ঘরোয়া ভাবে ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় জানুন

ওজন বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ অনেকের জন্য সহজ নয়। অনেকেই শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে বা শরীরকে স্বাস্থ্যকর রাখতে ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে এই ওজন বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সফল হতে পারেন না। অনেকেই যেমন ওজন কমানোর চেষ্টা করেন ঠিক তেমনি ভাবে কিছু মানুষ আছেন যাদের বয়সের তুলনায় কম ওজন নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। 

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

যাদের কাছে ওজন বাড়ানো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় তাদের বিপাক প্রক্রিয়া এতটাই দ্রুত যে সহজে ওজন বাড়ে না। শরীরের একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং শরীরের শক্তি ও সুস্থতার জন্য ওজন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সঠিক পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস অনুসরণ করলে আপনি একটি শক্তিশালী ও সুস্থ শরীর পেতে পারেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। 

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

সূচিপত্রঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় 

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আধুনিক জীবনে ওজন কমানোর প্রচেষ্টার কথা আমরা সব সময় শুনে থাকি, কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা দ্রুত মোটা হতে চান। সেটা স্বাস্থ্যগত কারণে হোক বা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্যই হোক। হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা বা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ওজন অনেকের জন্য এটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সঠিক পদ্ধতিতে ওজন বাড়ানোর উপায় জানা অত্যন্ত জরুরী। তবে এটা শুধু বেশি খাওয়ার উপরে নির্ভর করে না বরং পুষ্টিকর এবং সঠিক খাদ্য অভ্যাস এর উপর নির্ভর করে। 

বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় বাড়তি ওজন যেমন স্বাস্থ্যকর নয় তেমনি আবার কম ওজনও কাম্য নয়। ওজন যদি অতিরিক্ত কম হয় এবং পুষ্টি হীনতায় ভোগে যেমন দুর্বল লাগা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা এ ধরনের নানা সমস্যার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। চলুন ওজন বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আরো অনেক টিপস জেনে আসি। দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় দ্রুত মোটা বা ওজন বাড়াতে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। 

ওজন বৃদ্ধিতে সকালের নাস্তা 

ডিমঃ  সকালের নাস্তায় ডিম একটি কার্যকরী খাবার। ডিমে রয়েছে মাল্টিভিটামিন ও মিনারেল। সকালে যদি আপনি একটি সিদ্ধ ডিম খান তাহলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভিটামিন ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। ডিমে জিংক নামের মিনারেল থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর ডিম অল্প মূল্যে বাজার থেকে ক্রয় করা যায় তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তায় কমপক্ষে  একটি করে সিদ্ধ ডিম রাখুন এবং এটা অভ্যাসে পরিণত করুন। 

কলাঃ কলার মধ্যে ভিটামিন বি পাওয়া যায় যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার এবং ক্যালরি আছে যা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে এবং হার্টের রোগের ঝুকি কমিয়ে থাকে। এছাড়া বাজারের সুলভ মূল্যে কলা কিনতে সারা বছরেই পাওয়া যায়। খাওয়ার আগে কেটে নেওয়ার ঝামেলা না থাকায় আপনি যখন খুশি একটি বা দুটি কলা খেয়ে নিতে পারেন। কলা কে বলা হয় প্রিবায়োটিক খাবার যার শরীরের উপকারী জীবাণু তৈরি করে।

খেজুরঃ খেজুর কে বলা হয় অসাধারণ পুষ্টিগুণের ফল।খেজুর এতটাই শক্তিশালী খাবার যে আপনি এটি প্রতিদিন খাওয়ার ফলে অনেক উপকৃত হবেন। শারীরিক দুর্বলতা থেকে শুরু করে অনেক পুষ্টি যুগিয়ে থাকে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার তা তোহারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে অনেক আয়রন আর ফলিক অ্যাসিড যার রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে হার্টের রোগের ঝুকি কম দেন হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সকাল বেলায় কয়েকটা খেজুর খেতে। 

