মাসিকের সময় কোমর ব্যাথার কারন ও প্রতিকার সম্পর্ককে জানুন
মাসিকের সময় কোমর ব্যাথা হয় কেন তার কারণ হলো মাসিক চলাকালীন সময়ে কিছু মেয়ের এতটাই পেট ব্যথা ও কোমর ব্যথা হয় যে স্বাভাবিকভাবে ভালো থাকতে পারে না। এই সময়টা একটা মেয়ের জন্য খুবই কষ্টকর। তবে এটা খুব সাধারন একটি বিষয়।
তাই কিভাবে থাকলে এবং কোন নিয়ম মেনে চললে আমাদের মাসিক চলাকালীন সময়ে আর পেটের ব্যথা হবে না। পেটের ব্যথার কারণে আমাদের অন্যান্য কিছু সমস্যা হতে পারে সে সকল বিষয় আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
সূচিপত্রঃ মাসিকের সময় কোমর ব্যথা হয় কেন
- মাসিকের সময় কোমর ব্যথা হয় কেন
- কি কি কারনে পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হয়
- পিরিয়ডের পেটের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- পিরিয়ড চলাকালীন যে পাঁচটি খাবার এড়িয়ে চলবেন
- অনিয়মিত পিরিয়ড হলে কি করনীয়
- পিরিয়ডে পেট ব্যথা হলে কি বাচ্চা হয় না
- পিরিয়ডের ব্যথার কারণে জরায়ুতে কি সমস্যা হয়
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম
- পিরিয়ডের সময় কালো রক্ত বের হয় কেন
- উপসংহারঃ মাসিকের সময় কোমর ব্যথা হয় কেন
মাসিকের সময় কোমর ব্যথা হয় কেন
পিরিয়ডের সময় প্রায় বেশিরভাগ মেয়েদেরই কোমর ব্যথা বা পেটের ব্যথা শুরু
হয়। ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণ হলো জরায়ুতে পেশির সংকোচন
হওয়া। পেটের ব্যথা দুই রকমের হতে পারে একটি হল প্রাথমিকভাবে ব্যথা যেটা
কিশোরীদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। আরেকটি হলো জটিল ব্যথা যেটি অন্যান্য
সমস্যার কারণে পেট বা কোমর ব্যথা করে।
মাসিকের সময় এর ব্যাথা হয় আরো অনেক কারণে যেমন অনিয়মিত খাদ্য
অভ্যাস। সঠিক পুষ্টির অভাবে এবং কারণেও মাসিকের সময় কোমর ব্যথা
হয়। মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যথা অনেক ধরনেরই হতে পারে আবার কিছু মেয়েদের
ক্ষেত্রে এগুলা অল্প পরিমাণে হয়। আবার অনেক নিয়ে রয়েছে যাদের বেশি
মাত্রায় হওয়ার কারণে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিচে দেওয়া হল মাসিকের
সময় কি কি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
- কোমর ব্যথা করা
- তলপেট ব্যথা করা
- পিঠ লেগে আসা
- ক্ষুধা না লাগা
- উরুতে ব্যথা
- মাথা ব্যথা
- পাতলা পায়খানা
- অস্বস্তি লাগা
- ক্লান্তি লেগেই থাকে
- খাবারের স্বাদ না পাওয়া
কি কি কারনে পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হয়
পিরিয়ডের সময় বেশিরভাগ মহিলাদের এ পেট ব্যথার যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। কিছু
কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে আবার এতটাই অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়েছে কোমর থেকে ব্যথা
শুরু করে এবং খুব কষ্ট হয়। অনেকেই জানেন না যে কি কারণে এই পিরিয়ডের সময়ে
ব্যথা করে। ব্যথার কারণ হলো পিরিয়ডের সময়ে জরায়ুর বেশি সংকোচনের কারণে
এবং হরমোনের ওঠা নামার ফলে পেটের ব্যাথা শুরু হয়।
হরমোনের কম বেশি হওয়ার কারণে মেয়েদের এই সময়ে মেজাজটা অনেক খারাপ
থাকে। এগুলো মূলত হরমোনের কারণেই দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের
ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় 'ডিসমোনিয়া' ।অনেক নারীরাই বলে থাকেন যে
পিরিয়ড শুরু হলে কোমর থেকে শুরু করে পেটের ব্যথা ঘাড়ের পিছনে ব্যথা পায়ে ব্যথা
সবই বেড়ে যায়।
তাই অনেকেই বলেন যে পিরিয়ডের সাথে কি শরীরের জয়েন্টের কোন সংযোগ আছে
কিনা।চিকিৎসকের মতে এখানে একটা সংযোগ আছে যা হরমোনের সাথে ঘটে থাকে।অর্থাৎ হরমোন
কমবেশি অথবা উঠানামা করার কারণেই মেয়েদের শরীরে এই সমস্যাগুলো হয়ে
থাকে। তাই সকল চিকিৎসকরাই বলেন যে এই সময়টাতে স্বাস্থ্যকর
খাবার এবং শরীরের যত্ন নিতে হবে।
পিরিয়ডের পেটের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে। যে উপায়গুলো আপনি
মেনে চলতে পারলে আপনি এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে কিছুটা আয়েস পাবেন। এখন অনেক
মেয়েরাই আছে যারা ঘরে বসে কষ্টে ভুগতে থাকে কিন্তু জানি না যে ঘরোয়া ভাবে
অনেক উপায় রয়েছে যেগুলো মেনে চলতে পারলে ব্যথা কিছুটা লাঘব হবে। চলুন
জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
- গরম পানির সেকঃ ঘরোয়া উপায়ের মধ্যে কার্যকরী। যখন আপনার পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হবে আপনি হট ব্যাগ অথবা গরম পানি করে একটি বোতলে ঢেলে হালকা কুসুম গরম পানি থাকা অবস্থায় ব্যথার জায়গাতে ধরবেন এতে করে কিছুক্ষণ এভাবে রাখার পরে আস্তে আস্তে করে ব্যথা কমে যাবে।
- কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসলঃ চেষ্টা করবেন এই সময়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে এতে করে আপনার শরীরে থাকা বিভিন্ন জীবাণু দূর হবে এবং আপনার ব্যথাটাও কমে যাবে।
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়াঃ এই সময় অবশ্যই আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেহেতু আপনার শরীর থেকে অনেক রক্ত বের হয়ে যায় এতে করে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সকলেরই উচিত এই সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেন দুর্বলতাটা কেটে যায়।
- পর্যাপ্ত ঘুমঃ পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে প্রতিটা মেয়েদেরই উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। এতে করে শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। আর আপনার শরীরের ব্যথা একটু কমে যায়।
- পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ পেটের ব্যথা বা কোমরের ব্যথা দূর করতে প্রধান খাবার হল পানি। এবং এই সময় চেষ্টা করবেন অন্য দিনের তুলনায় বেশি বেশি পানি পান করার। এতে করে আপনার পেটের ব্যথাটা কমবে সাথে করে অন্যান্য সমস্যাও দূর হবে।
- ওষুধ পরিহারঃ যে কোন ঔষধ খাবেন না। এতে করে ধরে নেওয়া হয় যে পরবর্তী সময়ের কোন সমস্যা হতে পারে। তাই অনেকেই আছেন যারা অল্প কষ্টতেই কারি কারি ঔষধ খেয়ে থাকেন। এটা মোটেও উচিত নয় তাই এখন থেকে চেষ্টা করবেন ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো।
- নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলেও কিন্তু অনেকের পেটের ব্যথা বা কোমরের ব্যথা ভালো হয়। তবে এই সময়টাতে ভারি কোন ব্যায়াম করবেন না এবং ভারী কোন কাজও করবেন না।এমনিতেই চেষ্টা করবেন একটু বেশি হাঁটাহাঁটি করার আর পিরিয়ড শেষ হলে বাকি দিনগুলোতে নিয়মিত ব্যায়াম করা এতে করে আস্তে আস্তে এই ব্যথার সমস্যা কেটে উঠবে।
