গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জানুন

গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জানা অবশ্যই উচিত। প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবন চলার জন্য ভালো এবং সুষম খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পরে। কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এটা একটু বেশি গুরুত্ব বহন করে।  আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠা তার বিকশিত হওয়া তার সঠিক ওজন রাখা এবং সুস্থ থাকা নির্ভর করে সুষম খাবারের উপর। 

গর্ভবতী-মায়ের-নিষিদ্ধ-খাবার-তালিকা

পরিবারের নতুন সদস্য আগমনে একজন গর্ভবতী মা কিভাবে তার খাবারের তালিকা তৈরি করবে এবং কোন খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবে সেগুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলটি গর্ভবতী মহিলাদের খাবার নিয়ে আলোচনা করা যাক। 

সূচিপত্রঃ গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। গর্ভধারণের সময় একজন মায়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় চলে। এই সময়ে সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিজের ও তার অনাগত সন্তানকে ভালো রাখার চেষ্টা করা। গর্ভ অবস্থায় সকলেরই অতিরিক্ত সচেতন থাকা জরুরি। কারণ আপনার একটু ভুলের কারণে হতে পারে বড় ধরনের কোন বিপদ। বিশেষজ্ঞরা পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি আবার এমনকি কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলার খাওয়া উচিত নয় বলে বর্ণনা দিয়েছেন। 
তবে আবার সব মহিলাদের জন্যই তো সেটা খারাপ হবে বিষয়টা এমন নয় কারো জন্য ভালো হলে কারো জন্য খারাপ হবে এটাই বোঝানো হয়েছে। গর্ভ অবস্থায় বিশেষ করে না ধোয়া এবং খোসা ছাড়ানো ফল কখনোই খাওয়া উচিত নয়। তাহলে চলুন গর্ভবতী মায়েদের নিষিদ্ধ কোন কোন খাবার রয়েছে তার একটি লিস্ট তৈরি করা যাক। 
  • আঙ্গুরঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য শেষের তিন মাসে গিয়ে আঙ্গুর ফলটি না খাওয়াই বেশি উত্তম। কারণে ফলে রয়েছে রেশভেরাট্রল যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। আঙ্গুরের মধ্যে আছে তাপ উৎপাদনকারী একটি উপাদান যা মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • আনারসঃ আনারস একটি টক মিষ্টি জাতীয় ফল। এই ফলটির মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপাদান যা জরায়ুর পথকে কোমল করে দেয় এবং সেখান থেকে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও গর্ব অবস্থায় আনারস খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • পেঁপেঃ পেপের মধ্যে রয়েছে ল্যাটএক্স যা খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের কারন হতে পারে। এই পেঁপে শুধু পাকস্থলী দের ব্যথায় তৈরি করে না পাশাপাশি সন্তানেরও অনেক ক্ষতি করে থাকে। তাই গর্ভ অবস্থায় পেঁপে না খাওয়াটাই বেশি ভালো। 

গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার তালিকা

একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন খাবার তালিকায় সুষম ও পুষ্টিকর সম্পন্ন খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।এটি গর্ভকালীন সময়ে পুষ্টির চাহিদার নিশ্চিত করে। একজন মা ও তার অনাগত সন্তানকে ভালো রাখার জন্য প্রত্যেকটি গর্ভবতী মহিলার উচিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা। আপনার গর্ভের শিশুর উপযুক্ত বিকাশ ও সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনাকে অবশ্যই কতকগুলো পুষ্টিকর খাবার তালিকা হিসেবে বেছে নিয়ে খাওয়া জরুরি। 

