দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সেই সম্পর্কে জানুন
বর্তমান সময়ে মানুষ ভালো থাকার এবং উন্নত জীবনের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য
জায়গায় স্থানান্তর হচ্ছে। অনেক প্রবাসীরা রয়েছে যারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই গেছে
এখন দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়ার ইচ্ছা করছে। কিন্তু তারা কোন উপায়ে যাবে কত টাকা
খরচ হবে এসব কিছু জানেনা।
তাই তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি নিয়ে আসলাম। দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার
আনুষঙ্গিক সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পরার
অনুরোধ রইলো। তাহলে চলুন দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার বিষয়ে সকল কিছু জেনে নেই।
সূচিপত্রঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত সময়, দূরত্ব, ইউরো-টাকা দেখুন
- দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি কাগজ লাগে
- দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
- দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
- বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাবেন যে যে ভিসায়
- দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
- দুবাই থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- দুবাইয়ের পর্যটন শহরের নাম কি
- উপসংহারঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আজকের আর্টিকেলটির মধ্যে তুলে ধরা হবে দুবাই থেকে কিভাবে ইতালিতে যাওয়া যায় এবং
কত টাকা খরচ হয়। তাই যারা দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই
আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। দুবাই থেকে ইতালিতে যাওয়া শুধুমাত্র এটি
ভৌগলিক স্থানান্তর নয় বরং উন্নত জীবন পরিচালনার আশায় এবং অধিক বেতন লাভের জন্য
অনেকেই ইতালিতে পাড়ি জমায়।
তবে এই যাত্রা হতে হবে একদম বৈধ উপায়ে এবং সুপরিকল্পিতভাবে। কারণ অবৈধ পথে
ইতালিতে গমন করতে গেলে মানব পাচার বা অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয়। ইতালির জীবনযাত্রা স্বাস্থ্যসেবা কাজের বেতন ও সামাজিক নিরাপত্তা
সবকিছুই অনেক উন্নত হওয়ার কারণে প্রবাসীরা প্রবাসীরা
আকর্ষণীয় হয়। আর্থিক এ কারণেই দুবাই থেকে হোক বা বাংলাদেশ থেকে হোক
আবার অন্যান্য রাষ্ট্র থেকেই হোক অনেকেই ইতালি যেতে চায়।
কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা ও গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হয়।তাই
আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েন এখান থেকে অনেক কিছু জানতে
পারবেন। দুবাই থেকে ইতালি যেতে থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়। বিমান ভাড়া
পড়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত এবং আনুষঙ্গিক এজেন্সি থেকে শুরু করে সকল খরচ মিলে
১২ লাখ টাকার মত হয়ে যায়।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত সময়, দূরত্ব, ইউরো-টাকা দেখুন
দুবাই থেকে ইতালির ভৌগোলিক দূরত্ব হলো ৬ হাজার ২৭৪ কিলোমিটার। অনেক
প্রবাসী আছে যারা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে দুবাই সৌদি আরব কাতার মালয়েশিয়া এ সকল
রাষ্ট্রে গমন করে। তারপরে আবার উন্নত জীবন ও ভালো মানের বেতনের আশায় সেখান
থেকে ইতালি যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তার মধ্যে একটি হলো দুবাই থেকে ইতালি
যাওয়া। দুবাই থেকে ইতালি যেতে প্রাইয় ৬ থেকে ১০ ঘন্টা সময় পর্যন্ত
লাগে।
এদিকে আবার বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে ভৌগলিক দূরত্ব হয় ৩ হাজার
৫৪৩ কিলোমিটার। আর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে
যদি সরাসরি বিমানে করে যাওয়া হয়। আর যদি কোন লোকাল বিমানে যাওয়া হয়
তাহলে সে ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময়ও লেগে যেতে পারে। এছাড়া দুবাই থেকে
ইতালি যেতে বিমান ভাড়া খরচ পরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ ৫০ হাজার
টাকা পর্যন্ত।ইতালির ইউরো আর বাংলাদেশের টাকার মান হিসেবে ইতালির এক ইউরো
সমান বাংলাদেশের ১২৫ টাকা পাঁচ পয়সা।
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কি কি কাগজ লাগে
একজন প্রবাসীকে বৈধভাবে যাওয়ার জন্য এক রাষ্ট্র থেকে অন্য রাষ্ট্রে যেতে অনেক
