ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বর্তমান সময়ে আমরা কমবেশি সবাই সিয়াসিড পছন্দ করে থাকি। সিয়াসিড কে সকলে সুপার ফুড হিসেবে চিনে থাকেন। বর্তমান সময়ে কম বেশি সকলেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠছে যার ফলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সকলে চিয়াসিড খাওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের জন্য অনেক উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসে সিয়াসিড। 

ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম

তবে সিয়াসিড খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো মেনে খেতে পারলে আপনার ওজন বৃদ্ধির সাথে আরো আনুষঙ্গিক অনেক উপকার পেতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে সিয়াসিডের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলা হবে। তাহলে চলুন নিচে চিয়াসিডের বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

সূচিপত্রঃ ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম  

ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমানোর জন্য সিয়াসিড খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে সিয়াসিড ওজন বাড়ানোর সাথে আরো অনেক ধরনের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। সিয়াসিড খাওয়ার যে সকল নিয়মকানুন রয়েছে সেভাবে যদি আপনি মেনে খেতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার ওজন কমতে থাকবে। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম মেনে সিয়াসিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে কোন উপায়ে সিয়াসিড  খেলে ভালো হবে।
  • পানির সঙ্গে ভিজিয়ে সিয়াসিডঃ খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ পরিমাণে সিয়াসিড ভিজিয়ে রাখবেন এরপর আধা ঘন্টার মত রেখে দিবেন তারপরে দেখবেন সেটি এক ধরনের জেলের মত হয়ে গেছে তখন সেটা খেতে পারেন। 
  • লেবুর রস ও মধু দিয়ে সিয়াসিডঃ আপনি একটি গ্লাসের মধ্যে পানি নিয়ে তার মধ্যে একটু লেবুর রস ও এক চামচ মধু দিয়ে তার সাথে দুই টেবিল চামচ সিয়াসিড দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় আধা ঘন্টা। এরপর এটাকে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে খাওয়ার উপযোগী করে খেতে পারেন।
  • স্মুদি দিয়ে সিয়াসিড খাওয়াঃ স্মুদি দিয়ে সিয়াসিড খেলে ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে। প্রথমে একটি আপেল, কলা, স্ট্রবেরি ও দুধ অথবা টক দই ও দুই চামচ সিয়াসিড দিয়ে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে খেতে পারেন। 
  • সিয়াসিড ও ওটমিলঃ সিয়াসিড ও ওটমিল একসাথে রান্না করে আপনি খেতে পারেন। এক কাপ ওটমিল ও দুধ সাথে দুই চামচ সিয়াসিড দিয়ে রান্না করে এর মধ্যে আপেল ও কলা দিয়ে খেতে পারেন।

চিয়াসিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

পৃথিবীর পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে সিয়াসিড একটি অন্যতম খাবার। প্রাচীন অ্যাস্ট্রিক জাতি সিয়াসিড কে সোনার চেয়েও বেশি মূল্যবান মনে করত। আমরা জানি সকল বীজ জাতীয় খাবারই শরীরের জন্য অনেক উপকার। সিয়াসিড এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ওমেগা, ফ্যাটি এসিড ক্লোরোজানিক এসিড, পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি পাওয়া যায় সিয়াসিড এর মধ্যে। তাহলে এবার জেনে আসি সিয়াসিড খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হতে পারে। 
  • সিয়াসিড খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • বিশেষজ্ঞরা বলেছেন মুরগির ডিমের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি পুষ্টি রয়েছে সিয়াসিড।
  • সিয়াসিড খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • সিয়াসিড খেলে শরীরের হাড় মজবুত হয়।
  • সিয়াসিড ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এতে করে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • সিয়াসিড আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যাকে দূর করে। 
অপকারিতা গুলোঃ 
  • কিছু গবেষকরা বলেছেন অতিরিক্ত সিয়াসিড খাওয়ার ফলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার একটা ঝুঁকি থাকে।কারণ এখানে প্রটেস্ট ক্যান্সার থাকার কারণে এই দিকে ঝুঁকিটা বেশি। তাই অবশ্যই সবাই চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত না খাওয়ার।
  • অতিরিক্ত সিয়াসিড খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে থাকে। এটা কখনোই একজন মানুষের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের উচিত নয়। তাই চেষ্টা করবেন পরিমাণ মতো সিয়াসিড খাওয়ার। 
  • সিয়াসিড শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমায় তাই সেই দিক দিয়ে খেয়াল রাখবেন রক্তচাপ কমিয়ে একদম ডাউন না হয়ে যায় না হলে আপনার শরীরে অনেক দুর্বলতা দেখা দিবে। 
  • সিয়াসিড বেশি খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ সিয়াসিড আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যার কারণে পেটের সমস্যা হতে পারে তাই চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত সিয়াসিড না খাওয়ার। 