দুধ, কিচমিচ ও কাচাছোলাঃ শরীরের অনেক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে থাকে দুধ। প্রায় সব ধরনের উপাদানে পাওয়া যায় দুধের মধ্যে। দুধের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম অভিটামিন বি আছে। ক্যালসিয়াম শরীরের হারও দাঁত কে মজবুত রাখতে সক্ষম হয়। দুধ খাওয়ার ফলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করেন। হাত-পায়ের ঝিনঝিন করা দূর করে। দুধ খাওয়ার কারণে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। দুধ ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী একটা উপাদান। দুধ খাওয়ার একটা অন্যতম সুবিধা হল অন্য খাবারের সাথে খুব সহজেই এক গ্লাস দুধ খেয়ে নেওয়া যায়। তাই আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালের নাস্তার সাথে এক গ্লাস দুধ রাখবেন এবং অন্য যেকোনো সময়ে পারলে আর ক্লাস দুধ খেতে পারেন। 

ড্রাইফুটস ঃ কাজু বাদাম, চিয়া সিড, আখরোট এবং কাঠবাদাম ক্যালোরি ও ফ্যাটের খুবই কার্যকরী উৎস। ওজন বাড়াতে প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। সকালে খালি পেটে এক মুঠো ড্রাইফুটস বা চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আর সকালে খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 

দুপুরের খাবারে যা যা রাখবেন 

মাছঃ দুপুরের খাবারের জন্য মাছ অত্যন্ত একটি পুষ্টিকর খাবার। মাছ আমাদের শরীরে অনেক ঘাটতি দূর করে। মাছের খাওয়ার কারণ চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে ছোট জাতীয় মাছগুলো খাওয়া আমাদের জন্য বেশি প্রয়োজন। মাছ খাওয়ার কারণে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় দুর্বলতা দূর হয়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন দুপুরের খাবারে তালিকায় একটি ছোট মাছ অথবা বড় মাছ প্লেটে রাখতে। 

ডালঃ ডাল আমাদের শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর খাবার। ডালে রয়েছে প্রোটিন ও আমিষ। মুরগি গরু ও খাসি থেকে যে প্রোটিন পাওয়া যায় ঠিক তেমনি প্রোটিন পাওয়া যায় ডাল থেকে। মজার ব্যাপার হলো গরু খাসির মাংসের কিছু ক্ষতিকর চর্বি রয়েছে কিন্তু ডালের ক্ষেত্রে তেমনটা নেই। তবে ডাল খাওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন পাতলা ডালের চেয়ে ঘন ডাল খাওয়া শরীরের জন্য বেশি উপকারি।

আমাদের পেটের ভিতরে কোটি কোটি জীবাণু রয়েছে। এর মধ্যে অনেক জীবাণু আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ করা ভিটামিন তৈরি করা থেকে শুরু করে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নেই। এই উপকারী জীবাণুগুলোকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের শরীরের খাবার প্রয়োজন আছে। এগুলোকে বলা হয় প্রিবায়োটি খাবার। ডাল এক ধরনের পি বায়োটি খাবার। ডালের পেটের ভিতরের উপকারী অনুজিব গুলোকে সুস্থ ও সচল রাখে। তাই আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য দুপুরের খাবারের তালিকা ডায়েট লিস্টে ডাল রাখবেন।  

মুরগির মাংসঃ দুপুরের খাবারের সাথে অবশ্যই রাখতে হবে মুরগির মাংস। আপনি যদি মুরগির মাংস এক পিস বা দুই পিস খেয়ে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন আরো দুই পিস বাড়িয়ে খাওয়া। অনেকেই আপনাকে পরামর্শ দিতে পারে গরু ও খাসির মাংস বেশি করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু গরু ও খাসির মাংস খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ানো সম্ভব হলেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে এদিকে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। সেই জায়গা থেকে আপনি যদি মুরগির মাংসটা খেতে পারেন এখান থেকে প্রোটিন বেশি পাবেন।                                                                                     
আপনি ডাল খেলে যে প্রোটিন পাবেন অনুরূপভাবে মুরগির মাংস খেলে ও তেমনটা পাবেন। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন দুপুরের খাবারে ২ পিস বা তার চেয়ে বেশি করে মুরগির মাংস প্লেটে রাখতে। মুরগির মাংসের পাশাপাশি যদি মুরগির ডিম হয় সেটিও খাওয়ার চেষ্টা করবেন কেননা দেশি মুরগির ডিমের অনেক পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা ওজন বৃদ্ধিতে আপনাকে সহায়তা করে থাকবেন।

