খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ
এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের খাবারের প্রতি খুবই অনীহা থাকে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে হঠাৎ করেই বমি বমি ভাব শুরু হয়ে যায়। আসলে এগুলো কেন হয় কিভাবে হয় আমরা এর সঠিক ব্যাখ্যা জানিনা। তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম এ আর্টিকেলটি, যে কি জন্য খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব হয়।
বমি বমি ভাব হলে কোন রোগ হতে পারে বা কি কারণে হতে পারে সেই সকল বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখার চেষ্টা করব সঠিক তথ্য আপনাদেরকে জানিয়ে দিব। আশা রাখছি যে আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে এ বিষয়ে সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা রাখতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ
- খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ
 - বমি বমি ভাব দূর করার উপায়
 - খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হয় কেন
 - মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষন
 - ভ্রুমনে বমি মাথা ঘোড়ানোর সমস্যা কাটিয়ে উঠার উপায়
 - গর্ভকালীন সময়ে বমির সমস্যা ও সমাধান
 - বমি ভাব, অরুচি ও দুর্বলতা বিপজ্জনক কি না
 - সারাক্ষন বমি বমি লাগে জেনে নিন ঘরোয়া উপায়
 - ঋতুস্রাব হলে বমি বমি ভাব হয় কেন? সমাধান
 - উপসংহারঃ খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ
 
খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ
  দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কত রকমের খাবার খেতে হয় চা খাওয়া খুবই জরুরী। কিছু
    মানুষ আছে যারা খাবার খেতে চায়না বা চাইলেও পারেনা। কিছু খাবার খেতে লাগলে
    অরুচি এবং বমি ভাব দেখা দেয়। হঠাৎ করে বমি ভাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে যদি আপনার
    জানা না থাকে তাহলে সাধারণভাবে আপনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যাবেন। তাই আপনাকে আগে
    জানতে হবে কি কারনে আপনার খাবারে অরুচি হচ্ছে কবে ভাগ হচ্ছে। 
  আরো জানুনঃ কোন কোন ডালে এলার্জি আছে বিস্তারিত জানুন 
  তো চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক হঠাৎ করে কেন আপনার খাবার খেতে লাগলে অরুচি বোদা
    সে এবং বমি বমি ভাব লাগে। আপনার যদি হঠাৎ করে বমি বমি ভাবের সাথে অন্য কোন
    উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় সেগুলো দেখে বমি ভাবের কারণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়
    কখনো কখনো উপসর্গ থেকেও বোঝা যায় যে কেন বমি হচ্ছে।  কোন কোন উপসর্গ
    থাকলে আপনি বুঝতে পারবেন কি জন্য বমি হচ্ছে। তো আসুন নিচে বিস্তারিত জেনে নেই
    হঠাৎ করে কেন বমি হয় :
- খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণে হঠাৎ বমি দেখা দিতে পারে।
 
- তীব্র মাথাব্যথা হলে বমি হতে পারে।
 
- অতিরিক্ত পেট ব্যথার ফলে বমি বমি ভাব আসে।
 
- কিছু সময় মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে অনেক ঔষধ খেয়ে থাকে যার সাইড ইফেক্ট হিসেবে বমির ভাব আসে।
 
- কোন ব্যক্তি যদি অনেক সময় ধরে মানুষের যন্ত্রণায় ঘুরতে থাকে তাহলে হঠাৎ করেই বমি বমি ভাব আসে।
 
- কোন মানুষ যখন কোনভাবে মাথায় আঘাত পায় এবং এর কারণে তার ব্রেনে লাগে সেই ক্ষেত্রেও তার বমি আসে।
 
- কিছু গর্ভবতী মহিলারা আছেন যারা গর্ভকালীন অবস্থায় কোন কিছুর গন্ধ নিতে পারেন না।কারণ হঠাৎ করে কিছু গন্ধ লাগলে বমি বমি ভাব চলে আসে।
 
- আর কিছু মানুষ আছে যারা প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে সে কারণেও বমি আসে।
 
