গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় তার গোপন রহস্য জানুন

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় তার গোপন কিছু আমল রয়েছে এটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেলটি পড়তে হবে। একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য গর্ভকালীন সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।  এসময়ে সেই মা যতটা আনন্দে থাকবে তার চেয়ে বেশি সচেতন থাকা উচিত। প্রায় মেয়েরা চাই যে তার গর্ভের সন্তান ফর্সা হোক। আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

সকলেই মনে করে যে গর্ব অবস্থায় কিছু খাবার রয়েছে যা খাবার ফলে বাচ্চা ফর্সা হয়ে থাকে চলুন তাহলে সেই বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিত জেনে আসা যাক তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো। 

সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি খিদে পেয়ে থাকে। এই সময়টাতে একজন গর্ভবতী মা যতটা পুষ্টিকর খাবার খাবে ঠিক সে অনুযায়ী তার সন্তান ও সুস্থ থাকবে। বর্তমান সময়ে প্রায় বেশিরভাগ মায়েরা বা তার পরিবারের মানুষ চায় যে তার সন্তান ফর্সা হোক। এজন্য তারা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরো অনেক নিয়ম মেনে চলে সন্তান ফর্সা করার জন্য। 
তাদের জন্য আগে একটি কথা বলে নেই যে কোন খাবার ফলে সন্তান ফর্সা হয় না বরং সেই সন্তানের পিতা-মাতা বা তার বংশ যদি ফর্সা হয় তাহলে সে সন্তানও ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এখানে জেনেটিক বিষয়টা বেশি প্রাধান্য পায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায় পিতা-মাতা ফর্সা হওয়ার পরেও সন্তান কালো হয় এটি ব্যতিক্রম বিষয়। একটি মায়ের মনে রাখতে হবে যে ত্বকের উপরেই সবকিছু নির্ভর করে না বরং সেই সন্তানের সুস্থতা মেধাবী এই সকল দিক বেশি প্রায়োরিটি পায়। 

কারণ একটি সন্তান যদি অসুস্থ হয়ে জন্মায় তাহলে তার সে দুঃখী মানুষ আর কেউ নেই কেন না তার জীবনের শুরু থেকেই সে অসুস্থতা নিয়ে বেড়ে উঠেছে। এই জন্য সকল মায়ের উচিত তার সন্তানকে ফর্সা করা নয় বরং সুস্থ ও মেধাবী করার জন্য গর্ভকালীন অবস্থায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। খারের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের সচেতন হওয়া ও খেয়াল রাখা। 

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা মেধাবী হয়

আপনারা সকলে জানতে চান যে কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং আরো অনেকে জানতে চান যে কি খেলে বাচ্চা মেধাবী হয়। তাই চলুন আপনাদের জন্য কিছু খাবারের টিপস শেয়ার করা যাক যে খাবারগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা দেখা যাক। এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে উপরওয়ালা চাইলে তার বাচ্চা ফর্সা হবে মেধাবী হবে এবং সুস্থ হবে। নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
  • দুধঃ প্রচলিত ধারণা থেকে ধরে নেওয়া হয় যে গর্ভবতী মায়েরা দুধ খাওয়ার ফলে তার পেটের বাচ্চা ফর্সা এবং মেধাবী হয়ে থাকে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের জন্য দুধ খাওয়া অনেকটাই ভালো এতে করে তার শিশুর হাড় গঠনে সহায়তা রাখে দুধ।
  • জাফরানঃ গর্ভকালীন সময়ে অনেক মায়েরাই আছে যারা জাফরান দিয়ে দুধ খেয়ে থাকে আর মনে করে তার বাচ্চা ফর্সা হবে। জাফরানের অনেক গুনাগুন রয়েছে সেই ক্ষেত্রে থেকে দেখা গেলে বাচ্চা ফর্সা ও মেধাবী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেক দামি একটু উপাদান তাই সকলেই এটা খাওয়ার সামর্থ্য রাখেনা।
  • চেরি জাতীয় ফলঃ চেরি ফল, মালবেরি, বুলুবেরি, এ সকল ফল খাওয়ার ফলে আশা করা যায় যে গর্ভের সন্তান মেধাবী ও ফর্সা হয়ে থাকবে।
  • রঙিন সবজিঃ রঙিন সবজির মধ্যে রয়েছে টমেতো, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, বিটরুট ইত্যাদি এ জাতীয় সবজি খাওয়ার ফলে পেটের বাচ্চা ফর্সা হয়ে থাকে।
  • নারকেলঃ প্রচলিত ধারণা থেকে সকলেই মনে করে থাকে নারকেল খাওয়ার ফলে একজন শিশু পেটে থেকে ফর্সা হয়ে জন্ম নেয়। কিন্তু অতিরিক্ত নারকেল খাওয়ার ফলে শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।কারণ নারকেলে থাকে ঠান্ডা লাগা সম্ভাবনা টা বেশি। তাই গর্ভবতী মায়েরা চেষ্টা করবেন নারকেল খেলেও সেটা যেন কম পরিমাণে হয়ে থাকে। 
  • কমলাঃ কমলার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা খাওয়ার ফলে পেটের বাচ্চা ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তাই আপনি চাইলে নিয়ম করে প্রতিদিন কমলা খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের দুর্বলতা টাও দূর হবে এবং সন্তানের জন্য উপকার হবে। 

গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি হয় 

গর্ভ অবস্থায় একজন মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর গুণসম্পন্ন খাবার খাওয়া উচিত। আর এই খাবারের মধ্যে খেজুর ও বেশ উপকারী ও জনপ্রিয় একটি ফল। যা খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মায়ের দুর্বলতাকে দূর করে দেয়। শিশুর বিকাশে সহায়ক ও ভূমিকা রাখে। প্রতিটা গর্ভবতী মায়েরই উচিত প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটা খেজুর এবং তার সাথে কিসমিস কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম এগুলো খাওয়ার অভ্যাস করা।
এগুলো সব উপাদান একসাথে খাওয়ার ফলে আশা করা যায় সেই গর্ভবতী মায়ের শরীরের অনেক দুর্বলতাকেই কাটিয়ে ওঠা যাবে এবং তার পেটের সন্তানের সুস্থ থাকবে এবং মেধাবী হবেন। এটা খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবেন। খেজুর শুধু গর্ভবতী মায়েদের জন্যই নয় বরং সকল শ্রেণীর নারী পুরুষের জন্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেরা যদি নিয়মিত খেজুর খায় এতে করে তার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং বীর্য ভালো থাকে। 

এছাড়াও এমনি ছোট বড় সকলে খাওয়ার ফলে তাদের শরীর অনেক স্ট্রং হয় শারীরিক দিক দিয়ে তারা সুস্থ থাকে। তাই সকলেই চেষ্টা করবেন নিয়মিত করে খেজুর খাওয়া খাবার আর গর্ভবতী মহিলারা অবশ্যই খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন এতে করে আপনার বাচ্চা ফর্সা হবে, মেধাবী হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত একটি ফুটফুটে বাচ্চা পাওয়ার আশা থাকে। 

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না 

সকল গর্ভবতী মায়েরা যেমন জানতে চান যে গর্ভকালীন সময়ে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের কি কি উপকার পাবেন। ঠিক তেমনিভাবে এটাও আপনাকে জেনে রাখতে হবে যে এই সময়টাতে কোন কোন ফল খাওয়া যাবেনা। কারণ আপনি যদি না জেনে বুঝে সে সকল খাবারগুলো খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য অনেক ধরনের বিপদ হতে পারে তাই চলুন এই ফল বা খাবার গুলোর নাম জেনে নেওয়া যাক।
  • পেঁপেঃ প্রথমেই বলে রাখি গর্ভবতী মায়ের জন্য অন্ততপক্ষে প্রথম তিন মাসের মধ্যে এই ফলটি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এতে করে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আনারসঃ আনারস খুবই মুখরোচক একটি দারুণ ফল যা কম বেশি সবাই পছন্দ করে থাকে। কিন্তু গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রথম তিন মাসের দিকে এই ফলটি এড়িয়ে চলাই তার জন্য উত্তম হবে।
  • অতিরিক্ত চা কফিঃ গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত চা কফি খাওয়া যাবেনা। কারণ চা কফি হল ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যা খাওয়ার ফলে মায়ের এবং শিশুর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অল্প সিদ্ধ খাবার না খাওয়াঃ এই সময়টাতে অবশ্যই চেষ্টা করবেন যেন খাবার কে ভালো মত সিদ্ধ করে খেতে কারণ অল্প সিদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে আপনার বদহজম হবে এর কারণে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • সামুদ্রিক মাছ না খাওয়াঃ সামুদ্রিক অনেক মাছ রয়েছে যেমন টুনা মাছ এ ধরনের মাছ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • অ্যালকোহল পরিহার করাঃ যে সকল মেয়েরা এলকোহল সেবন করে থাকে তারা অবশ্যই এই সময়টাতে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। কারণ এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ দেখব এ নিয়ে আসবে আপনার ও আপনার অনাগত শিশুর জন্য। 