রাতের খাবারের তালিকা দেখুন

হালকা নাস্তা বাদাম : 
রাতের খাবারের পূর্বে চেষ্টা করবেন সন্ধ্যার দিকে হালকা নাস্তা করতে। এই নাস্তার মধ্যে আপনি রাখতে পারেন প্রথমত বাদাম। বাদাম অনেক ধরনের হতে পারে যেমন চিনা বাদাম, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, ও পেস্তা বাদাম।আপনার সুবিধামতো এবং পছন্দ অনুযায়ী কিছু বাদাম রাখবেন। বাদামের মধ্যে অনেক স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আছে অনেক ধরনের মিনারেল ও ভিটামিন পাওয়া যায়। এটিও একটি প্রিয় বায়োটিক খাবার। পেটের ভেতরে থাকা উপকারী জীবাণুকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে বাদাম। তাই আপনার ওজন বৃদ্ধিতে নাস্তায় কয়েকটা বাদাম রাখার চেষ্টা করবেন।  
বাদাম শুধু সন্ধ্যার নাস্তা তে খাবেন এমনটা নয় আপনি চাইলে সকালের নাস্তা তেও করতে পারেন। এবং যেকোনো সময় আপনি দুই একটা করে খেতে পারেন। আর অবশ্যই আপনি যে বাদামটা বাজার থেকে ক্রয় করছেন খেয়াল করে দেখবেন এখানে যেন অতিরিক্ত কোন উপাদান মেশানো না থাকে। যেমন ধরুন লবণ, চিনি ইত্যাদি। কেননা বাজারে যে সকল বাদাম প্যাকেট যুক্ত পাওয়া যায় সেগুলোতে চিনি বা লবণ মেশানো থাকে। তাই ক্রয় করার সময় অবশ্যই খেয়াল করবেন। 

বিভিন্ন ধরনের বীজ : 
ওজন বাড়ানোর জন্য আরেকটু উপায় হল খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের বীজ যুক্ত করা। যেমন ধরুন মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিশির বীজ, তিলের বীজ, কালোজিরা ইত্যাদি এগুলো ভাতের সাথে হালকা করে ছিটিয়ে খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন ওজন বৃদ্ধিতে। 
রাতের খাবারে মাছ, মাংস ও সবজি :
সন্ধ্যার দিকে নাস্তা করার পর রাত নয়টার দিকে চেষ্টা করবেন রাতের খাবার সেরে ফেলা। এবং রাতের খাবার খাওয়ার সময় আপনার খাবারের তালিকায় রাখবেন মাছ, মাংস এবং সবজি। সবজিতে কিন্তু অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যায় যার শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। চেষ্টা করবেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি থেকে দুটি করে সবজি রাখতে এই সবজির আপনার শরীরের অনেক প্রোটিন যোগাবে।  

সামুদ্রিক মাছ ও বিভিন্ন শাক : 
সামুদ্রিক মাছ প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। আপনি যদি এটা প্রতিদিন খেতে পারেন তবে তো কোন কথাই নেই। এই মাছের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা আপনার দেহে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। আর নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে আপনার শরীরে ওমেগা ফ্যাটি ও অ্যাসিড ও মিলবে। যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে। 

আপনার শরীরের জন্য যেকোনো ধরনের শাক অত্যন্ত উপকারী। ধরুন সবুজ শাক, লালশ শাক, পালং শাক, লাউ শাক, ও কুমড়ার শাক যেটাই হোক না কেন সবগুলো শাক গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ সকল শাকের মধ্যে পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে। এসব শাক প্রতিদিন খাওয়ার ফলে আপনার লিভার ভালো থাকবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কারে সাহায্য করে ও শারীরিক প্রদাহ কমিয়ে দেয়। 

 যে খাবার গুলো এড়িয়ে চলবেন 

আমরা এমন কিছু খাবার খেয়ে থাকি যেগুলা আমাদের কাছে খেতে ভালো লাগে বলেই খেয়ে থাকি। আসলে আমরা জানি না সেই খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই আমাদের ওজন বৃদ্ধির জন্য এই সকল খাবার পরিহার করতে হবে যে খাবারগুলো ছেলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতি হয়ে থাকে। 