গর্ভ অবস্থায় অনেকের এমন হয় যে কিছু খেতেই পারে না এবং খেতে চাইলে বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যায়। খাবারের তালিকায় একই রকম খাবার থাকা উচিত নয় প্রতিদিনে একটু ভিন্ন খাবার যোগ করতে হবে যেন অরুচি ভাব না আসে। আর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাবারের কোন বিশেষ সময় নেই বা তাকে তিন বেলায় যে ভাত খেতে হবে এমনটা করা যাবে না। 
তাকে অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে এবং তিনবারের জায়গা ছয় বার খাওয়াতে হবে। এতে করে তার খাবারের প্রতি রুচি থাকবে এবং অল্প খাবার খাওয়ার ফলে অরুচি বা বমি ভাব আসবে না। এতে করে গর্ভবতী মহিলা যতটুকু পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সুযোগ পেল ততটাই তার এবং তার সন্তানের উপর বিশেষ কার্যকারী ভূমিকা রাখল। একজন গর্ভবতী মহিলার খাবারের চার্ট নিচে তুলে ধরা হলো। 

খাবারের ধরন পরিমাণ
ভাত ২.৫-৩ কাপ
গাড়ো সবুজ রঙ্গিন শাঁক ১-১.৫ বাটি
হলুদ কমলা ফল ও সবজি ১ বাটি ২৫০ গ্রাম
ডিম ১ টি
দুধ ১ গ্লাস ২৫০ গ্রাম
মাছ/ মাংস ১/২ টুকরা ৫০ গ্রাম
ঘন ডাল ২ বাটি ৫০০ গ্রাম

যে খাবার গুলো গর্ভ অবস্থায় খাবেন না 

মেয়ের একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটা আনন্দের সময় তেমনটা আবার কষ্টেরও সময় এই সময়টাতে একজন হবো মা হিসেবে অনেক লড়াই করে থাকে। একজন গর্ভবতী মহিলা তার সন্তান পেটে আসার পর থেকে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগতে থাকে ঠিকমতো খেতে পারেনা ঘুমাতে পারে না শুয়ে বসে থাকতে পারে না মাথা ঘুরায় বমি বমি ভাব হয় ক্ষুধামন্দা লেগেই থাকে এছাড়াও রয়েছে রক্তশূন্যতা শরীর দুর্বলতা এগুলো যেন মৃত্যুদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে তাদের জীবনে। 

গর্ভবতী-মায়ের-নিষিদ্ধ-খাবার-তালিকা

তাই একজন গর্ভবতী মাকে কিভাবে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে আগে তার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। দেখতে হবে কোন খাবারগুলো পুষ্টিকর এবং তার জন্য ভালো হচ্ছে সেগুলো তাকে খাওয়াতে হবে। আর যে খাবারগুলো খাওয়ার ফলে তার সমস্যা হচ্ছে বা কোন ভাবেই খেতে পারছে না সেগুলো তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করা যাবে না। তাই চলুন গর্ব অবস্থায় কোন কোন খাবার খাবেন না সে বিষয়ে একটু আলোচনা করি। 

  • মুরগির মাংসঃ মুরগির মাংসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী থাকে যা একটি গর্ভবতী মহিলা ও তার অনাগত সন্তানের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন তাই এটিকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
  • পেঁপেঃ পেঁপে নামক ফলটির মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক যা একজন গর্ভবতী মহিলার ধন কে নষ্ট করে দিতে ভূমিকা রাখে। তাই এই অবস্থাতে পেঁপে না খাওয়াটাই বেশি ভালো।
  • দুধ এবং দইঃ পাস্তড়িত দুধ আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য ক্ষতি কর হতে পারে। কারণ কাঁচা দুধে রয়েছে সালমোনিলা নামক রাসায়নিক যা কিশোর ও মায়ের জন্য উচিত নয়।
  • অপরিষ্কার ফল ও শাকসবজিঃ যেকোনো ধরনের অপরিষ্কার ফল ও শাকসবজি কোনভাবেই আপনার খাওয়া উচিত নয়। কারণ অপরিষ্কার খাবারের অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা খুব সহজেই আপনাকে অসুস্থ করে তোলে।
  • কাঁচা ডিমঃ কাঁচা ডিমের মধ্যে সালমোনিলা নামক ভাইরাস থাকে যা ত্রয়ীমাসিক সময়ে কাঁচা ডিম খাওয়া গর্ভবতী মহিলার জন্য উচিত নয়। 
  • রাস্তার খাবারঃ রাস্তায় অনেক ধরনের আচার চাটনি বা বিভিন্ন তেল জাতীয় খাবার পাওয়া যায় যেগুলো দেখলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার লোভ জাগে। কিন্তু কোন ভাবেই এই খাবার খাওয়া যাবে না খেলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন তাই এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
  • লবণাক্ত খাবারঃ গর্ভকালীন সময়ে আপনার নোনতা জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হতেই পারে তাই বলে আপনি অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খেতে পারবেন না এতে করে শিশুর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পরিহারঃ অবশ্যই আপনাকে অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। তা না হলে আপনার ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে এছাড়াও জন্ম গ্রহণের পরে সেই সন্তানের বুদ্ধি ভিত্তিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

