনাগুন জানতে হলে আপনাকে আর্টিকেলকে
সম্পূর্ণ করতে হবে।
পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের জন্য
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনারা খুব কম মানুষই আছেন যাদের পুদিনা
পাতা সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান বা ধারণা আছে। আর যারা এখনো পুদিনা পাতা সম্পর্কে
তেমন কোন ধারণা নিতে পারেননি কিন্তু নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে এ আর্টিকেলটি
আপনার জন্য।
পুদিনা পাতা আপনি যেভাবে খান না ঠিকই উপকারিতা পাবেন। কারণ পুদিনা
পাতার মধ্যে পুষ্টির গুনাগুনে ভরপুর। তাহলে চলুন আগে জেনে নেই যে পুদিনা
পাতা খাওয়ার ফলে আমরা কি কি উপকার পেতে পারি। আর অবশ্যই আপনাকে ফলাফল পেতে
হলে নিয়ম মেনে পুদিনা পাতার রস অথবা তেল মাখতে হবে তবে আপনি এই ফলাফল গুলো
পাবেন।
পেটের সমস্যা দূর হয়ঃ যাদের পেটে সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ পেট ফাঁপা
গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদি সমস্যার ফলে অনেকদিন ধরে ভুগছেন তাদের জন্য খুব
উপকারী একটি ভেষজ উপাদান হল পুদিনা পাতা। পুদিনা পাতার রস খাওয়ার ফলে আপনার
পেটের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ঃ পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা
আমাদের মুখের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং মুখের দুর্গন্ধ কে দূর করে। এছাড়াও
দাঁতের মাড়ি মজবুত করে।
পিরিয়ডের ব্যথা দূর করেঃ যে সকল মেয়েদের চলাকালীন সময়ে প্রচুর পরিমাণে
পেটের ব্যথা করে তাদের জন্য খুব সহজে একটি উপায় হল পুদিনা পাতার রস
খাওয়া। এতে করে পেট ব্যথা অনেকটা ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং
খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে বের করে আনে।
বমি বমি ভাব দূর করেঃ যে সকল গর্ভবতী মায়েরা আছেন বা এমনিতে যারা অসুস্থ
হলে বমি করতে থাকেন তাদের জন্য খুব সহজ এবং উপকারী একটি খাবার হল পুদিনা
পাতা।
এলার্জি দূর করেঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের এলার্জি দূর
করে। পুদিনা পাতায় রয়েছে রমা রিনিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ। এই
যৌগটি আমাদের শরীরের হেস্টাসিন প্রতিক্রিয়া কমিয়ে দেওয়ার ফলে আমাদের শরীরের
এলার্জি দূর হয়ে যায়।
দাঁতের জন্য উপকারীঃ যাদের দাঁতে সমস্যা রয়েছে তারা যদি পুদিনা পাতার রস
খায় অথবা পুদিনা পাতার পেস্ট ব্যবহার করে তাহলে দাঁতের গোড়া মজবুত হবে এবং
দাঁতে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে না।
ক্যান্সার নিরাময়ে পুদিনা পাতাঃ যে সকল মানুষের ক্যান্সার হয়ে থাকে এবং
ক্যান্সার যদি প্রথম দিকে ধরা পড়ে তাহলে ডাক্তারি চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া
কিছু খাবারের মধ্যে পুদিনা পাতার রস খেলে ক্যান্সারের নিরাময় হতে অনেকটা
সাহায্য করে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলশ্রুতিতে আমাদের রক্তচাপর
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বক ভালো রাখেঃ পুদিনা পাতার পেস্ট বানিয়ে নিয়মিত মুখে মাখলে ত্বক ভালো
থাকে। বিশেষ করে মুখের ব্রণ বা এলার্জি থাকলে সেগুলোকে দূর করে
দেয়। পুদিনা পাতায় রয়েছে পাঙ্গাস নামক ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের ত্বকের
ভিতর থেকে ময়লাকে দূর করে এবং ত্বকের কোষ ভালো রাখে।
পুদিনা পাতার কিছু অপকারিতা দেখুন
আমরা সকলেই জানি যে কোন জিনিসই অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রতিটা
জিনিসেরই উপকারের পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও থেকে যায়। যার কারণে অতিরিক্ত
