ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধ ও বাচার উপায় দেখুন বিস্তারিত
ব্লাড ক্যান্সার হল মরণব্যাধি একটা অসুখ তবুও এর কিছু প্রতিরোধ রয়েছে। যে প্রতিরোধের কারনে প্রায় মানুষ মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছে। অনেক মানুষেরই ব্লাডক্যান্সার দেখা দেয় যা থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু ব্লাড ক্যান্সার মরণব্যাধি একটি অসুখ।
সেহেতু এর যদি সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা করা যায় তাহলে ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার আশা করা যায়।ব্লাড ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হবে আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।
সূচিপত্রঃ ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
- ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
 - ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষন জানুন
 - ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষন
 - কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় দেখুন
 - ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার
 - ব্লাড ক্যান্সার কি কখনো ভালো হয়
 - কোন ক্যান্সারের চিকিৎসা সহজ দেখে নিন
 - ব্লাড ক্যান্সার হলে কি করনীয়
 - FAQ ক্যান্সার সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন উত্তর
 - উপসংহারঃ ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
 
ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
  একটি ব্যক্তির জীবনে যেকোনো সময়েই ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। কিন্তু এটি
  যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে এবং সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয় তাহলে আশা করা যায়
  যে ব্লাড ক্যান্সার নামক মৃত্যুর হাত থেকে কিছুটা হলেও বেঁচে ফেরা
  সম্ভব। আমরা অনেকেই জানিনা যে কি কারনে আমাদের শরীরে ব্লাড ক্যান্সার নামক
  রোগ বাসা বাঁধে। 
  আবার কি করলে এই ব্লাড ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফেরা সম্ভব। ব্লাড ক্যান্সার বা রক্ত
  ক্যান্সার এটি থেকে বেচে ফেরার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু পরামর্শ মেনে জীবন
  যাপন করতে হবে এবং তা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। যদিও বা বিরাট ক্যান্সার থেকে
  বেঁচে ফেরার নিশ্চিত কোন উপায় এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারেনি তারপরেও
  স্বাভাবিকভাবে উপায় গুলো মেনে চললে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। নিচে
  বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসঃ অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অবশ্যই ভিটামিন যুক্ত ও মিনারেল খাবার খেতে হবে। যেমন শাকসবজি ফলমূল প্রোটিনযুক্ত খাবার ইত্যাদি। এতে করে ব্লাড ক্যান্সারের কিছুটা ঝুঁকি কমে।
 
- নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে নিয়মিত ব্যায়াম করা। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে হাটাহাটি করুন অথবা ব্যায়াম করুন এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিরাট ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমবে।
 
- ধূমপান বন্ধ করাঃ আমরা অনেকেই জানি যে ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে এটা জেনে বুঝে তার পরেও ধূমপান করে থাকি। এটা একদমই আমাদেরকে বন্ধ করে দিতে হবে তা না হলে আপনার ক্যান্সারের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।
 
- পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ অনেকেই বলে থাকেন যে সকল রোগের চিকিৎসায় হল পর্যাপ্ত পানি পান করা।এতে করে আপনার শরীর ভালো থাকবে এবং যেকোনো ধরনের রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
 
- পর্যাপ্ত ঘুমঃ বড়দের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমাতে হবে। ছয় ঘন্টার নিচে ঘুম হলে ক্যান্সারের প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
 
- নিয়মিত স্বাস্থ্য চিকিৎসা করাঃ অবশ্যই প্রতিটি মানুষের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যেন তার শরীরে কোন জায়গায় কোন ধরনের রোগের বাসা বেধেছে তা অল্প থেকে সনাক্ত করা যায়।
 
- মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকাঃ মানুষ যখন অতিরিক্ত চাপ নিতে থাকে এবং মানসিকভাবে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে যায় তখন খুব সহজেই তাকে নানা ধরনের রোগ বালাই ঘিরে ধরে তাই উচিত মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা।
 