ফ্রাস্টফুড জাতীয় খাবার ঃ
ফাস্টফুড জাতীয় খাবার এতটাই ক্ষতিকর খাবার যে অনেক সময় খাওয়ার সাথে সাথে এর সাইড ইফেক্ট আমাদের শরীরে দেখা যায়। এমন কিছু চর্বি জাতীয় খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটির সমস্যা হয়। যেমন
  • ফ্রেঞ্চ ফ্রাই 
  • চিকেন ফ্রাই/ স্যান্ডউইচ
  • বার্গার 
  • পিজ্জা
  • হার্দীর বিস্কুট
  • ডাঙ্কিন কফি
  • ম্যাগি
  • পাস্তা
  • পকোরা
  • শিঙ্গারা
  • বেগুনি
  • পিঁয়াজু
  • বিভিন্ন চপ
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় ফাস্টফুড খাবার আমরা সকলেই কমবেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু ফাস্টফুড খাবার বলতে প্রকৃতপক্ষে কি বুঝায় জাঙ্ক ফুড খাবার ক্ষতিকর কেন এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। ফাস্টফুড খাবার মানে হোলো দ্রুত খাবার। ভেঙে বলতে গেলে যে সকল খাবার খুব দ্রুত তৈরি করা যায় এবং তেল যুক্ত হয়ে থাকে সেগুলোতেই ফাস্টফুড খাবার বলে। যেহেতু ফাস্টফুড খাবার তৈরি করতে সময় কম লাগে তাই ছোট বড় সকল শহরেই ফাস্টফুড খাবার তৈরি করা হয় এবং মানুষের অনেক চাহিদাও রয়েছে পাসপোর্ট খাবারের উপর। আপনারা যারা দ্রুত ওজন বাড়াতে চান তারা অবশ্যই এই সকল খাবার থেকে দূরে থাকুন। 

ওজন বৃদ্ধিতে ওষুধ পরিহার করে ঘরোয়া উপায় 

আপনারা অনেকেই আছেন যারা ওজন বৃদ্ধির জন্য বাজার থেকে অনেক ধরনের ঔষধ কিনে খেয়ে থাকেন। কিন্তু এগুলার সাইড ইফেক্ট আপনার শরীরে অনেক ক্ষতি করে। তাই এভাবে ওষুধ খাওয়া পরিহার করুন এবং ঘরোয়া উপায়ে কয়েকটি নিয়ম মেনে খাবার খান দেখতে পারবেন এর উপকারিতা। 

১. আপনারা ব্রেকফাস্ট করার সময় খাবারের তালিকায় দুধ মাখন বেশি করে খাবেন এটা শরীরকে হেলদি রাখার জন্য ওজন বাড়াতে অত্যন্ত সহায়তা করে।

২. প্রোটিন এনার্জির খুব ভালো স্রোত এ কারণে ডাল মাছ চিকেন মাটান এবং ডিম বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৩. রাতে কয়েকটা কিসমিস এবং সেটি সকালে খান দু থেকে তিন মাস পর্যন্ত এভাবে খেতে থাকলে আপনি দেখতে পারবেন পার্থক্যটা এটা কে কত উপকার হচ্ছে ওজন বৃদ্ধিতে। 

৪. চিকন থেকে হওয়ার জন্য ভাল খাবার হল আখরোট। এর মধ্যে আনশাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এটি অত্যন্ত ভালো খাবার যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

৫. আপনার ওজন বৃদ্ধিতে আলু খাওয়ার মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে হবে। আলুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেটের খনি। এটি খুব দ্রুত ওজন বাড়াতে পারবে কিছুদিনের জন্য সময় রিফাইন তেলের বদলে নারকেল তেল দিয়ে রান্না করুন। নারকেল তেলের রান্না করলে সের শীর্ণকায় থেকে স্থুলকা হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। 

৬. ডেইরি প্রোডাক্ট যেমন দুধ দই রোজকার খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এতে ফ্যাটি এসিড থাকে এবং এটি খুব তাড়াতাড়ি ওজনকে বাড়িয়ে তোলে। 

৭. আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হল পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। কেননা শরীরে ঘুমের ঘাটতি হলে আপনার শরীর কখনোই ভালো থাকবে না এর জন্য ওজন বৃদ্ধি পাবে না। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমানোর। 