ব্যবহার বা খাওয়ার কারণে অনেক সময় দেখা যায় উপকারের চেয়ে অনেক বেশি অপকার
হয়ে থাকে। তাই আপনি যে জিনিসটাই খান বা ব্যবহার করেন অবশ্যই তার
উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা গুলো জেনে নিবেন।
এতে করে আপনি পরবর্তী সমস্যা হাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর সঠিক
উপায়ে ব্যবহারের ফলে যখন উপকার পাবেন তখন সেটা ব্যবহার করা বা খাওয়া বাদ
দিয়ে দিবেন। এতে করে আপনার আর কোন আশঙ্কা থাকবে না যে পরবর্তীতে কোন
সমস্যা হবে কিনা। তাহলে চলুন জেনে নেই যে পুদিনা পাতার কি অপকারিতা রয়েছে
সেগুলো।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেঃ যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা
পুদিনা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ শ্বাসকষ্টের সমস্যা রোগীর
জন্য পুদিনা পাতা খেলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ আমরা জানি যে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের
জন্য পুদিনা পাতা খেতে হবে।কিন্তু অতিরিক্ত পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে যদি
বেশি কমে যায় সে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ যাদের অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে
তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা পুদিনা পাতার রস খেলে সাথে সাথে এসিডিটি দেখা
দেয়। তাই যার এরকম সমস্যা হবে তার পুদিনা পাতা না খাওয়াটাই বেশি
ভালো হবে।
শিশুদের জন্য পুদিনা পাতাঃ শিশুদেরকে পুদিনা পাতার রস খাওয়ালে কিছু
কিছু সময়ে গলা জ্বালা করতে থাকে। এ কারণে শিশুদেরকে পুদিনা পাতার রস
না খাওয়ানো কিছু ক্ষেত্রে ভালো।
গর্ভাবস্থায় পুদিনাপাতাঃ গর্ভ অবস্থায় অতিরিক্ত পুদিনা পাতা
খেলে জরায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এর কারণে গর্ভপাত হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
পুদিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম জানুন
যে খাবারের মধ্যে অনেক বেশি পুষ্টির গুনাগুন থাকে সে খাবার আপনি যেভাবেই
খান না কেন ঠিক সেখান থেকেই আপনার শরীরের উপকার করবে।
কিন্তু তারপরেও আমরা যদি কিছু সঠিক উপায়ে পুদিনা পাতাটা খেয়ে থাকি তাহলে খুব
দ্রুত এবং আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাই চলুন জেনে নেই যে পুদিনা পাতা
খাওয়ার কি কি নিয়ম রয়েছে।
পুদিনা পাতার জুসঃ গরমের সময় পুদিনা পাতার জুস খুবই জনপ্রিয় একটি
খাবার। এই সময়ে পুদিনা পাতার জুস খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং
অনেক ভালো বোধ করা যায়।
পুদিনা পাতার রসঃ পুদিনা পাতার রস সাথে একটু মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের
ভিতরে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো বের হয়ে আসে।
পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়েঃ পুদিনা পাতা পানির মধ্যে দিয়ে ফোটানোর
পরে সেই পানি দিয়ে গড়গড়ায়ে কুলি করলে মুখের অনেক সমস্যা দূর হয়।
কাঁচা পাতা চিবিয়ে খাওয়াঃ অনেকে চাইলে কাঁচা পুদিনা পাতা কোন কিছু
ছাড়া এমনিতেই দুই একটা চিবিয়ে খেলো। এতে করে তার শরীরের অনেক ঘাটতির
অভাব পূরণ হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতার চাঃ মাথাব্যথা হলে বা এমনিতে অন্য কোন সময় পুদিনা পাতার
চা খেলে অনেক সমস্যা দূর হয় সাথে পুদিনা পাতার চা খেলে মাথাব্যথা
হারিয়ে যায়।
পুদিনা পাতার ৮ টি গুনাগুন দেখুন
আপনাকে অবশ্যই পুদিনা পাতার প্রকার বা গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা রাখতে
