চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যাবহারে ৮ উপায় জানুন

বর্তমান সময়ে চুল পড়া যেন সবার কাছে একটু কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাদের মাথা থেকে চুল ঝরতেই আছে। চুলের যত্নে বাজার থেকে অনেক দামি দামি তেল শ্যাম্পু বা অন্য প্রসাধনে ব্যবহার করেও কোন উপকার হচ্ছে না। সেই জায়গা থেকে আপনি চাইলে কারি পাতা ব্যবহারের চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। 

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যে টিপস গুলো আপনি মেনে চলতে পারলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। তো চলুন নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক কিভাবে চুল পড়া করা যায়। আর অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো। কেননা আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল না পড়লে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন না। আর হ্যাঁ আপনি ভরসা রাখতে পারেন এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি চুল পড়া বন্ধ করার সঠিক উপায় জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

আপনারা অনেক কম মানুষই আছেন যারা চুল পছন্দ করেন না। বেশিরভাগ মানুষই চুল অনেক পছন্দ করে তাই তারা চুলের যত্নে খুবই সচেতন। এবং চুল পড়া শুরু হলে আপনারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান যে কেন এই চুল পড়ছে। মাথা থেকে চুল পড়ে যাওয়ার অনেক কারণে রয়েছে যেমন ধরুন আপনার অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস, অনেক বেশি টেনশন, অনেক মানুষের মাথায় মাইগ্রেনের সমস্যা হলে মাথা গরম হয়ে থাকে যার কারনেও চুল পড়তে পারে। 
এছাড়াও পরিবেশগত কারণ তো রয়েছে যার কারণে চুলের সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারি পাতা চুলের যত্নে অনেক উপকারী একটি উপাদান যা আদিমকাল থেকে এখন পর্যন্ত সবাই স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করে। প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার একটি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারি পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান আইরন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড, যা আমাদের রুক্ষ চুলকে ঝলমলে সুন্দর চুলে পরিণত করে। 

কারি পাতা শুধু চুলের যত্নেই নয় এমনকি স্বাস্থ্যের জন্যেও অনেক উপকারী উপাদান। যার ব্যবহারে শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। কারি পাতা ব্যবহারের ফলে চুলের যে সকল অস্বাস্থ্যকর ভাব থাকে সেগুলোকে রোদ পড়ে এবং কালো ঝলমলে সিল্কি চুল তৈরি করে। চুল পড়া অতি সাধারণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই এটাকে রোধ করতে অবশ্যই আপনি কারি পাতা ব্যবহার করবেন এবং নিজেই এর উপকারিতা দেখতে পাবেন। 

কারিপাতা ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম জানুন  

আমরা অনেকেই আছি যারা সঠিকভাবে কারি পাতা ব্যবহার করতে না পারার কারণে এটা থেকে দূরে আছি বা সঠিকভাবে ব্যবহারের অভাবে কোন ফল পাচ্ছি না। প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে কারি পাতা বেশ ভূমিকা পালন করছে। তো চলুন যাদের কারি পাতা ব্যবহারে অজানা রয়েছে সেই গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

  • চুল পড়া বন্ধ করতে বর্তমানে কারি পাতা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চুল পড়ার সমস্যার সমাধানে কারি পাতা ব্যবহার করবেন দুধের সাথে কারি পাতা গুড়া করে অথবা শিলপাটায় কিংবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে দুধের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। এবং কমপক্ষে গোসলের দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে তুলে দিয়ে রাখবেন এবং গোসলের সময় শ্যাম্পু দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে গোসল করবেন। এতে করে আপনার চুল পড়া অনেকটাই বন্ধ হবে। 
  • অনেকের মাথায় প্রচুর  খুশকি রয়েছে। দেখা যায় এই খুশকির কারণে অনেক সময় মাথায় চুলকানি হয়ে যায় এছাড়াও অনেক সমস্যা দেখা যায়। তাই খুশকি দূর করতে কারি পাতা ব্যবহার করবেন। কারি পাতার পেস্ট করে চুলে লাগাবেন এক্ষেত্রে শুধু কারি পাতার পেস্ট হলেই হবে।
  • অনেকের চুল আছে ছোট কিন্তু স্বপ্ন দেখে অনেক বড় চুলের। সেই ক্ষেত্রে চুল বড় করার জন্য আপনি নিয়মিত কারি পাতা ব্যবহার করুন চুল গজাবে এবং চুল বড় হবে। প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য কারি পাতা রোদে শুকিয়ে গুড়া করে একটি বয়ামে করে রেখে দিবেন। যাতে করে আপনার হাতের কাছেই পেয়ে যান কারি পাতা। এখানে কারি পাতার ব্যবহার করবেন ২ চামচ বা তিন চামচ দই এর সাথে। সুন্দরভাবে দই এবং কারি পাতা মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিবেন এতে করে ফলাফল দেখতে পাবেন। 
  • যাদের অল্প বয়সেই চুল পেকে মাথা সাদা হয়ে গেছে দেখতে অনেক খারাপ লাগছে তো সেখান থেকে আপনি কারি পাতার ব্যবহারে চুলের পুষ্টি ঠিক রাখতে পারবেন এবং চুল আর সাদা হবে না। আপনি এখানে কারি পাতা ব্যবহার পেঁয়াজের রসের সাথে এতে করে আপনার চুল কালো এবং সিল্কি হবে। যার কারনে আপনার বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করবে। 
  • সিল্কি চুল কার না ভালো লাগে তাই আপনি সিল্কি চুল করতে চাইলে অবশ্যই কারি পাতা ব্যবহার করুন। এখানে আপনি অ্যালোভেরা মেথির গুড়া একটু দই সাথে একটু লেবুর রস আর কারি পাতা তো থাকবেই এগুলো একসাথে টেস্ট করে চুলের লাগিয়ে নিবেন এবং সেটা যেন চুলের গোড়ায় গোড়ায় যেতে পারে।
  • আমলকি ও মেসির সাথে কারি পাতা ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আধা কাপ কারি পাতা আর দুই চামচ মেথির গুড়া এবং কয়েকটি আমলকির রস একসাথে মিক্সড করে একটি মিশ্রণ তৈরি করবেন এবং সেটি সপ্তাহে তিন দিন নেওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে চুল পড়া বন্ধ হবে, নতুন চুল গজাবে, চুল লম্বা হবে এবং চুল সিল্কি হবে। 
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের পরিচর্যায় যে ভুল করা যাবে না 