গর্ভাবস্থায় ডালিম খেলে কি হয়

অনেকেই চিন্তা করেন যে গর্ব অবস্থায় কি ডালিম খাওয়া উচিত? আমি বলব হ্যাঁ। কারণ ডালিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ফ্যাটি এসিড, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান। একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অবশ্যই ডালিমের রস খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে আপেল, কমলা, আতা, কুল কুল এগুলোর চেয়ে চার গুণ বেশি পুষ্টিকর খাবার হল ডালিম ফল। 

যা খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতাকে দূর করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। এছাড়াও গর্ভের শিশুকে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। এছাড়া ডালিম খাওয়ার ফলে গর্ভের সন্তান ফর্সা ও মেধাবী হওয়ার সম্ভাবনা আর বেশি থাকে। সকল গর্ভবতী মায়েরই উচিত গর্ভকালীন সময়ে অথবা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন হলেও ডালিমের রস খাওয়ার অভ্যাস করা। 
ডালিম খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়ের ক্ষতিকর কোন কিছু হতে পারে এরকম কোন দিক এখন পর্যন্ত কোন বিশেষজ্ঞ বলতে পারেনি বা দেখাতে পারেনি। তাই সহজ ভাবে ধরে নেওয়া যায় এই ফলটি খাওয়ার ফলে কোন সাইড ইফেক্ট করবে না যা নেতিবাচক দিকে চলে যাবে। তাই সবাই এই ফলটি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

গর্ভাবস্থায় মাল্টা খাওয়া যাবে কি 

অনেকেই মনে করি যে গর্ভাবস্থায় কি মালটা খাওয়া যাবে? উত্তরে বলব যে হ্যাঁ। আমরা সকলেই জানি যে মালটা ফলটি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক ভালো ইফেক্ট ফেলে। মালটা খাওয়ার ফলে গর্ব অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর হয় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। 

এছাড়াও মালটা খাওয়ার ফলে অনাগত সন্তানের হার গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আপনারা যারা বাচ্চাকে ফর্সা দেখতে চান বা মনে করেন যে আপনার বাচ্চা মেধাবী হোক তাহলে সেই জায়গা থেকে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন মাল্টার রস খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মালটা খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের যে সকল দিকগুলো উপকার হয় সেগুলো দেখে নেওয়া যাক। 
  • শিশুর দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তোলে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • গর্ভকালীন সময়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
  • পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে 
  • হার্টের অবস্থা ভালো থাকে 
  • শিশু মেধাবী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

গর্ভাবস্থায় কোন কোন সবজি খেতে হবে

গর্ভাবস্থায় মায়েদের অবশ্যই রুটিন মাফিক একটি খাবারের তালিকা থাকবে যে মেনে চলতে হবে।কেননা মা ও শিশু সুস্থ থাকার জন্য এগুলো করা উচিত। গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে অনেক ধরনের খাবারই খেতে হয় তার মধ্যে থেকে কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে শিশুর হাড়ের বেড়ে উঠা, ব্রেন ভালো হওয়া, রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পাওয়া, ত্বক সুন্দর হওয়া এগুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মাকে ভিটামিন এ যুক্ত খাবার তথা এসব যেগুলো খেতে হবে।
  • বিটরুটঃ বিটরুটে রয়েছে উচ্চ ফাইবার
  • মিষ্টি আলুঃ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি
  • ব্রোকলিঃ ভিটামিন সি
  • টমেটোঃ ভিটামিন সি এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ
  • মটরশুঁটিঃ ভিটামিন সি এবং ফাইবার যুক্ত
  • গাঢ় সবুজ পাতাঃ ক্যারোটিন ও ফাইবার
  • ধনেপাতাঃ ভিটামিন ই এবং রাইব্লোফ্লোভিন
  • লাল শাকঃ লাল শাক এ রয়েছে প্রচুর ভিটামিন