পিরিয়ড চলাকালীন যে পাঁচটি খাবার এড়িয়ে চলবেন
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে পিরিয়ডের সময় কিছু খাবার পরিহার করে চলা উচিত।
এতে করে যাদের পেট ব্যথার সমস্যা রয়েছে সেটা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে এছাড়াও এই
সময়টাতে এই খাবারগুলো না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো। মোটামুটি প্রায় খাবারই আপনি
খেতে পারেন তবে চেষ্টা করবেন এই খাবারগুলো অন্তত পিরিয়ড চলাকালীন সময় অর্থাৎ
চার থেকে পাঁচ দিন পরিহার করে চলার।
- চা বা কফিঃ সাধারণত চা বা কফি অনেকটাই উপকারী হয়ে থাকে। তবে কিছু মেয়েদের বেলায় ভিন্ন।অর্থাৎ চা কফি খাওয়ার ফলে পেটের ব্যথার সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনারা যদি এরকমটা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
- ফাস্টফুড জাতীয় খাবারঃ এই সময়টাতে ফাস্টফুড জাতীয় খাবার অর্থাৎ তেলেভাজা খাবারগুলো পরিহার করবেন। বিশেষ করে বাহিরের রাস্তার ধারে বিক্রি করা অস্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করা খাবার গুলো না খাওয়াই আপনার শরীরের জন্য উপকার হবে।
- অতিরিক্ত লবণ না খাওয়াঃ চেষ্টা করবেন পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। অর্থাৎ অনেকেই আছে যারা ভাতের সাথে অতিরিক্ত লবণ খেয়ে থাকে এতে করে আপনার পেটের ব্যথাটা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজনের তরকারিতে একটু লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন কিন্তু অতিরিক্ত লবণ খাওয়া বাদ দিন।
- দুধ জাতীয় খাবার পরিহারঃ আমরা সকলেই জানি যে দুধ আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারগুলো পরিহার করে চলা এতে করে পেটের ব্যথা বাড়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
অনিয়মিত পিরিয়ড হলে কি করনীয়
অনিয়মিত পিরিয়ড জানার আগে জেনে নেই যে নিয়মিত পিরিয়ড কি বা কাকে
বলে। নিয়মিত পিরিয়ড হলো ২৮ দিন পর পর হতে হবে। এবং এটি হওয়ার পরে
তিন থেকে সাত দিন থাকবে। এরপরে প্রথম দিনে ব্লিডিং কম হবে দ্বিতীয় এবং
তৃতীয় দিনে ব্লিডিং বেশি হবে ৮০ মিলিলিটার রক্ত যাবে পিরিয়ডের মধ্যে
দিয়ে। আবার এই রক্ত যেন কোন চাকা বাধা বা কালচে ধরনের না হয়।
এরকম যদি ঠিকঠাক থাকে সবগুলো উপায় তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে তার পিরিয়ড টা ঠিক
আছে।কিন্তু এর চেয়ে যদি ব্যতিক্রম দেখা যায় ধরেন ২৮ দিনের জায়গায় ৩৫ দিন হয়ে
গেল বা তারও বেশি এরপরেও পিরিয়ড হলো না হলেও দেখা গেল সাত দিনের জায়গায়
দশ দিন থাকলো আবার অনেকের এক দুদিনে একটু ব্লাড দেখা দিয়েই শেষ হয়ে
যাচ্ছে। আবা ব্লাডের কালার অস্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে এবং দেখতে চাকা চাকা
হচ্ছে এতে করে ধরে নেওয়া হয়েছে তার পিরিয়ড অনিয়মিত হচ্ছে।
এরকম অবস্থা যদি দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন গাইনি
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ আপনি যদি এ বিষয়ে সচেতন না হন তাহলে এখান
থেকে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন কি ক্যান্সারের মতো মরণ