- সংক্রমক ভাইরাস থেকে দূরে থাকাঃ আমাদের দেশে-বিদেশে নানা ধরনের সংক্রামক ভাইরাস রয়েছে যা খুব সহজে আমাদের শরীরকে একদম নিসতেজ করে দেয়। যেমন হেপাটাইটিস বি এ ধরনের ভাইরাস থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
 
- অনিরাপদ যৌন মিলন থেকে দূরে থাকুনঃ যখন মানুষ অন নিরাপদ ভাবে যৌন মিলনে আকৃষ্ট তখন বিভিন্নভাবে তার শরীরে রোগ বাসা বাধে। যেমন HIV বা এইডস নামক মরণ ব্যাধি রোগ দেখা দেয়।
 
- ভ্যাকসিন গ্রহন থেকে দূরে থাকুনঃ যেকোনো ধরনের ভ্যাকসিন না জেনে বুঝে আপনি শরীরে নিবেন না। এতে করে দেখা যাবে আপনার অজান্তে ই এমন কিছু ভ্যাকসিন পুশ করা হবে যা আপনার শরীরের জন্য অনেক বড় ক্ষতিকর হবে।
 
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষন জানুন
  ব্লাড ক্যান্সার বা রক্ত ক্যান্সারের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। ব্লাড
  ক্যান্সার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অস্থিমজ্জায় অর্থাৎ হাড়ের ভিতরে নরম অংশে
  আক্রমণ করে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে শ্বেত রক্ত কণিকার সাথে ছড়িয়ে
  পড়ে। ব্লাড ক্যান্সারকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় লিউকেমিয়া বলা
  হয়। লিউকেমিয়া কোষগুলি দ্রুত রক্ত এবং নোড গুলিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে
  এবং মস্তিষ্ক এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। 
  তাহলে চলুন জেনে নেই যে লিউকেমিয়া বা বিরাট ক্যান্সারের কি কি লক্ষণ
  রয়েছে। আর আমরা এই উপসর্গ দেখার পরে অবশ্যই অবহেলা না করে একজন বিশেষজ্ঞ
  ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা। নিচে বর্ণনা করা হলো।
- জ্বরের সাথে ঠান্ডা লাগছে
 
- শরীরের লাল লাল ফুসকুড়ি উঠছে
 
- অতিরিক্ত শরীর দুর্বল হওয়া
 
- রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়া
 
- রাতে অতিরিক্ত শরীরে ঘাম হওয়া
 
- হাড়ে ব্যথা
 
- গুরুতরভাবে ঘন ঘন আক্রান্ত হওয়া
 
- সহজেই রক্তপাত হওয়া
 
- শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঘা দেখা দেওয়া
 
- পেটে অস্বাভাবিকভাবে ব্যথা করা
 
ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষন
  আমরা জানি যে ব্লাড ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি অসুখ। তবে এটি প্রাথমিকভাবে
  ভালো চিকিৎসা নিলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু এর মধ্যে
  যারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায় তাদের কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে ডাক্তাররা
  বুঝতে পারে যে এই রোগের মৃত্যু আসন্ন।  সেই রোগীকে দিনে দুইবার করে চেকআপ
  করা হয় এবং ৫২ ধরনের সনাক্ত খুঁজে বের করা হয়। 
  এর মধ্যে থেকে ৮ টি লক্ষণ পাওয়া যায় যা দেখলে বোঝা যায় যে এই রোগী বাঁচতে
  পারবে না। গবেষক ডেভিড হুই বলেন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত যে
  ব্যক্তি মারা যাবে তার তিনদিন আগে থেকে এই লক্ষণগুলো দেখা যায়। তাহলে
  চলুন জেনে নেই যে কোন লক্ষণ গুলো দেখলে আমরা বুঝতে পারবো যে এই রোগী আর বাঁচবে
  না।
- আলোর বৃদ্ধি বার আসে চোখের পিউপিল কোন প্রতিক্রিয়া ঘটাবে না।
 
- চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে
 
- কথা বলার সময় মুখ ও জিহ্বা ভার হয়ে আসবে এবং এর প্রতিক্রিয়া কমে যাবেন।
 
- প্রায় রোগী চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেন না।
 
- নাক থেকে ঠোঁট পর্যন্ত দুই পাশে হাসার সময় যে রেখাটা পড়ে এটা ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
 