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে

গর্ভের সন্তানের বিকাশের জন্য অনেক ধরনের ফল রয়েছে যা খাওয়া জরুরী। এই ফলগুলো খাওয়ার ফলে মাড়ি গঠন, দাঁত ও হাড়ের বিকাশের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। আপনার গর্ভের শিশুর ভালো থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই খাবারগুলো খেতে হবে। প্রথম কথা হল এই খাবারগুলো খাওয়ার ফলে আপনি নিজের সুস্থ থাকবেন আপনার শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে আর সেই সাথে আপনার সন্তানও ভালো থাকবেন। 
  • কেননা আপনি যদি শারীরিক ও মানুষের দিক দিয়ে ভালো না থাকেন সেটার ইফেক্ট করবে আপনার সন্তানের উপর। তাই প্রথমে চেষ্টা করতে হবে আপনাকে ভালো রাখার এবং আপনি যেগুলো খেতে পছন্দ করেন সেগুলো খাওয়ার।তাহলে চলুন জেনে নেই যে কোন ফল গুলো গর্ভাবস্থায় খেলে আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য উপকার হবে। 
  • পেয়ারাঃ এই ফলটি আপনি সারা বছরই আপনার হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন এবং অল্প টাকার মূল্যে।এটি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের অনেক উপকার হবে।
  • কমলাঃ ফাইবার এবং ফলিক এসিড যুক্ত খাবার হল এই কমলা। কমলা খাওয়ার ফলে আপনার ভ্রূণের মস্তিষ্ক গঠনের সহায়তা করে।
  • কলাঃ প্রতিদিনের খাবার তালিকায় চেষ্টা করবেন অন্ততপক্ষে একটি করে কলা খাওয়ার। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা আপনার শরীরের শক্তি যোগাবে।
  • আপেলঃ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা খাওয়ার ফলে আপনার সন্তানের এলার্জি ও অ্যাজমা হওয়ার সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
  • কিউইঃ এই ফলে রয়েছে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা খাওয়ার ফলে আপনার সন্তানের হার্টের অবস্থা ভালো থাকবে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকবে যার পরিপ্রেক্ষিতে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। 
  • আমঃ জানলে অবাক হবেন যে আমের মধ্যে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।
  • ডালিম বা বেদানাঃ গর্ভকালীন সময়ে ডালিম বা বেদানা খাওয়া আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো এতে করে আপনার শরীরের দুর্বলতা দূর হবে এবং আপনার সন্তান সুস্থ থাকবেন।
  • স্ট্রবেরিঃ স্ট্রবেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ভিটামিন যুক্ত যা আপনার শরীরের জন্য একটি অত্যাধিক ভালো এবং আপনার সন্তানকে ফর্সা ও মেধাবী করতে এই ফল টি ভূমিকা রাখে। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা যায় যা প্রতিরোধে কাজ করে লেবু। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে বাঁচিয়ে শক্তিশালী করে তোলে। 
গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
আবার গর্ভকালীন সময়ে অনেক মহিলার হজমের সমস্যা হয়ে থাকে এর ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়, বমি বমি ভাব হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যর দেখা দেয়। লেবু খাওয়ার ফলে খুব সহজেই বদহজম দূর করে নিজেকে ভালো রাখা যায়। এছাড়া খুব কমন একটু সমস্যা রয়েছে গর্ভবতী মায়েদের মর্নিং সিকনেস প্রায়ই দেখা যায়। মর্নিং সিকনেস হল বমি বমি ভাব বা বমি করা, মাথা ঘুরা, শরীর দুর্বলতা, মুখে অরুচি এগুলা লেগেই থাকে। 

তাই এগুলো থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অবশ্যই একজন গর্ভবতী মায়ের রুটিন মাফিক খাবার খেতে হবে এবং তার খাবারের তালিকায় লেবু রাখতে হবে। তিনি চাইলে লেবুর রস করে খেতে পারে আবার ভাতের সাথেও খাওয়া যাবে।এছাড়াও দেখা যায় যখন কোন কিছু খেতে ভালো লাগছে না বা বমির ভাব আসছে তখন একটু লেবু স্লাইস করে কেটে হালকা লবণ দিয়ে চেটে খেলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়।তাই সকল দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য লেবু সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

উপসংহারঃ গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এতক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝে গেছেন উপরের লেখাগুলো দেখে।গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং মেধাবী হয় সে সকল বিষয় ছাড়াও কোন কোন খাবার খাওয়া ভালো এবং মন্দ সেগুলো আলোচনা করা হয়েছে। এরপরেও যদি আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় বা আরো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে যাবেন। 

এতে করে আমরা আপনার সমস্যাগুলো করার চেষ্টা করব এবং আপনি যা জানতে চাচ্ছেন সেটা জানিয়ে দিব। আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তীতে আপডেট পেতে ব্লক ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন। আমার লেখার মধ্যে ভুল হলে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url