- অতিরিক্ত মদ্যপান করলে বমি বমি ভাব হতে পারে।
 
- কিছু মানুষ আছে যারা লং জার্নি করতে পারেনা গাড়িতে উঠলে ভন্ডামী ভাব চলে আসে।
 
- কিছুদিন আগে সার্জারি হয়েছে এমন রোগীদের অনেক সময় বমি বমি ভাব আসে।
 
বমি বমি ভাব দূর করার উপায়
    যে সকল কারণে বমি বমি ভাব আসে সে সকল কারণগুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তো এই
    বমি দূর করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে যেগুলা আমরা মেনে চলতে পারলে অনেক সমস্যা
    কাটিয়ে উঠতে পারবো। আপনার যখন বমি বমি ভাব হবে তখন আপনি এই টিপসগুলো ফলো করুন
    দেখবেন আপনি সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। তো চলুন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা
    যাক : 
  
  - যখন আপনার বমি বমি ভাব হবে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি নিয়ে তাতে কিছুক্ষণ পরপর চুমুক দিতে পারেন অনেকের ক্ষেত্রে আবার ড্রিংস জাতীয় কোমল পানীয় পান করলে বমি বমি ভাব দূর হয়।
 
- বমি বমি হওয়ার সময়ে আপনি অন্যদিকে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন যেমন গান শোনা বই পড়া ইত্যাদি।
 
- খোলা হাওয়া বা বিশুদ্ধ বাতাসে বসে থাকার চেষ্টা করবেন কারণ খোলা বাতাসের কারণে আপনার শ্বাস নিতে ভালো লাগবে তাই বমি বমি ভাব দূর হবে।
 
- আপনি চাইলে আধা পানি করে বা আদা দিয়ে চা করে খেতে পারেন এতে আপনার বমির ভাব কেটে যাবে।
 
- একসাথে বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন না এটা করা উচিত নয় এর পরিবর্তে কম পরিমাণে এবং বারবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার সমস্যা দূর হবে।
 
- যখন অতিমাত্রায় সমস্যা হতেই থাকবে এবং এর কোনোটাতে কাজ হবে না তখন আপনি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ গ্রহণ করুন।
 
খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হয় কেন
    অনেক কারণে খাওয়ার পরে বমি বমি ভাব হতে পারে।। খাওয়ার ২০ থেকে ৪০ মিনিট পর
    বমি বমি ভাব শুরু হয় এবং এটি তিন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। খাওয়া
    ছাড়া শরীরের কিছু উপসর্গের কারণে গমের ভাব হয়। যেমন মাইগ্রেনের সমস্যা,
    শরীরের সুগার বেশি কমে গেলে, অনেক সময় যাবত ঘুম না হলে, পাহাড় বা উচ্চতায়
    উঠলে, অনেক সময় মন বিষন্ন থাকলে। তো খাওয়ার পরে আমি হওয়ার কারণ হলো অতিরিক্ত
    পরিমাণে খাবার খেয়ে ফেলা।
  
  
    এছাড়াও খাওয়ার পর বারবার বমির ভাবের ৩৫ শতাংশ কারণ হলো পেটের সমস্যা। পেপটিক
    আলসার থেকে আইবিএস ক্রোনাস ডিজিজ থেকে গ্যাস্ট্রিকের গোলব্লাডের কোন সমস্যায়
    এমন খাওয়ার পর কোন কারণ ছাড়াই বমি বমি ভাব হয়। আবার দেখা যায়
    প্যানক্রিয়াসে কোন ক্যান্সার দেখা দিলে এমন বমি বমি ভাব বারবার হতে পারে।
    খাবারের পর বারবার বমির ভাব হলে যে করণীয় গুলো করতে পারেন নিম্নে দেওয়া হলো।
  
  - ঠান্ডা পানি খাবেন।
 
- একসাথে বেশি নয় অল্প পরিমাণে খাবার কিছুক্ষণ পরপর বারবার খাবেন।
 
- বমির ভাব এলে একটু আদা বা লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাবাতে থাকবেন।
 