এই কয়েকটি নিয়ম প্রতিদিন মেনে চলার চেষ্টা করুন।তাহলে কয়েক মাসের  মধ্যে এর ফল দেখতে পারবেন আপনার ওজন কয়েক কেজি বেড়ে গেছে।  

কি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে 

ক্যালরিযুক্ত খাবার ঃ যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। আপনি খেতে পারেন বাদাম, এভোকোডা এবং দুধের মত পুষ্টি - ঘন বিকল্পগুলি প্রয়োজনীয় সরবরাহ করার সময় প্রচুর ক্যালরি শরবরাহ করে ভিটামিন এবং খনিজ স্বাস্থ্যকর তেল চর্বিযুক্ত মাছ এবং ডিম অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী চর্বি সরবরাহ করার সময় অবদান রাখে। 

প্রোটিনযুক্ত খাবার ঃ ব উচ্চ প্রোটিন খাবার আপনার পেশি শক্তি এবং মেরামত প্রচার পরে ওজন বৃদ্ধিতে একটু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার খাদ্যের মধ্যে প্রোটিন সমৃদ্ধ বিকল্প বলি অন্তর্ভুক্ত করা আপনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। মুরগি এবং গরুর মাংসের মত চরবিহীন মাংস উচ্চমানের প্রোটিনের চমৎকার উৎস। উপরন্ত ডিম, গ্রিক দই, পনির এবং টোফু প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং সহজেই খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

মসুর ডাল ছোলা এবং মটরশুঁটির মতো লেবুতে শুধু রুটিনই বেশি থাকে না খাদ্য তালিকায় ফাইবার ও থাকে। শ্যামন মাছ টুনা মাছ এবং হুই প্রোটিন পাউডারের মত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা আপনার খাওয়ার পরিমাণ কে আরোও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনার ডায়েটে এই উচ্চ প্রোটিন খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আপনার শরীরকে পুষ্ট করতে পারেন।  

স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার : স্বাস্থ্যকর চর্বি আমাদের খাদ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর চড়বে সমৃদ্ধ খাবার অ্যাভোগোডা বাদাম এবং বিভিন্ন জাতীয় বীর খেতে পারেন। এগুলো খাওয়ার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। জলপাই তেল ও নারকেল তেল স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলোর দুর্দান্ত উৎস। জলপাই তেল বা নারকেল তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটা কে অনেক উপকার আসবে।

কি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে সেটা অবশ্যই উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন।তা অবশ্য চেষ্টা করবেন এই খাবার গুলো প্রতিদিনের তালিকায় প্লেটে রাখতে। আপনার দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য এই খাবারগুলোর কার্যকারিতা অনেক বেশি। 

সামনেই বিয়ে অল্প সময়ে ব্যায়াম করে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করুন 

অনেক মানুষেরই আশা থাকে বিয়ের আগে দেহের বাড়তি ওজন টুুকু কমিয়ে ফেলা। কিন্তু আবার যারা রোগা বা পাতলা আছেন  তাদের ক্ষেত্রটি আলাদা। তাদের আশা বিয়ের আগে খানিকটা ওজন বাড়িয়ে নেওয়া যেন দেখতে সুন্দর লাগে। তার জন্য তারা যত ধরনের পারে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে যেন একটু ওজন বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ওজন বৃদ্ধি নিয়ে বেশি হতাশা তৈরি হয়। অনেকেই আছেন যারা পরামর্শ দিয়ে থাকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলেই কি ওজন বৃদ্ধি পায়? উত্তরে বলব না।আপনি যদি পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন ব্যায়াম করতে থাকে তাহলে আপনার খুব অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধি পাবে। চলুন নীচে কিছু ব্যায়াম এর বিষয়ে কিছু জেনে নেওয়া যাক। 
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