১ম তিন মাসে যে খাবার গুলো খাবেন 

গর্ব অবস্থায় প্রথমদিকে আপনার শরীরের হরমোনের বৃদ্ধি পেতে থাকে যার ফলে বমি বমি ভাব বৃদ্ধি পায়।  বিশেষ করে হরমোন প্রোজেস্টেরন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং রিফ্লাক্স সহ হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে যেহেতু আপনার শিশু অনেক ছোট তাই তার বেড়ে ওঠার জন্য অবশ্যই আপনাকে মেনে চলতে হবে এবং পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে হবে। তাই চলুন একটু খাবার নিয়ে আলোচনা করা যায় যে কোন ধরনের এবং কোন জাতীয় খাবার আপনাকে খেতে হবে। 
  • আঁশ জাতীয় খাবারঃ প্রথম তিন মাসের খাবারের তালিকায় বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার রাখতে হবে।কারণ আশ যুক্ত খাবার গর্ভবতী মহিলার শরীরের জন্য যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে তেমনি পুষ্টিকর বয়ে নিয়ে আসে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে আপনাকে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন ছোলা, ওটস, বাদামি ভাত, মুগ, সবজি, ভুট্টা ও ব্লকলি ইত্যাদি খাবার খেতে হবে।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ গর্ব অবস্থায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ মাংস ডিম বেশি করে খেতে হবে। সকল ধরনের মাসিক খেতে পারেন তবে সামুদ্রিক মাছ পরিহার করাই ভালো যেমন টুনা মাছ।
  • ভিটামিন এঃ গর্ভ অবস্থায় প্রচুর ভিটামিন এ খেতে হবে এবং ভিটামিন এ পাওয়ার জন্য আপনাকে রঙিন ফলমূল ও সবজি খেতে হবে এতে করে ভিটামিনের এর অভাব হবে না।
  • ভিটামিন সিঃ জাতীয় সি জাতীয় খাবার যেমন টক ফল, আমড়া, আমলকি, তাজা ফল, লেবু ইত্যাদি।  
  • আয়রন জাতীয় খাবারঃ গর্ভবতী মহিলার জন্য অবশ্যই আয়রন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত যেমন শাকসবজি কলমি শাক, কালো শাক, মটর শাক, শুকনা ফল ও কচু শাক ইত্যাদি এ সকল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। 
  • ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবারঃ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার বলতে বোঝানো হচ্ছে দুধ, ব্রকলি, বিটরুট, পালং শাক, ডুমুর, চিয়াসিড, ঢেঁড়স, ডিম, বাঁধাকপি, পনির, লালশাক ও আনন্দ অয়েল ইত্যাদি। 

যে খাবার খেলে হতে পারে আপনার গর্ভপাত 

গর্ভকালীন সময় মা এবং পরিবারের যেমন আনন্দের সময় তেমনি আবার সচেতন থাকার ও সময়।কারণ আপনার একটু অসচেতনতা এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হতে পারে গর্ভপাত। তাই এই অবস্থাতে যে খাবারগুলো কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা বা খেলে গর্ভপাত হওয়া সম্ভব না 80% রয়েছে সেই খাবারগুলো অবশ্যই পরিহার করে চলার চেষ্টা করতে হবে তাই চলুন সে খাবার গুলো কি নাম জেনে আসি। 
  • কাঁচা বা কম রান্না করা তরকারি
  • সামুদ্রিক মাছ
  • প্রক্রিয়াজাত এবং ডেলি মাছ
  • কাঁচা ডিম
  • ক্যাফিন
  • ভেষজ চা এবং পরিপূরক
  • অ্যালকোহল
  • উচ্চ ভিটামিন এ খাবার
  • অতিরিক্ত টেনশন না করা