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
 
- যে সব খাবার খেলে আপনার বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে সেগুলো পরিহার করে চলবেন।
 
- খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ব্রাশ করবেন না এক ঘন্টা পর দাঁত ব্রাশ করুন।
 
- ঠান্ডা গরম খাবার মিক্স করে খাবেন না যেকোনো একটাকার চেষ্টা করবেন।
 
- তেল জাতীয় খাবার ভাজাপোড়া কম খাবেন।
 
- বমির ভাব যদি অতিরিক্ত তাহলে ঠান্ডা জাতীয় কেমন বরফ বা কোল্ড ড্রিংকস কিছু খাবেন।
 
- খাবার খাওয়ার পরপরই ভারী কাজ করা থেকে বিরত থেকে থাকুন।
 
- খাওয়ার পরপরই বিছানায় যাবেন না অর্থাৎ চেষ্টা করবেন একটু হাঁটাহাঁটির উপর থাকতে অথবা বসে থাকতে কোন ভাবে শুয়ে পড়া যাবে না।
 
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব কিসের লক্ষন
    আপনি যদি মাথা ঘোরার মত সমস্যায় বুঝতে থাকে তাহলে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার
    কিছু নেই। অনেকেই মনে করে এটা সিরিয়াস কোন অসুখ যার কারণে মাথা ঘুরছে। মাথা
    ঘুরা হলো এমন একটি অনুভব করা যখন আপনার মনে হবে আপনার চারপাশে যা কিছু আছে আপনি
    বাদে সবকিছুই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর এই অনুভূতিটা অনেক ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর হতে
    পারে এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে আপনাকে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। 
  
  
  
    তাই আসুন আগে জেনে নেই মাথা ঘুরা কিসের লক্ষণ হতে পারে। মাথা ঘোড়ার অনুভূতির
    মূল কারণ সাধারণত শরীরের দুইটি প্রধান অংশের সাথে জড়িত। প্রথমত মস্তিষ্ক যা
    আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই অংশে কোন ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা
    স্টক,  টিউমার, ভিটামিনের ঘাটতি, যেকোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাথা ঘুরার
    সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  
  
    আরেকটি অংশ হল কানের ভিতরের ভেস্টি বোলার সিস্টেম যা ভারসাম্য রক্ষায়
    গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কানের সংক্রমণ, মিনিয়াস রোগ, কানের স্নায়ুর
    প্রদাহ সহ নানা কারণে এই সিস্টেমের সমস্যা হওয়ার কারণে মাথা ঘুরার সমস্যা
    অনুভূত হয়। মোট কথাই বলতে গেলে মস্তিষ্কের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী অংশ এবং
    ভারসাম্য রক্ষাকারী যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে মাথা ঘুরার সমস্যা দেখা দিতে
    পারে। 
  
  ভ্রুমনে বমি মাথা ঘোড়ানোর সমস্যা কাটিয়ে উঠার উপায়
    মানুষ যখন বাস ট্রেন বিমান জাহাজ লঞ্চ ও নৌকার মতো কোন পরিবহনে ভ্রমণ করে তখন
    অনেকেরই স্বাভাবিক ভাবেই বমি বমির ভাব হয় আবার বামি চলে আসে।বমির পাশাপাশি
    মাথা ঘুরানোর সমস্যাটাও দেখা যায় এর সাথে আবার অস্বস্তিকর ভাব তৈরি। হয় এটাকে
    মূলত মোশন সিকনেস বলা হয়। অনেক মানুষেরই এই সমস্যাটা দেখা যায় যেমন আমার
    নিজেরই এ ধরনের কোন পরিবহনে ওঠার ফলে বমি বমি ভাব হয়। 
  
  
    আরো জানুনঃ ঘরোয়া ভাবে ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় জানুন 
  