হবে। তাই পুদিনা পাতার বিশেষ যে গুণগুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদের সামনে এখন
তুলে ধরা হলো।
পুদিনা পাতার সবথেকে বড় গুণ হলো কোনো বিষাক্ত জন্তুর বিষকে বিষ পানি
করে ফেলা।
পুদিনা পাতা শুকিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া অনেক মজবুত হয়।
মধু লবণ ও পুদিনা পাতা একসাথে বেটে খেলে পেটের কৃমি দূর হয়।
সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার রস খেলে দ্রুত সেরে যায়।
অনেকের কাশির সমস্যায় গলা ফুলে যায় তাই সেখানে পুদিনা পাতা পেটে লাগালে
ফুলা কমে যায়।
যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে পুদিনা পাতা খেলে হার্ট ভালো থাকে।
পুদিনা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে পাতায় বেটে খেলে পায়ের যে কোন সমস্যা দূর
হয়।
ইফতারে পুদিনা পাতা খেলে কি হয়
সারাদিনের রোজা রাখার ফলে না খেয়ে থাকা হয়। এর কারণে আমাদের শরীরে অনেক
ঘাটতি দেখা দেয়। তাই সকলেরই উচিত সারাদিন পর ইফতারের আইটেম এ এমন কিছু
কিছু খাবার রাখা যা অল্প পরিমাণে খাওয়া হলেও সকল ঘাটতি পূরণ হয়ে
যায়। আমাদের হাতের নাগালে এমন কিছু খাবার থাকে যা অল্প দামে এবং পুষ্টিকর
খাবার মিলে যায়। কিন্তু হয়তো আপনারা সঠিক না জানার কারণে মনে করে থাকেন
যে হয়তো দামি খাবারের মধ্যেই শুধু পুষ্টির গুণাগুণ থাকে।
পুদিনা পাতা সারা বছরে পাওয়া যায় এবং বাজারে এর দাম খুবই কম তাই আপনারা
ইফতারিতে পুদিনা পাতা রাখার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ দেশের ঝামেলা ছাড়া
পুদিনা পাতার একটু শরবত তৈরি করবেন এতে করে খাওয়ার ফলে সারাদিনের ক্লান্তি এবং
সব ধরনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে পুদিনা
পাতা আসলেও আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী হয়ে থাকে।
পুদিনা পাতার জুসের উপকারিতা দেখুন
পুদিনা পাতার জুসের কথা আর কি বলবো। ছোট বড় সকলেরই খুবই পছন্দের একটি জুস
হল পুদিনা পাতা। বিশেষ করে রোদ ফাটা গরমে বাহির থেকে আসার পরে এক গ্লাস
পুদিনা পাতার শরবত হলে আর কি লাগে। দেখা যায় এক গ্লাস শরবত খাওয়ার ফলে
শরীরের মধ্যে একটা ভালো বোধ তৈরি হয়।পুদিনা পাতার জুস বানাতেও খুব
একটা ঝামেলা বা খরচ হয় না।
আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে জুসটা বানাতে
পারেন। যেমন একটু চিনি, একটু বিট লবণ, একটু লেবুর রস, কিছু
আইস, সম্ভব হলে একটু দুধ আর পুদিনা পাতা। এগুলো দিয়ে শরবত বানালে
অনেক টেস্টি হয়। তবে যাদের সামর্থ্য তারা চাইলে এর মধ্যে
রুআফজা মিশিয়ে জুসের স্বাদ আরও দ্বিগুণ করতে পারেন। তাই আপনারা
চেষ্টা করবেন এইরত ফাটা গরমের মধ্যে একটু হলেও পুদিনা পাতার জুস
খাওয়ার।
রূপচর্চায় পুদিনা পাতা ব্যবহার
আমরা হয়তো খুব কম মানুষই আছে যারা রূপচর্চা নিয়ে ভাবি না। সকলেই চাই যে
আমাদের ত্বক ভালো থাকুক। কিন্তু এরপরেও অনেক সময় আমাদের মুখে ব্রণ দেখা
দেয়। এছাড়া আমাদের ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। যার ফলে
দেখতে অনেকটা খারাপ লাগে। চর্চার ক্ষেত্রে অবশ্যই পুদিনা পাতার ব্যবহার
রাখুন।
পুদিনা পাতার ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের মরা কোষ দূর হবে এবং কোষ ভালো থাকবে
এছাড়া আপনার স্কিন কোমল ও উজ্জ্বল হবে। আবার যাদের চোখের নিচ দিয়ে কালো
দাগ পড়ে গেছে এটা অনেকের রাত জাগার কারণেও হতে পারে আবার শারীরিক কোন সমস্যার
কারণেও হয়ে থাকেন। তাই রূপচর্চায় যখন আপনি পুদিনা পাতা ব্যবহার করবেন
চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