গর্ভ অবস্থায় কি ভাবে নিজের যত্ন নিবেন

গর্ভধারণ এবং প্রসব করা নারী জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এর মধ্যে দিয়েই মানব সভ্যতা এগিয়ে যায় এবং টিকে থাকে। তাই এই সময়ে নিরাপদ থাকা এবং সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।এর জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে হবে। গর্ভবতী মহিলার নিজের যত্ন তো রাখবেই পাশাপাশি তার পরিবারের সকলে মিলে তার খেয়াল রাখবেন। তাহলে আলোচনা করি যে গর্ভবতী মহিলার ঘরে থেকে কিভাবে নিজের যত্ন রাখতে পারেন।
  • খাবারঃ প্রথমেই বলছি খাবারের কথা কারণ একজন মাকে সুস্থ থাকার জন্য তাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। এবং সেগুলো তিনবারের জায়গায় ছয় বার খেতে হবে। যেটা খেতে ভালো লাগবে সেটা খাবে জোর করে কোন অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার দরকার নেই।
  • ভ্রমণঃ গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস ভ্রমণ করা থেকে দূরে থাকতে হবে। আবার এমন উঁচু নিচু ভাঙ্গা রাস্তা আছে যেগুলো দিয়ে চলাচল করা যাবে না।
  • নিয়মিত ঘুমঃ গর্ভবতী মহিলার চেষ্টা করতে হবে প্রতি রাতে 8 থেকে 10 ঘন্টা ঘুমাতে হবে। আর দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা ঘুমাতে হবে এবং ঘুমানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে বাম কাজ হয়ে ঘুমানোর। 
  • পরিধেয় বস্ত্রঃ গর্ভকালীন সময়ে অবশ্যই তাকে ঢিলেঢালা নরম কাপড় পড়তে হবে যেন সেখানে স্বস্তি পাওয়া যায়। এবং স্যান্ডেলের ক্ষেত্রেও নরম সেন্ডেল পড়তে হবে আর হিল জাতীয় স্যান্ডেল গুলোকে পরিহার করে চলতে হবে। 
  • কাজকর্মঃ অনেক গর্ভবতী মহিলাকে দেখা যায় এই সময়ে অনেক ভারি ভারি কাজ করে থাকে। কিন্তু এটা কখনোই করা উচিত নয়। চেষ্টা করবেন সংসারের ছোটখাটো দুই একটি কাজ করে আর বড় কাজ না করাই আপনার জন্য বেশি উত্তম হবে।

গর্ভ অবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করুন 

গর্ভকালীন সময়ে এটাকে খুব সাধারণভাবেই ধরে নেওয়া হয় যে গর্ভবতী মহিলারা বমি করে। কিন্তু এটাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতে হবে তা না হলে মা ও শিশু অসুস্থ হয়ে পড়বে। এই বমি বমি ভাব দূর করতে কিছু উপায় বা টিপস আপনাকে ফলো করতে হবে। কারণ বমি বমি ভাব যদি লেগেই থাকে একসময় শরীরের অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়বে এবং এর জন্য নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধবে। তাই চলুন বমি বমি ভাব দূর করার জন্য কিছু টিপস জেনে নেই।
  • বমি বমি ভাব হলে আদা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • পেপারমেন্টের সুবাস নিন।
  • আপু পাকসার এবং আকুপ্রেশার ব্যবহার করুন
  • লেবুর স্লাইস করে খাওয়ার চেষ্টা করুন
  • বমির ভাব দূর করতে যে মসলা আছে সেগুলোকে কাছে রাখুন এবং খাওয়ার চেষ্টা করুন
  • সঠিকভাবে হাইড্রেটের থাকুন।
  • যেগুলা খেতে ভালো লাগে না সেগুলো পরিহার করুন।
  •  সঠিক ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। 