- কণ্ঠনালী থেকে গড়গড় স্বর আসে।
 
- রোগীর সামনের দিকে আস্তে আস্তে নয়ে পড়ে।
 
- খাদ্যর উপাদান চুষে নেওয়ার জন্য যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রয়েছে তা থেকে এক সময় রক্তক্ষরণ শুরু হতে থাকে।
 
কি খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় দেখুন
  ব্লাড ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। যা একবার হয়ে গেলে এর থেকে রেহাই পাওয়া
  ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু আমরা প্রতিদিন কি খাবার খাচ্ছি জেনে না জেনে
  যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য মরণ ব্যাধি রোগ ডেকে নিয়ে আসছে। তাই আমাদের
  সকলেরই উচিত খাদ্য অভ্যাসের দিকে সচেতন হওয়া এবং কোন খাবার খেলে আমাদের শরীরে
  ব্লাড ক্যান্সারের মত মরণ ব্যাধি হতে পারে।
  সেগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকা। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আমরা সকলে সচরাচর
  খেয়ে থাকি কিন্তু জানি না যে এটা খেলে ব্লাড ক্যান্সারের দিকে একধাপ এগিয়ে
  গেল। তাই চলুন একটু বিস্তারিতভাবে জেনে নেই যে কোন খাবার খাওয়ার ফলে বিরাট
  ক্যান্সার বা রক্ত ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংসঃ প্রক্রিয়াজাত করা মাংস বা খাবার আমাদের জন্য খাওয়া উচিত নয়।প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংস বেশিরভাগই ধরা হয় লাল মাংস। যেমন
 
- হট কুকুর
 
- সালামি
 
- সসেজ
 
- হ্যাম
 
- গরুর মাংস
 
  যখন স্টারসি খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে রান্না করা হয় তখন এক একরোলামাইড নামক
  একটি যৌগ তৈরি হয় যার কারণে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
  অতিরিক্ত রান্না করা খাবার বিশেষ করে মাংস জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে এগুলো
  অতিরিক্ত রান্নার ফলে কার্সিনোজেন তৈরি হয়। যেমন
- গ্রিল
 
- বারবিকিউ
 
- প্যাঁন ফ্রাইং
 
  দুগ্ধ জাতীয় খাবারের হতে পারে মূত্রথলিতে ক্যান্সার যেমন দুধ দই পনির সহ বিভিন্ন
  দুগ্ধ জাত খাবার।
  যখন কোন ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করতে থাকে তখন খুব সহজে তার শরীরে
  ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। 
ব্লাড ক্যান্সার কত প্রকার
  ক্যান্সারের নামকরণ করা হয় মূলত শরীরের যে অংশ থেকে উদিত হয় সেই
  অংশের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়। শরীরের অনেক অংশ যেহেতু বিভিন্ন কলা
  বা টিস্যুর সমন্বয়ে গঠিত হয় তাই সুক্ষভাবে ক্যান্সারের শ্রেণীবিন্যাস করতে
  চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার কোষ শরীরের যে ধরনের জায়গা থেকে
  উদিত হয়েছে সে অনুযায়ী ক্যান্সারের শ্রেণীবিন্যাস নামকরণ করা হয়েছে। 
- কার্সিনোমাঃ আবরণী কোষ থেকে উদিত ক্যান্সার। প্রচলিত ক্যান্সার গুলোর মধ্য থেকে এই শ্রেণীর ক্যান্সারটিও প্রচুর বিস্তার লাভ করেছে।
 
- সারকোমাঃ এই ধরনের ক্যান্সার মূলত হার এবং স্নায়ু থেকে শুরু করে।
 
- লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়াঃ এই দুটি ক্যান্সার রক্ত তৈরি কারি কোষ থেকে দেখা দেয়। বেশিরভাগ শিশুরা লিউকেমিয়া ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে প্রায় ৩০% এবং প্রাপ্তবয়স্করাও এই লিউকেমিয়া থেকে আক্রান্ত হয়।
 