 স্কোয়াটস ব্যায়াম ঃ কোন সময়ে নিজের লক্ষ্য পূরণ করার জন্য অর্থাৎ ওজন বৃদ্ধির জন্য স্কোয়াটস ব্যায়াম করতে পারেন। এটি আপনার কোমর থেকে দেহের নিচের অংশ এবং পায়ের হ্যামিস্ট্রিং - এর পেশী মজবুত করতে এই ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তাই সরাসরি ওজন কমানোর জন্য এই ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ডেডলিস্ট ব্যায়াম ঃ সাধারণ কিছু ব্যায়ামের সাথে শরীর অভ্যস্ত হতে শুরু করলে ওজন বাড়ানোর জন্য ভার উত্তোলন করা যেতে পারে। যেমন কাঁধ, কোমর পেট পা সহ দেহের সমস্ত পেশীগুলো মজবুত করতে এই ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে আপনি প্রথমেই খুব বেশি ওজন তোলার চেষ্টা করবেন না চেষ্টা করুন অল্প অল্প করে বৃদ্ধি করতে। একেবারে কমভারের সমান ওজন দুই হাতে রেখে ডেড লিস্ট শুরু করা যেতে পারে। একদম শুরু থেকে প্রথমে তিনবার করবেন এরপর পাঁচবার পর্যন্ত করা যেতে পারে ডেডলিস্ট ব্যায়াম।

বেঞ্চ প্রেস ঃ বেঞ্চ প্রেস ব্যায়াম হলো কাঁধ বুক এবং ট্রাই শেপের গঠন এবং পেশী মজবুত করার জন্য প্রশিক্ষকরা এই ব্যায়ামটি করার পরামর্শ দেন। তবে এক্ষেত্রেও দুহাতে সামান্য ওজন নিয়ে এই ব্যায়াম শুরু করা উচিত। পিঠ এবং কোমরে যাতে আঘাত না লাগে, তার জন্য সরু বেঞ্চের উপর শুয়ে অভ্যাস করতে হয় এই ব্যায়াম। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে পাঁচ বার অভ্যাস করুন এই ব্যায়াম। এই ব্যায়ামের সঙ্গে শরীর অভ্যস্ত হতে শুরু করলে সময় বাড়িয়ে নিবেন।

পুল আপস ঃ লিস্ট ব্যায় অভ্যাস করে দেহের উপরের অংশের পেশী একটু ধাতস্থ হতে শুরু করলে নজর দিবেন পিঠের পেশিতে। প্রথমেই যদি পুরো শরীর ঝুলিয়ে রেখে পুল আপস অভ্যাস করতে না পারেন তাহলে পায়ের তলায় রাখতে পারেন টুল। প্রথমে এই টুল এর সাহায্যে রোড ধরে গোটা শরীর ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে কোন সাহায্য ছাড়াই টিন সেট করে পাঁচবার অভ্যাস করুন পুল আপস ব্যায়ামের।  

ওভারহেড প্রেস ঃ গহহ বিয়ের পাঞ্জাবি পরিচিত নতুন বরের সুঠাম, বেশি বকুল কাজ দেখতে কারিনা ভালো লাগে। কিন্তু কাধের পেশি তেমন ভাবে করার জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়ামে অভ্যাস করা অত্যন্ত জরুরী। তবে শুরুতেই বেশি ওজন তোলা যাবে না কারণ অনেকেরই কাঁধ হাতের পেশিতে তেমন জোর থাকেনা। তাই খুব ভারী কিছু তুলতে গেলে পেশীতে চোট লাগার আশঙ্কা থাকবে। 

আশা করছি দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় উপরে যে ব্যায়ামের কথা বলা হলো অবশ্যই অল্প সময়ের মধ্যে ওজন বৃদ্ধির জন্য এই ব্যাংকগুলো করার অভ্যাস তুলতে হবে।এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন শুধু ক্যালোরি যুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার খেলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে না পাশাপাশি আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে।ব্যায়াম করার ফলে আপনার ওজন শুধু বৃদ্ধি পাবে না আপনার শরীর সুস্থ থাকবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