ব্যাধি রোগও হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
পিরিয়ডে পেট ব্যথা হলে কি বাচ্চা হয় না
আপনারা অনেকেই মনে করেন যে যাদের পিরিয়ডে পেট ব্যথার সমস্যা রয়েছে তাদের হয়তো
বাচ্চা হতে কোন সমস্যা হবে না। সাধারণভাবে বলা যায় পিরিয়ডে পেটব্যথা
হলে বাচ্চা হতে তেমন সমস্যা হয় না। তবে যাদের পিরিয়ডের পেট ব্যথাটা
স্বাভাবিক আছে অর্থাৎ ধরে নেওয়া হয় যে স্বাভাবিকভাবেই যা সকল মেয়েদেরই হয়ে
থাকে যদি এরকমটা হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু যদি দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং অনিয়মিত পিরিয়ড
হচ্ছে সে ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই একজন ভাল
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেলে এবং মেনে চলতে পারলে অবশ্যই এই সমস্যা থেকে
কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। স্বাভাবিকভাবে দেখা যায় মেয়েদের পিরিয়ডের দু একদিন
আগে থেকেই পেটের ব্যথা বা কোমর ব্যথা শুরু হয়ে যায়।
এটা কারো ক্ষেত্রে কম আবার কারো ক্ষেত্রে বেশি এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ
নেই। মাসিকের সময় যে ব্যথাটা হয় সেটা আপনার জরায়ুর আস্তরণ খসে যাওয়ার
ফলেই হয়ে থাকে আর আপনার জরায়ু তলপেটের মাঝখানেই থাকে। তাই তেমন কিছু
সমস্যা হবে না যদিও বা মনে হয় সমস্যা হচ্ছে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ দিলে ঠিক
হয়ে যাবে।
পিরিয়ডের ব্যথার কারণে জরায়ুতে কি সমস্যা হয়
জরায়ু বা আপনার প্রজননের ব্যবস্থার অন্য কোন অংশকে প্রভাবিত করা হলে এমন
অবস্থাকেই জরায়ু বলে। পিরিয়ডের ব্যথার কারণে জরায়ুতে তেমন কোন
সমস্যা হয় না। কারণ আমরা আগেও বলেছি যে পিরিয়ডের ব্যথা এটা স্বাভাবিকভাবেই
হয়ে থাকে হয়তো কারো কাছে কম এবং কারো বেশি হয়। তবে আপনি যদি মনে করেন
আপনার অস্বাভাবিকভাবে সমস্যা লেগেই আছে ঠিক হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই সে ক্ষেত্রে
আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তবে জরায়ুতে যদি সমস্যা হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি কি কি লক্ষণ দেখলে বুঝতে
পারবেন যে আপনার জরায়ুতে সমস্যা হয়েছে। তাহলে চলুন আগে আপনি জেনে নিন
যে কি সেই লক্ষণ যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন
স্বাভাবিকভাবে পিরিয়ডের কারণে আপনার জরায়ুতে তেমন কোন সমস্যা হবে
না। যদি লক্ষণ গুলো দেখা যায়ও তাহলে হয়তো আপনার শরীরের অন্য কোন
কারণে জড়াইতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নেই।
- জরায়ুর ওই জায়গাতে ব্যথা হওয়া
- যোনিপথে রক্ত আসা
- জরায়ু বাহিরের দিক বের হয়ে আসা
- প্রস্রাবের বেগ বেড়ে যাওয়া
- সহবাসের সময় ব্যথা করা
- পেট ফুলে যাওয়া
- কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থাৎ পায়খানার সময় কষ্ট বেশি হওয়া
- সারাক্ষণ জ্বর লেগেই থাকা
- খাবারের স্বাদ না পাওয়া
- বারবার মূত্রাশয়ে আক্রমণ হওয়া
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম
মাসিকের ব্যথাকে বৈজ্ঞানিক নামে ডিসমুনিয়া বলা হয়। বিশ্বজুড়ে প্রায় সকল
নারীর এই কমন সমস্যা রয়েছে। এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে ভালো অবস্থানে