গর্ভ অবস্থায় ঘরের মদ্ধে যে ব্যায়াম গুলো করবেন 

যে সকল মহিলারা মোটামুটি ভাবে একটিভ আছেন তারা গর্ভকালীন অবস্থাতে ব্যায়াম করার চেষ্টা করেন। কারণ এই সময়টাতে শুয়ে বসে থাকা হয় এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয় যার ফলে ওজন বেড়ে যায় এবং নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে ডাক্তারের পরামর্শ যদি থাকে তাহলে ব্যায়াম করা যাবে না এছাড়া যদি আপনি মনে করেন আপনার কোন সমস্যা হবে না প্রেম করতে তাহলে অবশ্যই ব্যায়াম করার অভ্যাস করে তুলুন। 
এতে করে আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং আপনার বাচ্চা নরমাল ডেলিভারিতে হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। অনেক মহিলাদেরকে দেখা যায় যারা গর্ভকালীন অবস্থাতে ঘরে বসে অনেক ব্যায়াম করে বা আস্তে আস্তে করার চেষ্টা করে তাদের ডেলিভারিতে তেমন কোন সমস্যা হয় না।তবে ব্যায়াম করার জন্য যে নিয়মগুলো মাথায় রেখে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে চলুন সেগুলো জেনে নিই। 
  • অতিরিক্ত লাফঝাপ না করা
  • ভরা পেটে ব্যায়াম না করা
  • দাঁড়িয়ে কোমর বাঁকাবেন না
  • বাস্কেটবল ভলিবল এ জাতীয় খেলা থেকে দূরে থাকুন
  • ব্যায়াম করার পর যদি অতিরিক্ত দুর্বল লাগে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেন।

গর্ভ অবস্থায় ভিটামিন এ কতটুকু খাবেন 

ভিটামিন এ আপনার গর্ভের শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটু উপাদান। একটি সুষম খাদ্য তালিকা মেনে চলার জন্য আপনি ভিটামিন এ খেতে পারেন। তবে ভিটামিন এ অতিরিক্ত খেলে আবার আপনার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভ অবস্থায় শিশু ও মায়ের জন্য ভিটামিন এর খুবই দরকার। গর্ভে শিশুর ভ্রুন তৈরি হতে এবং একটি শিশুকে পরিণত করতে ভিটামিন এর প্রয়োজন অনেক বেশি। তাই চলুন শিশুর বিকাশে কি কি কাজে লাগে ভিটামিন এ ।
  • হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও কিডনি তৈরিতে ভিটামিন এ দরকার হয়।
  • সুস্থ ত্বক, হাড় মজবুত, শ্বাসতন্ত্র, ব্রেইন ও স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভিটামিন এ এর ভূমিকা বেশি।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
  • চোখের সুস্থতা বজায় রাখে
  • ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে
  • রাতকানা রোগ হতে দূরে রাখে
  • স্নেহ বা ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিপাকে সহায়তা করে
  • প্রসবের পরে শরীরের টিস্যু গুলোকে সুস্থ রাখে এবং আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সাহায্য করে। 

উপসংহারঃ গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভকালীন সময়টা খুবই আনন্দের এবং গুরুত্বপূর্ণ। একজন গর্ভবতী মা নিজে সুস্থ থাকা এবং তার অনুগত্য সন্তানকে ভালো রাখার জন্য কিছু কৌশল মেনে চলতে হবে যেমন যে খাবারগুলো খেলে ভালো সেগুলো খেতে হবে আর যেগুলো ক্ষতিকর পরিহার করে চলতে হবে।এছাড়াও গর্ভবতী মাকে নিজের যত্ন নিতে হবে। পর্যাপ্ত ভিটামিন পুষ্টিকর সুষম খাদ্য খেতে হবে এর পাশাপাশি সুস্থ থাকার জন্য ঘরে বসে কিছু ব্যায়াম করতে পারবেন।

আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি নিজের উপকারে আসে এবং আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তী নতুন আপডেট পেতে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url