পুদিনা পাতার মধ্যে রয়েছে ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা আপনার ত্বকে মশা
কামড়ানোর দাগ ব্রনের দাগ বা চুলকানি এ সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকবে পুদিনা
পাতা। পুদিনা পাতা মুখে মাখার নিয়ম হলো পুদিনা পাতা দেতে একটি পেস্ট
তৈরি করে নিতে হবে এরপরে সেই পাতা মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকার পরে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করলে আপনার
ত্বক আগের চেয়ে অনেক ভালো হবে।
পুদিনা পাতা খেলে যে সকল রোগ দূর হবে
পুদিনা পাতা এমন কিছু রোগের জন্য এতটাই উপকারী ভেষজ কল্পনাও করা যায়
না। এমন কিছু রোগ রয়েছে যার জন্য পুদিনা পাতা খেলে এর রোগ গুলো দূর হয়ে
যাবে। আপনাকে অবশ্যই পুদিনা পাতার সকল গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
হবে। এবং পুদিনা পাতা খেলে যে রোগ গুলো সহজে সমাধান হয়ে যায় সেগুলো জেনে
রাখতে হবে। সেই রোগ গুলোর মধ্যে একটি হলো জন্ডিস। জন্ডিসের নিরাময়ে
পুদিনা পাতা খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
আবার বমি বা হেঁচকি ওঠা এ ধরনের কোন সমস্যা যখন আপনার হবে তখন আপনি পুদিনা পাতা
কাচাই গাছ থেকে তুলে পানি দিয়ে একটু পরিষ্কার করে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা
করবেন এতে করে আপনার বমি ভাব ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। পুদিনা পাতার
রস খাওয়ার ফলে আপনার পেটে যে দূষিত পদার্থ জমে আছে সেগুলোকে বের করে
আনবে।
গরমে পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
গরমের সময় পুদিনা পাতা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি এই গরমের সময়
অনেক ধরনের সমস্যায় পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই সমস্যা থেকে রেহাই
পাওয়ার জন্য কিছু উপাদান রয়েছে যা খেতে পারলেই আপনার শরীরের অনেক দিক দিয়ে
উন্নতি হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই যে গরমে পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে কি কি
উপকারিতা হয়ে থাকে।
মানসিক চাপ কমায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরের ক্লান্তি দূর করে
শরীরকে সতেজ রাখে
মাথা ব্যাথা দূর করে
হজমের সমস্যা দূর করে
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
আপনার ত্বক ভালো রাখে
ভুঁড়ি কমাতে পুদিনা পাতার ব্যবহার
পুদিনা পাতা কিন্তু বেশ উপকারী একটি উপাদান। বিশেষ করে গরমের সময়ে এই
পাতার ব্যবহার বেশি হয়ে থাকেন। আর যাদের অতিরিক্ত ভুঁড়ি বেড়ে যাচ্ছে
দিন দিন তারা চাইলে পুদিনা পাতার সঠিক ব্যবহার করে খেলে ভুঁড়ি কমতে সাহায্য
করবেন। ভুড়ি কমানোর জন্য পুদিনা পাতা কে যেভাবে খেতে হবে প্রথমে পুদিনা
পাতা কুচি কুচি করে কেটে একটি গ্লাসে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
পাঁচ মিনিট ভেজানোর পরে সেই পানিটির ফ্রিজে রেখে দিতে হবে এরপর একদিন পর
সেই পানির মধ্যে একটু লেবুর রস এবং সাথে একটু শসা দিয়ে খেতে হবে। এভাবে
কিছুদিন নিয়ম করে খাওয়ার ফলে পেটের ভুড়ি বা চর্বি আস্তে আস্তে কমতে
থাকবে। এভাবে ভরি কমে যাবে। এছাড়া আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম
থেকে ওঠার পরে খালি পেটে পুদিনা পাতার চা খেতে।
FAQ পুদিনা পাতার সাধারণ কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পুদিনা পাতা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ পুদিনা পাতায় ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকার ফলে খালি পেটে খেলে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা খেলে কি পুরুষের যৌন শক্তি কমে?