ওজন বৃদ্ধিতে চিয়াসিডের উপকারিতা জানুন 

সিয়াসিড ওজন বৃদ্ধির জন্য খুবই ভালো একটি খাবার হতে পারে। কারণ এতে রয়েছে ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যার কারণে একজন মানুষকে দূরত্ব ওজন বৃদ্ধিতে সিয়াসিডের উপকারিতা খুবই বেশি। চিয়াসিড একটি উচ্চমানের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। 

যা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের হাড় থেকে শুরু করে অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গর সমস্যা সমাধান করে। দৈহিক অবস্থাকে ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে চেষ্টা করবেন এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ সিয়াসিড ভিজিয়ে রাখতে এবং সেটা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অভ্যাস করতেন। এতে করে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে আপনার শরীরের অনেক ধরনের রোগের সমস্যা দূর হবে। 

তবে আরেকটু দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রতিদিন সিয়াসিড সাথে একটু দুধ আরেকটা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার এতে করে আপনি ফলাফল খুব তাড়াতাড়ি পেতে পারেন। সিয়াসিড হল বীজ জাতীয় খাবার প্রাচীনকাল থেকেই এই খাবারটির খুবই কদর রয়েছে। তাই আমরা সকলে চেষ্টা করব আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে এই খাবারটি যুক্ত করার এতে করে আমাদের ওজন বৃদ্ধি সহ অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান হবে। 

গর্ভবস্থায় চিয়াসিড খেলে কি কি উপকারিতা পাবেন 

গর্ভকালীন অবস্থা একজন মায়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর সময়ে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য শারীরিক সুস্থ থাকা সবথেকে বেশি দরকার। কারণ মা যদি ভালো না থাকে তার সন্তানও স্বাভাবিকভাবে ভালো থাকতে পারে না। গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন খাবারের অরুচি, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শরীর দুর্বলতা ও রক্ত শূন্যতা এই ধরনের অনেক সমস্যা মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় যার ইফেক্ট হিসেবে পড়ে পেটের সন্তানের উপরে। 
এই সমস্যাগুলো থেকে সমাধান হলে অবশ্যই প্রতিদিন সকালে উঠে সিয়াসিড খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানীরা চিয়াসিডকে সুপারফুড হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য তারা পরামর্শ দিয়েছেন এই খাবারটি খেতে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে বাচ্চার গঠনকে সঠিকভাবে গড়ে তোলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভ অবস্থায় সিয়াসিড খেলে বাচ্চার ও মায়ের কি কি উপকার হতে পারে। 
  • সিয়াসিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করে ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধ করে।
  • চিয়াসিডে থাকা প্রোটিন শিশুর কোষ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠন করে।
  • ৮৬ তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
  • চিয়াসিডে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রেশিও নমনীয়তা ও স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় কাজ করে থাকে।
  • আমিগো-৩ ফ্এযাটি এসিড শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • চিয়াসিডে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা করে।
  • চিয়াসিডে থাকা ক্যালসিয়াম হার ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে। 