কাগজ পত্র তৈরি করতে হয়। ঠিক তেমনি দুবাই থেকে ইতালি যেতে ভিসা পাসপোর্ট এর
জন্য কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন দেখা দেয় এবং কি সে কাগজ পত্র চলুন একটু
দেখে নেওয়া যাক।
- ই পাসপোর্ট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ট্রাভেল রেকর্ড
- ই-ভিসা
- NOC
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- হোটেল বুকিং
- স্টুডেন্ট হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচয় পত্র
- বিমান টিকেট
দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া
আপনি যখন বৈধভাবে দুবাই থেকে ইতালিতে যাবেন বা যাওয়ার চেষ্টা করবেন তখন আপনাকে
কিছু স্টেপ অনুসরণ করে চলতে হবে। এবং স্টেপ অনুযায়ী আপনাকে আবেদন
করতে হবে ভিসার জন্য।তাই আমরা এখন আলোচনা করব কিভাবে দুবাই থেকে ইতালি যাওয়ার
জন্য ভিসার আবেদন করতে হয় চলুন একটু দেখা যাক।
- আবেদন ফরমঃ প্রথমে আপনাকে ইতালির ভিসা পাওয়ার জন্য ইতালির এমব্যাসির ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফর্ম থাকবে সেটাকে পূরণ করতে হবে। সেখানে আপনার সকল তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করবেন।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ আবেদন করার সময় আপনার বৈধ ডকুমেন্ট এবং আপনার ছবি পাসপোর্ট দিতে হবে। এছাড়াও দুবাই রেসিডেন্ট পারমিট ডকুমেন্টস ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। তারপর এগুলোকে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় তথ্যঃ প্রয়োজনীয় তথ্য মূলত আপনি ইতালিতে গিয়ে কি ধরনের চাকরি বা ব্যবসা কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা আপনাকে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মতন বেতন পেয়ে থাকেন দুবাইয়ে তাহলে ৯৯% আপনার ইতালির ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- ভিসা ফি পরিশোধঃ ভিসার আবেদন করার সময় আপনাকে ফ্রি পরিশোধ করতে হবে। এসি কিভাবে পরিশোধ করতে হবে সেটা তাদের ওয়েবসাইটে বলা থাকবে।
- ইন্টারভিউঃ ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের ভিসায় যাওয়া যাবে কিন্তু কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যে ওই ক্যাটাগরির ভিসায় যেতে হলে আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউ আপনি সকল সঠিক তথ্য প্রদান করবেন এবং ইন্টারভিউ সম্পর্কে তাদের এজেন্সি থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এভাবে আপনি সকল তথ্য জমা দেওয়ার পরে এবং সেগুলো যদি সবকিছু বৈধ হয় আপনি ভিসা
পেয়ে যাবেন। আর আপনার ভিসা নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে বলে দেয়া
হবে।
আরো পড়ুনঃ কোটি টাকা আয় করার যে সকল উপায় আছে
মনে রাখবেন যে ইতালিতে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার ভিসা ও পাসপোর্ট সাথে
রাখতে হবে। আর অবশ্যই আগে জেনে নিবেন যে দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
তারপরে আবেদন করবেন তা না হলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার উপায়
দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন।
তাই আপনাদের জন্য একটু আলোচনা করবো যে কিভাবে দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া যায়
আর কোন কোন প্রসেসিং এর মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব। দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার
জন্য অবশ্যই আপানর ভিসার প্রয়োজন হবে। দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ৩ টি
ক্যাটাগরিতে ভিসা পাবেন চলুন জেনে নেই।
- কাজীয় বা পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি এই পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে সেখানকার একটি কোম্পানিতে চাকরির আবেদন করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় যদি আপনার কোন বন্ধু থেকে থাকে তাহলে ভিসা পেতে একটু সুবিধা হবে। তবে এই ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার নিয়োগ কর্তার অফার লেটার লাগবে।
- পর্যটন ভিসা বা ভিজিট ভিসাঃ আপনি যদি ভিজিট ভিসায় যাতে চান তাহলে অবশই আপনার ভ্রুমনের হিস্ট্রি লাগবে। অর্থাৎ ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ভালো দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। এছাড়াও আপনার ভ্রমনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক বালেন্স এর রেকর্ড থাকতে হবে। তাহলে সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। আর না থাকলে আপনার জন্য ভিসা পেতে অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