উত্তরঃ কোন পুরুষ যদি দিনে অতিরিক্ত পুদিনা পাতার চা খায় তাহলে যৌন শক্তি
কমে যায়।
প্রশ্নঃ চুলের জন্য পুদিনা পাতার কি কি উপকারিতা রয়েছে?
উত্তরঃ পুদিনা পাতার রস চুলের গোড়াকে মজবুত করে, চুলের আগা ফাটা দূর করে,
চুলকে ড্রাই মুক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতার চিবিয়ে খেলে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁতের
মাড়ি মজবুত হয়।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা খেলে কি ওজন কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ পুদিনা পাতা খেলে ওজন কমানো যায় বাড়ানো যায় এক কথায় পুদিনা
পাতা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা মুখে দিলে কি হয়?
উত্তরঃ পুদিনা পাতা মুখে ব্যবহার করলে মুখের ত্বক ভালো থাকে ত্বক উজ্জ্বল
হয় এবং ত্বকের কোষ ভালো থাকে এছাড়াও মুখের ব্রণ বা এলার্জি দূর হয়।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা মাথায় দিলে কি হয়?
উত্তরঃ পুদিনা পাতা মাথাকে ঠান্ডা রাখে এবং ত্বক ভালো রাখে।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতার চা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ জ্বর ঠান্ডা কাশি ও মাথাব্যথা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা পাতার
চা অনেক উপকারী।
প্রশ্নঃ খালি পেটে পুদিনা পাতা খেলে কি হয়?
উত্তরঃ খালি পেটে পুদিনা পাতা খেলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং পেটের সকল সমস্যা
দূর হয়।
প্রশ্নঃ পুদিনা পাতা খেলে কি গ্যাস কমে?
উত্তরঃ পুদিনা পাতার রস খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের গ্যাস হয় আবার অনেকের
গ্যাস ভালো হয়।
উপসংহারঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা বুঝে গেছেন যে পুদিনা পাতা খেলে
আমাদের শরীরে কি কি উপকারিতা হয়ে থাকে। এছাড়া পুদিনা পাতার কিছু ক্ষতিকর
দিক রয়েছে, পুদিনা পাতা কিভাবে খেতে হবে, কখন খেতে হবে, কি কি উপকারে
পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যাবে, গরমে পুদিনা পাতা খেলে কি
হবে, ইফতারিতে পুদিনা পাতা খাওয়ার কি উপকারিতা, রূপচর্চায় পুদিনা
পাতা কিভাবে ব্যবহার করব, কোন কোন রোগের জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করলে ভালো
হবে এ সকল প্রশ্নের উত্তর আর্টিকেলটির মধ্যে পেয়ে যাবেন।
এরপরেও যদি কারও কোন কিছু জানার থাকে যা আমার আর্টিকেলটির মধ্যে লেখা নেই তাহলে
অবশ্যই মন্তব্য করে যাবেন। আমি আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব। আর
আমার লেখাটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব
করে পাশে থাকবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল করার জন্য ধন্যবাদ রইল।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url