যাওয়ার জন্য এবং খুব তাড়াতাড়ি ফল পাওয়ার
জন্য অনেকেই ওষুধ খেয়ে থাকে। সৌভাগ্যক্রমে এমন কিছু ঔষধ বের হয়েছে যে
যেগুলো সেবন করার ফলে পিরিয়ডের ব্যথা কমানো যাচ্ছে। তাহলে চলুন আপনাদের
কেউ জানাই ঔষধ গুলোর নাম।
- ওভার - দ্য - কাউন্টার ওষুধ
- নন্সটেরয়েডাল আন্টি - ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস
- আইবুপ্রোফেন
- ন্যাপ্রোক্সেন
- এসিটামিনোফেন
- ডাইক্লোনেফাক
- মেফেনামিক অ্যাসিড
- এন্টিডিপ্রেসেন্টস
- অ্যান্টিক্যানভ্যালাইন্স
ঘরোয়া ভাবে ভেষজ উপাদানঃ
- আদাঃ চায়ের সাথে আদা কুচি মিশিয়ে খেলে পেট ব্যথা কমে।
- হলুদঃ খাবারের সাথে হলুদ খেলে পেটের ব্যথার উপশম্য হয়।
- ক্যামোমিলঃ মাসিক চলা অবস্থায় ক্যামোমিল খাওয়ার ফলে মাসিকের ব্যথা এবং স্ক্যাম্পিং কমায়।
পিরিয়ডের সময় কালো রক্ত বের হয় কেন
আমরা অনেকেই লক্ষ্য করি যে পিরিয়ডের প্রথম দিকে কালো বা গারো কালো রং এর রক্ত
বের হচ্ছে।স্বাভাবিকভাবেই সবাই ভেবে নেই যে এটা হয়তো কোন সমস্যার কারণে
হচ্ছে। কিন্তু এই কালো রক্ত কেন বের হয় তার কিছু কারণ রয়েছে তাই আপনাকে
আমাকে আগে জানতে হবে যে কি কারনে কালো রক্ত বের হয় এবং এটা আমাদের জন্য কতটা
ক্ষতিকর নাকি ভালো।
- মাসিকের শেষের দিকেঃ মাসিকের শেষের দিকে প্রায়ই ঘন রক্ত দেখা যায়। শরীর জরায়ুতে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা পুরনো রক্ত পরিষ্কার করে যার ফলে গারো রক্ত দেখা যায়। মাসিকের শেষ দিকে শ্রাবের সাথে এই রক্ত মিশে গারো রক্ত হয়ে যায় এটা স্বাভাবিক একটি বিষয় এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
- মাসিকের শুরুর দিকেঃ মাসিকের প্রথম দিনে জরায়ুর আস্তরণ ধীরে ধীরে ঝরতে পারে যার ফলে বয়স্ক রক্ত বের হয়ে যায়। এর কারণে রক্তের রং কালছে এবং গারো হয়ে থাকে। এই সময়ের মধ্যে হরমোনের আস্তরণ গুলি কত দ্রুত ঝরে যায় সেটাও লক্ষ্য করা যায়। এগুলো সাধারনত কারণেই হয়।
- হরমোনের ওঠা নামঃ হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, স্ট্রেস থাইরয়েডের সমস্যা গর্ভনিরোধক পরিবর্তনের কারণে মাসিকের প্রবাহকে বিলম্ব করে। আরে বিলম্বর কারণেই মূলত অনেক দিনের জমে থাকা বয়স্ক রক্ত বের হয় যা দেখতে কালো এবং গাড়ো হয়।
উপসংহারঃ মাসিকের সময় কোমর ব্যথা হয় কেন
মাসিকের সময় কোমর ব্যথা হয় কেন আপনারা হয়তো এতক্ষণে সেটা বুঝতে পেরেছেন।উপরে
উল্লেখিত বিষয়ের মধ্যে মাসিক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করা হয়েছে
যেমন পিরিয়ডের সময় কি খাবেন, কোন খাবার পরিহার করবেন, ঘরোয়াভাবে কিভাবে ব্যথা
কমাবেন, এবং জরুরি ভাবে ব্যাথা কমানোর কি ঔষধ খাবেন, পেটের ব্যথার কারণে কি
জরায়ুতে সমস্যা হয়।
বাচ্চা হতে কি সমস্যা হয়, অনিয়মিত পিরিয়ড হলে কি করব এ সকল বিষয় তুলে ধরা
হয়েছে। এরপরেও যদি আপনাদের কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় বা আরো কোন তথ্য জানার
থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে যাবেন। আর আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে
শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের পাশে থাকবেন সাবস্ক্রাইব করে। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url