- স্টুডেন্ট ভিসাঃ আপনি যদি সটুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠানের ভর্তি কনফার্ম করতে হবে। তাছাড়াও আপনার ভর্তি থেকে শুরু করে থাকা খাওয়ার সকল খরচের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। আবার আপনাকে ইংলিশে ভালো দক্ষ হতে হবে। অর্থাৎ আইলস ইস্কোর ৫.৫ হতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাবেন যে যে ভিসায়
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য অনেকগুলো ধাপ বা ক্যাটাগরি রয়েছে আপনি চাইলে
এর যে কোন একটাতে যেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যেতে হলে যে সকল
ক্যাটাগরিতে যেতে হবে চলুন সেটা একটু আলোচনা করে নেই।
- স্টুডেন্ট ভিসায়ঃ প্রথমে আপনাকে ইতালির কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। এরপর সেখান থেকে একটা এবং তারপর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং আবেদনের জন্য আপনার সব বৈধ তথ্যগুলো দিতে হবে যেমন আপনার ছবি ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর অন্যান্য কাগজপত্র। ভিসা হতে প্রায় দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।
- লেভার ভিসায়ঃ কাজের ভিসার ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে তাদের কোন কোম্পানিতে আবেদন করতে হবে এরপর আপনার কাজ হয়ে গেলে ইতালির দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে এভাবে আপনি কাজের ইতালিতে যেতে পারেন।
- পর্যটন ভিসায়ঃ আপনি যদি ইতালিতে পর্যটক হিসেবে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে পাসপোর্ট, ফ্ল্যাট বুকিং, হোটেল রিজার্ভ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ভিসা ফি প্রদান করতে হবে। আর আপনি পর্যটক বিষয় গেলে ৯০ দিনের বেশি সেখানে থাকতে পারবেন না এবং কোন কাজও করতে পারবেন না।
- পারিবারিক ভিসাঃ আপনি যদি পারিবারিক ভিসা ইতালিতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই সে ক্ষেত্রে আপনার পরিবারের যারা রয়েছে তাদেরকে বৈধ বাসিন্দা হতে হবে। এরপর তাদের সাথে পুনর্মিলনের জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর ইতালির এম্বাসি থেকে আপনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
দুবাই থেকে ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন আমরা কম বেশি সকলেই দেখে থাকি। কেননা ইউরোপের
দেশগুলোতে জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত। সেখানে যদি একবার যাওয়া যায় এবং
একটা ভালো মানের বেতন হয় তাহলে তার আর কি লাগে। তাই অনেকেই যেতে চেয়েও
যাওয়া হয় না অর্থের অভাবে। কারণ ইউরোপে যেতে খরচ হয় যার সামর্থ্য
আমাদের অনেকের নেই।
আবার অনেকেরই সামর্থ্য থাকার পরেও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে গ্রুপে
যেতে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ইউরোপে যাওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ যেমন আরব
আমিরাত কাতার দুবাই এ সকল দেশ থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য সহজেই ভিসা পাওয়া
যায় তেমন কোন হয়রানের শিকার হতে হয় না।তাই বেশিরভাগ প্রবাসী বেছে নেয় দুবাই
থেকে ইউরোপে যাওয়ার অপশনটি।
বর্তমানে দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার ভিজিট ভিসা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন অল্প কিছু
টাকা খরচ করার মাধ্যমে। আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে প্রথমে দুবাইয়ে যাওয়ার
চেষ্টা করবেন তখন আগে চাকরির বেতন হিসেবে শিওর হয়ে নিবেন যেন ৫ হাজার
দিরহাম বেতন হয়ে থাকে। এরপরে আপনি দুই বছরের মেয়াদী একটি ভিসা
পাসপোর্ট করলেন তারপরে সেখানে যাওয়ার পরে এক বছর থাকলেন এবং তারপরে সেখান থেকে
ইউরোপে যাওয়ার জন্য আবার ভিসার আবেদন করতে পারেন।
এভাবে যেতে পারলে আপনার অনেক কম খরচ হবে যা বাংলাদেশের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ
খরচ পড়বে। তাই যারা ইউরোপে যেতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার
করেও ইউরোপে যেতে পারেন। আবার যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে তারা চাইলে
সরাসরিও ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে পারেন।