চিয়াসিড খেলে কি ছেলেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় 

আজকালকের যুগে অনেক ছেলেরা রয়েছে যাদের অনেকের যৌন শক্তি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সিয়াসিড নামে খাদ্য বীজ যা প্রাচীনকাল থেকে ঔষধ বা প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।এটি খাওয়ার ফলে মানুষের অনেক সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি ছেলেদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। চিয়াসিড খাওয়ার ফলে এর মধ্যে রয়েছে টেস্টটোরেন যা প্রাথমিক হরমোনকে বৃদ্ধি করে। এবার একটু জেনে আসি চিয়াসিডের মধ্যে কোন উপাদান রয়েছে যার ফলে কি কি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • প্রোটিনঃপ্রোটিনের জন্য খুবই উপকারী এটি খাওয়ার ফলে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায় আর সেখান থেকে কোষ বৃদ্ধি পায় এবং ছেলেদের যৌন শক্তি বেড়ে যায়। 
  • জিঙ্কঃ এই বীজ জিংকের একটি ভালো উৎস যা থেকে ছেলেদের শুক্রানূর গুণগতমানকে উন্নত করে এবং যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে থাকে চিয়াসিড। 
  • ফাইবারঃ এই বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে নতুন আঁশ তৈরি করে যার ফলে হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং যৌনতার উপর নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলতে দেয় না।
  • ম্যাগনেসিয়ামঃ এই বীর ম্যাগনেসিয়ামের একটি ভালো উৎসব যা বেশি শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং স্ট্রেস থেকে দূরে রাখে এর ফলে টেস্টোড়নের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে।

সকালে খালি পেটে চিয়াসিড খাওয়ার টিপস দেখুন 

চিয়াসিড আমাদের শরীরকে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে রাখে। আমরা যে চিয়াসিড টা খাচ্ছি সেটা কেমন এবং কিভাবে খাচ্ছি সেটা আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। কারণ সঠিক উপায়ে খাওয়ার ফলে আমাদের সমস্যার সমাধান দ্রুত পেতে পারি তাই চলুন আলোচনা করা যাক সকালে খালি পেটে চিয়াসিড খাওয়ার ফলে আপনি কোন কোন উপকারিতা গুলো পেতে পারেন। 
  • হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে
  • ত্বক চুল ও নখ সুন্দর করে
  • ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে 
  • হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে
  • ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শরীরের দুর্বলতা দূর করে
  • বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ভিড় করে
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • রক্তচাপ থেকে ভালো রাখে
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থাকলে দূর করে
  • বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বিকাশের সাহায্য করে
  • গর্ভবতী মহিলার জন্য উপকারে আসে
  • দূর যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শুক্রাণু তৈরিতে সাহায্য করে
  • ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে

ভালো চিয়াসিড চেনার উপায় শিখুন 

ভালো সিইয়াসিড চেনার কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো অবলম্বন করে আপনি সঠিক ক্রয় করতে পারেন।আপনি যখন চিয়াসিড কিনতে যাবেন খেয়াল রাখবেন যে দানাগুলো একটি সাথে আরেকটি লেগে নেই এবং হাতে ধরতেই খুব ঝরঝরা লাগছে এবং একটি ময়লা আরেকটির সাথে মিশে যাচ্ছে না তাহলে বুঝতে পারবেন এই চিয়াসিড এর গুণগত মান ভালো হবে। এভাবে আপনি দেখে শুনে অবশ্যই কিনে আনবেন তাহলে আপনার চাওয়া অনুযায়ী আপনার শরীরে কাজ করবে। 
ওজন কমাতে চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম
এগুলো আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে সকালবেলা আর না হলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি গ্লাসে পানির মধ্যে দুই চামচ করে ভিজিয়ে রাখবেন এবং চাইলে এর মধ্যে মধু অথবা লেবুর রস দিয়ে মিশ্রণটাকে আরও বেশি সুস্বাদু করে খেতে পারেন। এতে করে আপনার খাওয়ার ফলে শরীরের অনেক সমস্যা কেটে যাবে। অবশ্যই চিয়াসিড কেনার সময় দেখে শুনে কিনে নিয়ে আসবেন।  

বাচ্চাদের চিয়াসিড খাওয়ালে কি হয় দেখুন 

চিয়াসিড খাওয়ার ফলে বড়দের যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তার পাশাপাশি ছোট শিশুদেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ছোট বাচ্চারা বেশিরভাগই পানি খেতে চায় না যার অভাবে তাদের শরীরে অনেক সমস্যা এবং বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এর সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো চিয়াসিড। খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের বহু ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। 