- জনন কোষের টিউমারঃ পুলুরিপেটেন্ট কোষ থেকে সৃষ্ট ক্যান্সার যা প্রায় সময়ই শুক্রাশয় এবং ডিম্বাশয় থেকে দেখা যায়।
 
- ব্লাস্টোমাঃ কোষ বা ভ্রুনিয় কলা থেকে সৃষ্ট ক্যান্সার হয়ে থাকে যা বড়দের তুলনায় ছোটদেরকে বেশি আক্রমণ করে।
 
ব্লাড ক্যান্সার কি কখনো ভালো হয়
  সাধারণত বলা যায় ব্লাড ক্যান্সার মানে মরণব্যাধি রোগ। তবে অনেক
  ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে যদি ধরা পড়ে এবং সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে
  ব্লাড ক্যান্সার বা রক্ত ক্যান্সার ভালো হওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা থাকে। আর
  যখন বেশি মাথায় হয়ে যায় তখন আর কোন আশা থাকে না সেই রোগীকে ভালো
  করার। তার কিছু লক্ষণ দেখলে বোঝা যায় যে এই রোগে আর বাঁচতে পারবে
  না। ব্লাড ক্যান্সার ভালো হওয়ার জন্য কিছু পারসেন্টেন্স রয়েছে যা
  দেখলে বোঝা যাবে। যেমন
- তীব্র লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া এর জন্য পাঁচ বছর বেঁচে থাকার হার প্রায় ৮৫% ।
 
- তীব্র মাইলোজেনাস লিউকেমিয়া এর জন্য পাঁচ বছর বেঁচে থাকার হার ৬০ থেকে ৭০% ।
 
- কিশোর মাইলোমনোসাইটিক লিউকেমিয়া এর জন্য পাঁচ বছর বেঁচে থাকার হার প্রায় ৫০% ।
 
কোন ক্যান্সারের চিকিৎসা সহজ দেখে নিন
  ডক্টর কল্লোল এর মতে, যে ক্যান্সার টা দ্রুত ছড়াবে সেটা যদি প্রাথমিকভাবে
  সনাক্ত করা ও যায় তারপরেও এটা মারাত্মক হয়ে যাবে। আবার যে ক্যান্সার ধীরে
  গতিতে ছড়াবে সেটা সনাক্ত হতে দেরি হলে তার চিকিৎসা করতেও সমস্যা
  হবে। বিশ্বে প্রায় দুইশোর বেশি ক্যান্সার রয়েছে যা ক্ষেত্রবিশেষে
  ভিন্ন ভিন্ন ভাবে চিকিৎসা করা যায়। যেমন ব্রেন ক্যান্সার এবং ব্লাড
  ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেকটাই ভালোভাবে সরানো যায়।
- স্তন ক্যান্সারঃ বর্তমান সময়ের যে ক্যান্সার টি বেশি লক্ষ্য করা যায় সেটি হল স্তন ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সার। আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট থেকে বলা হয়েছে বেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক দিকে সনাক্ত করা গেলে এটির ভালো চিকিৎসা রয়েছে।
 
- প্রটেস্ট ক্যান্সারঃ প্রটেস্ট ক্যান্সার মূলত ধীরগতিতে বাড়তে থাকে বয়সের সাথে সাথে অর্থাৎ বৃদ্ধ লোকদের এই ক্যান্সারটি বেশি হয়ে থাকে। এন এইচ এস এর তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে এই রোগের চিকিৎসা ছাড়াও পার করে দেওয়া যায়।
 
- কোলন এবং রেকটামঃ কোলন ক্যান্সার সাধারণত সৃষ্টি হয় পলিপ থেকে যেটা কেটে ফেললেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। কারণ পলি থেকেই পাঁচ সাত বছর পর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা। আর রেক্টাম হচ্ছে মলদ্বারের ক্যান্সার।
 
- পাকস্থলের ক্যান্সারঃ এই রোগটি সনাক্ত করা একটু কঠিন কিন্তু এর চিকিৎসাইয় অল্পতেই সেরে ওঠা সম্ভব।
 