দুবাই থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
দুবাই থেকে আপনি অনেক সহজে এবং অল্প খরচে পৃথিবীর প্রায় সব রাষ্ট্রেই যেতে
পারেন। কিন্তু এমনও রাষ্ট্র আছে যেখানে যেতে চাইলেও আপনি পারবেন না বাংলাদেশ
থেকে। আবার যেতে পারলেও এতগুলো সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে যে আপনি এক পর্যায়ে
হয়রানির শিকার হবেন। আবার আপনার টাকার খরচটা বেশি পরিমাণে চলে যাবে।
তাই অনেকেই আছেন যে যারা অন্যান্য রাষ্ট্রে যেতে চায় কিন্তু অনেক টাকা
খরচ পড়ে যায় তারা এরকমটা করে থাকে। প্রথমে তারা নিজ দেশ থেকে
দুবাইয়ে যায় এবং সেখানে কিছুদিন কাজ করার পরে খুব সহজে এবং অল্প খরচের মধ্যে
ইউরোপ সহ অন্যান্য উন্নত দেশগুলোতে যেতে পারে। দুবাই থেকে প্রায় সব
রাষ্ট্রে যাওয়া সম্ভব
যেমন ইউরোপে, ফ্রান্সে, জার্মানিতে, জাপানিতে, চীনে, রাশিয়ায় ও
আরব আমিরাতের যে কোন দেশ সহ অনেক রাষ্ট্রের যাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর সেরা ব্লগার কে বিস্তারিত জানুন
তাই আপনারা যারা একটু দরিদ্র ফ্যামিলির আছেন বা আর্থিক দিক দিয়ে দিক দিয়ে একটু
সমস্যায় আছেন চাইলে এভাবে যেতে পারেন এতে করে আপনার হয়রানি কম হবে এবং টাকার
পরিমানটাও কম খরচ হবে। আর যাদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো আছে তারা চাইলে
বাংলাদেশ থেকে সেই সকল রাষ্ট্রে যেতে পারে।
দুবাইয়ের পর্যটন শহরের নাম কি
দুবাই হলো আরব আমিরাতের মধ্যে সবচাইতে জনবহুল এবং ধনাট্য রাষ্ট্র। দুবাই হল
আমিরাতের রাজধানী। সাতটি আমিরাতের মধ্যে এটি সবচেয়ে জনবহুল
রাজধানী। এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক উন্নত। বিশ্বের প্রথম
এবং উঁচু ভবন রয়েছে দুবাইয়ে যার নাম বুর্জ খলিফা। এছাড়াও বিশ্বের পাঁচ
তারকা হোটেলের মধ্যে দুবাই দ্বিতীয়ত। পর্যটনের শহর হিসেবে দুবাই খুবই
জনপ্রিয় একটি শহর আর এভাবেই অনেক অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। চলুন
জেনে নেওয়া যাক দুবাইয়ের নামকরা পাঁচটি পর্যটন শহরের নাম।
- বুর্জ খলিফাঃ বুর্জ খলিফা হল দুবাইয়ের একটি আকাশচুম্বি ভবন। ২০১০ সালে এই বুর্জ খলিফার উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত এটি দুবাই নামে পরিচিত ছিল। এটি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু একটি ভবন। এই ভবনটির উচ্চতা ৮২৯.৮ মিটার এবং ছাদের উচ্চতা ৮০৮ মিটার। ২০০৯ সালে এটি টপ আউট হওয়ার পর থেকে এটি বিশ্বের এক নম্বর উঁচু ভবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
- দুবাই মলঃ দুবাই মল মূলত ২ হাজার ৩ সালের আগ পর্যন্ত দ্যা দুবাই মল নামে পরিচিত ছিল। দুবাই মল হল একটি শপিং মল যেখানে বিশ্বের অনেক বড় বড় শিল্পপতিরা শপিং করতে আসে।
- পাম দ্বীপঃ পাম জমেইরা দ্বীপপুঞ্জ একটি বৃহত্তম স্টাইলাইজড পাম গাছের মতো দেখতে এই দ্বীপ। ২০০১ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এবং ২০০৯ সালে এই পাম দ্বীপের মধ্যে ২৮ টি হোটেল তৈরি করা হয়।
- আল বাস্তাকিয়া কোয়ার্টারঃ আল বাস্তা কিয়া কোয়ার্টারটি দুবাইয়ের খাড়ি বরাবর পানির ধারে স্থাপিত করা। যেখানে রয়েছে ছায়াযুক্ত অনেক সুন্দর পরিবেশের বসার মত জায়গা এবং উঁচু ও পুরু দেওয়াল।
- দুবাই কফি মিউজিয়ামঃ দুবাইয়ে কফি মিউজিয়াম হল একটি কফি জাদুঘর যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল ফাহিদি ঐতিহাসিক নেবারহুডে অবস্থিত।
উপসংহারঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে আর্টিকেলটির মধ্যে অনেক আলোচনা
করা হয়েছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে জানবেন যে
দুবাই থেকে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে, কত সময় লাগে, দূরত্ব
কত, দুবাই থেকে আর কোন কোন শহরে যাওয়া যায়, দুবাইয়ের উল্লেখিত
দর্শনের স্থানগুলো, দুবাই থেকে অন্য রাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য কিভাবে ভিসা
আবেদন করবেন এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার উপকারে আসে
তাহলে অবশ্যই দয়া করে আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন যেন তারাও দুবাই থেকে
ইতালি যাওয়ার বিষয়ে সকল কিছু জানতে পারেন। এবং পরবর্তী নতুন আপডেট পেতে শিখতে
চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন আর আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে দয়া
করে ক্ষমা করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url