  
    সাথে মাথা ঘুরাতে থাকে এর জন্য খুব অস্বস্তি বোধ হয়। এই সমস্যাটা কেন হয় এর
    সঠিক ধারণা কেউ দিতে পারেনি তবে কিছু ক্ষেত্রে গবেষণা থেকে জানা গেছে জেনেটিক
    কারণে অর্থাৎ বাবা-মায়ের এ ধরনের সমস্যা থাকলে সন্তানের ও এরকম সমস্যা দেখা
    দেয়। অধ্যাপক ডাক্তার আবু হানিফ বলেন, কানের কাজ হল শোনা এবং ভারসাম্য রক্ষা
    করা। 
  
  
    এই ভারসাম্য রক্ষার জন্য কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর হয় যেমন চোখ, কান, ঘাড়ের
    মাংসপেশী এই সবগুলো থেকে যখন মস্তিষ্কে কোন বার্তা যায় তখন মস্তিষ্কে
    কো-অর্ডিনেট করে এবং শরীরের ভারসাম্য সমন্বয় রাখে। আরে ভারসাম্যটা ঠিক না
    থাকার কারণে মস্তিষ্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এর কারণে সেটি চলমান নাকি স্থির
    আছে বুঝতে অক্ষম হয় আর এ কারণেই যানবাহনে বমি বমি ভাব আসে বা মাথা ঘুরতে
    থাকে। 
  
  গর্ভকালীন সময়ে বমির সমস্যা ও সমাধান
    অনেক মহিলার গর্ব অবস্থাযর শুরু থেকে ১২ - ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সকালে বিকেলে বা
    সব সময়ে যা পাক দেওয়া ও বমির পর্ব চলা এটাকে বলা হয় মর্নিং সিকনেস। সবার
    ক্ষেত্রেই যে এমন হয় বিষয়টা তা নয়। যাদের এরকম হয় তাদের অনেক সমস্যায় ফেলে
    দেয় এই বমির প্রবণতা।। বিশেষ করে অনেক সময় দেখা যায় চরা গন্ধ বা বদ্ধঘর এবং
    কিছু ধোয়াতে এবং এর সমস্যার কারনে মর্নিং সিকনেস দেখা দিতে পারে। মর্নিং এর
    কারণে এ সময় প্রায় গর্ভবতী মহিলাদের খাওয়া-দাওয়া উঠে যায় এবং এর কারণে
    শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যায়।এই দুর্বলতার কারণে দিনরাত সব সময় মনে হয়
    শুয়ে বসে থাকতে এটাই মর্নিং সিকনেসের  সমস্যা। গর্ভবতী মহিলাদের কেন এই
    সমস্যাগুলো দেখা দেয় এবং এই সমস্যা দূর করতে কি কি করণীয় রয়েছে তার সকল
    বিষয়গুলো বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো। তাই আপনি জানতে চাইলে অবশ্যই সম্পূর্ণ
    আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
  
  
    গর্ভবতী মহিলার বমি হওয়ার কারণ অনেক ভাবেই হতে পারে যেমন গর্ব অবস্থার কারণে
    হতে পারে যাকে মর্নিং সিকনেস বলা হয়। প্রধানত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এই
    সমস্যাটা দেখা দেয়। গর্ভবতী মহিলারা কোন তীব্র গন্ধ পেলে বমি করার সমস্যাটা
    বৃদ্ধি পায়। 
  
  
    এবার জানব গর্ভাবস্থায় কোন টিপস গুলো ফলো করলে বমি দূর করা যাবে বা
    নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। বমি ভাব ও বমি কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবে কিছু টিপস নিচে
    উল্লেখ করা হলো অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে দেখবেন। 
  
  - আদা : আদা সব ধরনের বমি বমি ভাবের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকরী খাবার আদা। তিনি চায়ের সাথে অথবা মুখে চিবিয়ে খেতে পারে এর কারণে বমি ভাব দূর হয়।
 
- ক্যারাম বীজ : সকালে এক চামচ কেরাম পে জীবাণু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বৃদ্ধি করে এবং বমি ভাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
 