কিছু সতর্কতা মেনে চলুন 

  • আপনার ওজন আসলে বাড়ানো উচিত কিনা সেটা আগে ভালো মতো বুঝে নিন। যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম তাদের জন্য ওজন বাড়িয়ে স্বাভাবিকের আনা প্রয়োজন। কারণ ওজন কম থাকলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারেন।
  • কিছু রোগের কারণে ওজন তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আগে চিকিৎসা জরুরী। যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস বা মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে ওজন কমতে থাকে। তাই ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করার আগে একজন চিকিৎসককে দেখিয়ে নিবেন যে আপনি ঠিক আছেন কিনা।
  • কোন কারন ছাড়া বা কোন চেষ্টা ছাড়া ওজন কমে যেতে শুরু করলে তখন অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডক্টর দেখানো উচিত।
  • ওজন বাড়ানোর জন্য নিজেই কোন ধরনের ওষুধ সেবন করবেন না। ওষুধটি আগে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করার চেষ্টা করুন।
  • ওজন বাড়াতে চাইলে কিন্তু কিছু ব্যায়াম করতে হবে  নিয়মিত। সপ্তাহে আড়াই ঘন্টা ব্যাময়াম একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সুস্থ থাকার জন্য জরুরী।
  • খাবারের পরিমাণ ও ধরনে পরিবর্তন আনলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।যে খাবারগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিক হচ্ছে সেগুলো বাদ দিয়ে খেতে শুরু করুন। এছাড়া সাইবার সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করুন। 
  • উপরে যেগুলো সতর্কতা দেওয়া হলো অবশ্যই এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন তাহলে অবশ্যই আপনার নিজের জন্য উন্নতি দেখতে পাবেন।

দ্রুত মোটা হওয়ার দোয়া ও আমল 

আপনারা অনেকেই আছেন যারা মনে করেন যে মোটা হওয়ার কোন দোয়া বা আমল নেই। কিন্তু ইসলামে মোটা হওয়ার জন্য অনেক হাদিস রয়েছে, যা শরীরের সুস্থতা এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য সাহায্যকারী। বিশেষ করে হাদিসে বলা হয়েছে খেজুর ও শসা একসাথে খাওয়া এটা সুন্নত। হাদিসে  আরও বলা হয়েছে খেজুর এবং শসা শরীরের পুষ্টি উন্নত করতে সহায়ক ও ভূমিকা রাখে। 

হযরত আয়েশা ( রা:) বর্ণনা করেছেন যে, তার মাতা তাকে স্বাস্থ্যবান করে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে পাঠানোর জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা খাওয়ার পরামর্শ দিলেন। তখন তিনি খাওয়া শুরু করলেন এবং স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠলেন। (আবু দাউদ হাদিস নাম্বার ৩৯০৩) এছাড়া ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুস্থ শরীর এবং সুস্থ খাদ্য অভ্যাসের জন্য প্রাকৃতিক খাবার ও শরীরের যত্ন নেওয়ার প্রতি গুরুত্বশীল হতে বলেছেন। 

লেখকের মন্তব্যঃ দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায়

দ্রুত ওজন বৃদ্ধির উপায় ওজন বাড়ানো বিষয়টা কোন ম্যাজিক নয়। ধৈর্য নিয়মিত  খাওয়া সাথে ব্যায়াম সবকিছু মিলেই ফল পাওয়া যায়। শুধু বেশি খাবার খেলেই নয় বুদ্ধিমত্তার সাথে পুষ্টিকর ও সঠিক খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনি যদি এই উপায় গুলি মেনে চলতে পারেন তাহলে দু মাসের মধ্যে ভালো একটা পরিবর্তন দেখতে পারবেন।তবে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা থাকলে অবশ্যই সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ আপনার শরীরের ভিতরে যদি বড় কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কখনোই আপনার ওজন বৃদ্ধি বা মোটা হওয়া সম্ভবপর নয়। 

মনে রাখবেন, এগুলি কিন্তু সাধারণ খাবারের চেয়ে বিকল্প। আপনার স্বতন্ত্র চাহিদা এবং খাদ্য তালিকা গত পছন্দ গুলোর উপর ভিত্তি করে অংশের আকার এবং নির্দিষ্ট খাবারের পছন্দ গুলো সামঞ্জস্য করুন। অতিরিক্ত ভাবে নিশ্চিত করুন যে আপনি সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেছেন এবং ক্যালরির পরিমাণ বাড়াতে প্রয়োজন হলে খাবারের মধ্য স্বাস্থ্যকর স্নাক্সস বিবেচনা করুন। একজন পুষ্টিবিদ এবং ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা আপনার লক্ষ্য এবং স্বাস্থ্যর প্রয়োজনীয়তার জন্য নির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। 

তো সবশেষে যেটা বলবো অবশ্যই আপনার আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে উপরের টিপস গুলো অনুসরণ করুন। আর আমার লেখা পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে পাশে থাকবেন। আর পরবর্তী আপডেট জানতে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ
  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url