ব্লাড ক্যান্সার হলে কি করনীয়
    আপনার যদি ব্লাড ক্যান্সারের উপসর্গ দেখে মনে হয় যে আপনার
    শরীরে হয়তো এই মরণব্যাধির ও বাসা বেধেছে তাহলে খুব দ্রুত একজন ভালো চিকিৎসকের
    পরামর্শ গ্রহণ করে চেকআপ করতে হবে। এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে
    দেখতে হবে যে সত্যিই আপনার শরীরে কোন ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা।যদি এটা
    পজিটিভ আসে তাহলে আপনাকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। 
  
  
    আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া ভাবে ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় জানুন 
  
  
    এবং আপনার খাদ্য অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে
    আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য একটু সহজ হবে সে
    ধরনের খাবার খেতে হবে।এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত ডাক্তারের চিকিৎসায় থাকতে হবে।
    এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার ব্লাড ক্যান্সার টা দিন দিন বেড়ে
    যাচ্ছে নাকি অন্যদের দিকে যাচ্ছে। এটি এমন একটি জটিল রোগ যা দেখে
    সবাই ভয় পায়। 
  
  
    তাই আপনারও ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু আপনি অল্পতেই ভয় পেয়ে যাবেন
    না। এতে করে আপনি মনোবল হারিয়ে ফেলার কারণে সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হতে
    পারবেন না। আরেকটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে আপনাকে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া
    যাবে না এতে করে আপনার ব্লাড ক্যান্সার এর মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে।
    তাই সকলেরই উচিত সঠিক নিয়মের জীবন যাপন করা এবং স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিয়মিত
    করা। 
  
  FAQ ক্যান্সার সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ক্যান্সার নেই এটা কিভাবে বুঝব? 
  
    উত্তরঃ আপনার শরীরে যদি ক্যান্সারের উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের
    সাথে পরামর্শ করে চেকআপ করে দেখবেন।
  
  প্রশ্নঃ কোন কোন কারণে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে?
  
    উত্তরঃ সাধারণত তেমন কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই যে কোন কারণেই হতে
    পারে। 
  
  
    প্রশ্নঃ ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির আয়ু বুঝবো কিভাবে?
  
  
    উত্তরঃ সাধারণত ব্লাড ক্যান্সারের রোগীরা পাঁচ বছর বেঁচে থাকতে পারে এর
    সম্ভাবনা ৬০ থেকে ৭০% ।
  
  প্রশ্নঃ কি খেলে ক্যান্সার হয় না? 
  
    উত্তরঃ সাধারণত প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার পরিহার এবং
    স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
    কম।
  
  প্রশ্নঃ তীব্র লিউকেমিয়া কত দ্রুত বিকাশ ঘটে?
  
    উত্তরঃ সাধারণত কয়েক দিন বা ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই এর প্রকাশ ঘটে।
  
  প্রশ্নঃ সবচেয়ে মারাত্মক ক্যান্সার কোনটি?
  
    উত্তরঃ বর্তমানে বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সার মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
  
  প্রশ্নঃ কোন ফল খেলে ক্যান্সার হয় না?
  উত্তরঃ আপেল, বেদানা ও ডালিম খেলে ক্যান্সার হয় না।
  প্রশ্নঃ কি খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম?
  
    উত্তরঃ ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং সিলেনিয়াম জাতীয় শাকসবজি খেলে
    ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।
  
  উপসংহারঃ ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায়
    ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। ব্লাড
    ক্যান্সার সম্পর্কে অনেক প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হয়েছে যেমন কি খেলে ব্লাড
    ক্যান্সার হয় কোন খাবার খেলে ব্লাড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং
    এগুলো বিরাট ক্যান্সার কত প্রকার কোন কোন ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা
    অনেক সহজ এবং ব্লাড ক্যান্সারের রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ ইত্যাদি আলোচনা
    করা হয়েছে।
  
  
    আপনাদের যদি আরো কিছু তথ্য জানার থাকে তাহলে অবশ্যই দয়া করে মন্তব্য করে যাবেন
    অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা আপনার সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা
    করব। আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে
    সাবস্ক্রাইব করে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন। সম্পূর্ণ
    আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 
  


অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url