- লেবু : গর্ভাবস্থায় বমির জন্য লেবুর রস একটি ভালো প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। বমি বমি ভাব দূর করতে লেবুর খোসার গন্ধ নিলে বমি ভাব দূর হয় এবং লেবুর রসের সাথে খাওয়ার অভ্যাস করলে মর্নিং সিকনেস দূর করা যায়।
 
- পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতায় উপস্থিতি মেন্থল বৈশিষ্ট্য পেটের ভেতরের অংশকে প্রশমিত করে। তাই কিছু তাজা পুদিনা পাতা চিবিয়ে এর রস পান করলে বমি ভাব এড়ানো যায় এবং শরীরের অন্যান্য সমস্যা দূর করা যায়।
 
বমি ভাব, অরুচি ও দুর্বলতা বিপজ্জনক কি না
    গর্ভবতী মহিলার প্রথম লক্ষণই হল বমি বমি ভাব হওয়া। এবং এটা শুরু হয় সাধারণত
    ষষ্ঠ সপ্তাহের শেষ দিকে। এই সময় থেকে শুরু করে সামনের সপ্তাহ গুলোতে  এই
    বমি বমি ভাব চলতেই থাকে। এ কারণে গর্ভবতী মহিলারা মনে করেন আপনার শরীরে কোন
    সমস্যা হয়েছে কিনা যার জন্য বমি বমি ভাব বাবা বমি হচ্ছে খাবারে অরুচি লাগছে
    দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে। এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তার কিছু নেই এটা আপনার জেনেটিক
    কারণে হতে পারে। 
  
  
    তাই আপনার যত সমস্যাই হোক না কেন অবশ্যই ঠিকমতো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
    প্রয়োজনে আপনি একসাথে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খড়
    অভ্যাস করুন। কারণ আপনি যদি বমি করার ভয়ে একেবারে খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে আপনার
    শরীর আরো দুর্বল হয়ে পড়বে।। গর্ভধারণের প্রথম দিকে ক্ষুধামন্দা অরুচি বমি ভাব
    এগুলোর সাধারণ উপসর্গের মধ্যেই পড়ে। বারো সপ্তাহের মধ্যে প্রতি পাঁচ জনের
    মধ্যে চারজনেরই এই সমস্যা দেখা দেয়। 
  
  
    তাই দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।এটা খুব একটা বিপদজনক নয়। তবে বমি বমি ভাব
    মাথা ঘোড়া এগুলো ছাড়াও যদি প্রসাবের সমস্যা যেমন প্রসাবে জ্বালাপোড়া স্তনে
    ব্যথা করা এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই একজন প্রসূতি ডাক্তারের
    পরামর্শ নিবেন এবং তার উপদেশ অনুযায়ী চলাফেরা করবেন। গর্ভবতী এবং নতুন
    মায়েদের জন্য যেকোনো ধরনের টিপস পেতে ১৬২২৭ এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন। 
  
  সারাক্ষন বমি বমি লাগে জেনে নিন ঘরোয়া উপায়
    এমন অনেক মানুষ আছে যাদের সারাদিন বমি বমি লাগার সমস্যা রয়েছে। এমনটা হলে কোন
    কাজেই মনোযোগ বসানো সম্ভব হয় না। বমি বমি লাগার অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন
    নারী গর্ভবতী হলে এই সমস্যাটা খুবই স্বাভাবিক। আবার অনেকের মাইগ্রেনের কারণে
    বমির সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও পেটের জটিলতা আর মেয়েদের পিরিয়ডের সময়কালীন
    হতে পারে এই সমস্যাটা। আপনার যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অতিমাত্রায় এই সমস্যাটা
    দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন। 
  
  
    তবে এর আগে আপনি ঘরোয়া ভাবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সমস্যা থেকে মুক্তি
    পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন ধরুন আদা পুদিনা পাতা দারচিনি এবং পর্যাপ্ত
    পানি পান করা। অনেকেই আছেন অনেক কম পানি খান বদলে হতে পারে পানি কম খাওয়ার
    কারণে শুধু এই সমস্যাটাই নয় বরং আপনার শরীরের নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে
    তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন সারাদিনে বেশি বেশি পানি খাওয়ার। 
  