চিয়াসিডের মধ্যে অনেক ফাইবার পুষ্টি প্রোটিন ইত্যাদি থাকার ফলে বাচ্চাদেরকে এগুলো খাওয়ানো খুবই দরকার। তাই বলে প্রতিদিন সকালে বাচ্চাদেরকে ঘুম থেকে তুলেই গ্লাসে ভিজানো চিয়াসিড খাওয়াতে যাবেন না এতে করে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে কারণ শিশুরা এভাবে এগুলো খেতে চাইবে না।তাদেরকে খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করতে হবে যেমন ধরুন কিছু জুস এর সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন আবার বিভিন্ন ধরনের পুডিং বানিয়ে তার মধ্যে দিয়ে চিয়াসিড খাওয়াতে পারেন। 

আরেকটি বিষয় মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত চিয়াসিড খাওয়ানোর ফলে অনেক সাইড ইফেক্ট করতে পারে আপনার শিশুর উপরের। তাই চেষ্টা করবেন দুই চামচের উপরে যেন না খাওয়ানো হয়। আপনার শিশুর জন্য প্রতিদিন দেড় থেকে দুই চামচ সিয়া শেড খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে এবং এটা অবশ্যই কোন জুস বা পুডিং এর সাথে মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। 

চিয়াসিড খেলে কি পেটের চর্বি কমে 

সিয়াসিড একটি সুপার ফুড খাবার হিসেবে অতি পরিচিত। নিয়মিত খাওয়ার ফলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব হতে পারে তবে পেটের চর্বি কমানোর জন্য সিয়াসিড কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিয়ে কথা বলব। ওজন নিয়ন্ত্রণে করা এটা শুধু সিয়াসিড উপরেই নির্ভর করে না এর জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য অর্থাৎ সিয়াসিড এর পাশাপাশি আর অন্যান্য খাবারও খেতে হবে। 

কিন্তু আপনি পেটের চর্বি পেয়া সিট খেলে কতটা উপকার পেতে পারেন সেটা দেখুন। সিয়াসিড খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি পেটের চর্বি ও কমিয়ে থাকে এবং চর্বি কমানোর জন্য সিয়াসিড খুবই প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। সিয়াসিড রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও ক্যালোরি যা খাওয়ার ফলে অনেকক্ষণ ধরে আপনার পেটে কোন ক্ষুধা লাগতে দেয় না এর কারণে সহজে খাবার খাওয়ার প্রয়োজনও পরেনা। 
চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রক্তের গুলুকোজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সিয়াসিড শরীরে ইনসুলিন পাইক প্রতিরোধ করে। এটি ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করে এবং শরীরকে জ্বালানি হিসেবে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। সিয়াসিড হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করায় পেটের সমস্যাগুলি দূর হয় এতে করে খুব সহজেই পেটের চর্বি কমে যায়। তাই অবশ্যই আপনি পেটের চর্বি কমাতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে দুই চামচ করে সিয়াসিড পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 

উপসংহারঃ ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

ইতিমধ্যে আমরা সিয়াসিড নিয়ে অনেক আলোচনা করেছিাইজ চিয়াসিড আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারিতা বয়ে নিয়ে আসতে পারে চিয়া বীজ খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মহিলার অনেক সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। এছাড়া একটা শিশুর জন্য চিয়াসিডের ভূমিকা কতটা কার্যকরী সেটা বিস্তারিত বলা হয়েছে। আবার পুরুষের যৌনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মেয়েদের জন্য চিয়াসিড অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তাই সকলেরই উচিত প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে চিয়াসিড রাখা।  

আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে তাহলে দয়া করে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনদেরকে শেয়ার করুন যেন তারাও এটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারে এবং তাদের খাদ্য অভ্যাসে এগুলো যোগ করতে পারে। আর পরবর্তী নতুন নতুন আপডেট পেতে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমা করুন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url