  ঋতুস্রাব হলে বমি বমি ভাব হয় কেন? সমাধান
    মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হলে অনেকেই আছেন কোন খাবারে নিতে পারেন না। সব সময়
    শুধু বমি বমি ভাব আসে এবং বমি হতে চায়। এ ধরনের সমস্যা সবসময় খাওয়া-দাওয়ার
    গোলমালে হয় না এর পিছনে থাকে হরমোনের জটিলতা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ঋতুস্রাব
    চলাকালে কোন মাসে যন্ত্রণা কম আবার কোন মাসে বেশি হতে পারে। 
তারা মনে করেন এই
    সমস্যার কারণ হিসেবে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ উঠানামা করলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা
    দেয়। হরমন সাধারনত খাবার হজম করার গতি কম করে দেয় পাশাপাশি ইস্ট্রোজেনের
    হেরফের হলে রক্তে শর্করার উপরে প্রভাব ফেলে  তো চলন সমস্যার সমাধান গুলো
    জেনে নেওয়া যাক কি করলে ঋতুস্রাব চলাকালীন বমি বমি ভাব দূর করা যাবে। 
  
  - আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে যেন এই সময়ে ঘাটতি না হয়। তাই সারাদিনে অল্প পরিমাণে হলেও খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
 
- নিয়মিত শরীর চর্চা করলে খুব একটা হরমোনের সমস্যা হয় না। মানসিক চাপ ও কম থাকে নিয়মিত শরীর চর্চার জন্য।
 
- অনেক নারী আছেন যারা মদ পান করেন। এগুলা কখনোই আপনার শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনবে না তাই চেষ্টা করবেন ঋতুস্রাবের কয়েকদিন অন্তত সেগুলো পরিহার করার।
 
- লবণ খাওয়ার ক্ষেত্রে থাকবেন কারণ লবণ খাওয়ার পরিমাণ বেশি হলে আপনার শরীরের সমস্যা দেখা দিবে এমনকি অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আপনার হার্টে সমস্যা হবে।
 
- ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে কেননা এই সময়ে পরিষ্কার না থাকলে আপনার জরায়ুতে নানা রকম সমস্যা দেখা দিবে।
 
- ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে বেশি বেশি পানি পান করা। এতে করে আপনার পেটের ব্যথা দূর হবে এবং বমি বমি ভাব কেটে যাবে।
 
উপসংহারঃ খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ
    খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব কোন রোগের লক্ষণ এ বিষয় নিয়ে উপরে বিস্তারিত অনেক
    আলোচনা করা হয়েছে। তো আমরা যেটা বলতে পারি খাবারে অরুচি ও বমি বমি ভাব যেকোনো
    কারণে হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের এরকমটা হওয়া দুশ্চিন্তার বিষয় নয় কেননা
    এটা স্বাভাবিক ভাবে জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও মহিলাদের ঋতুস্রাব কালীন
    সময়ে হতে পারে। 
  
  
    আবার কিছু মানুষের পেটে আল স্যারের সমস্যা হলে, মাইগ্রেনের সমস্যা হলে, বাস,
    ট্রাক, জাহাজ, ও লঞ্চ ইত্যাদি এই সকল পরিবহনে চরার কারণেও এ সমস্যাটা হতে পারে।
    তবে আপনার যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অতিমাত্রায় এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে
    প্রথমে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করবেন এরপরেও যদি
    ঠিক না হয় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ
    খাবেন। 
  
  
    আজকে আপনাদের সামনে কিছু স্বাস্থ্য টিপস নিয়ে তুলে ধরলাম। যাদের এই আর্টিকেল
    পড়ে ভালো লাগবে বা উপকৃত হতে পারবেন অবশ্যই দয়া করে আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার
    করুন এবং শিখতে চাই ব্লক ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন যেন সবসময় সঠিক এবং আপডেট
    তথ্য জানতে পারেন। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন
    ধন্যবাদ। 
  
  


অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url