চুল ভালো রাখতে অবশ্যই প্রয়োজন পড়ে প্রতিদিন চুলের সঠিক পরিচর্যা করা। আর এই যত্নের অনেকগুলো উপায় রয়েছে যা আপনারা অজানার কারণে চুলের সঠিক যত্নের অভাবে আপনাদের চুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে আছেন যারা মনে করছেন যে এরকম উপায়টা সঠিক কিন্তু আসলেও সেটা আপনার জন্য সঠিক নয়। তো চলুন আজকে চুলকে সুস্থ ও প্রানবন্ত রাখার জন্য কি কি উপায় রয়েছে আলোচনা করা যাক।

  • নিয়মিত শ্যাম্পু : অনেকে আছেন যারা মনে করেন নিয়মিত শ্যাম্পু করলে চুল নষ্ট হয়ে যায়। আপনাদের ভাবনা সম্পূর্ণই আলাদা কারণ চুলের যত্নে অবশ্যই চুলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিশেষ করে যারা প্রতিদিন কাজের জন্য বাসার বাহিরে বের হন তাদের অবশ্যই গোসলের সময় শ্যাম্পু দেওয়া উচিত এতে করে ময়লা দূর হয়। এবং শ্যাম্পু করার পর চেষ্টা করবেন কন্ডিশনার দেওয়ার। 
  • তেলের ব্যবহার : কিছু মানুষ মনে করে প্রতিদিন তেল দিলেই হয়তো চুল ভালো থাকে। বিষয়টা একদমই আলাদা কারণ আপনি যদি প্রতিদিন তেল দেন তাহলে আপনার চুলের মধ্যে একটা চিটচিটে ভাব এসে যাবে যা আপনার চুলকে ক্ষতি করবে এবং দেখতেও খারাপ লাগবে। 
  • কেমিকাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা : অনেক মানুষ দ্রুত চুল বৃদ্ধি বা চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে বেছে নেয় বাজারের কিছু ক্যামিকেল যুক্ত প্রোডাক্ট যা আপনার আমার চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। আর সব সময় চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়ার। 
  • গোসলের পর ভেজা চুলে আঘাত না দেওয়া : ভেজা চুলে আঘাত দেওয়া বলতে বোঝানো হচ্ছে আপনারা অনেকে ভেজা চুল ঝাপটাতে থাকেন এতে করে চুলের গোড়া নরম থাকায় চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ভেজা চুলকে কোনভাবেই আঘাত করা যাবে না যার জন্য উঠে পড়ে। 
  • শীতে গরম পানি ব্যবহার না করা : অনেক মানুষ আছে যারা শীতের সময় ঠিকমত গোসল দিতে চায় না। এমনকি গোসল দিলেও গরম পানি করে গোসল করে। এতে করে গরম পানি মাথায় ঢালার কারণে চুলের গুড়া নষ্ট হয়ে যায় এবং চুল পড়া বৃদ্ধি পায়। 

চুলের হাজারো সমস্যা? সমাধানে কারিপাতা 

কিছু মানুষ আছে যাদের চুলে হাজারো সমস্যা লেগেই থাকে।দেখা যায় কারুর চুল ওঠা চুলের আগা ফাটা চুলের আগা ভেঙে পড়া, চুলে খুশকি হওয়া, চুল সাদা হয়ে যাওয়া, চুল অনেক কার্লি হওয়া, চুল গজাতে অক্ষম এবং চুল বড় হতে চায় না এ ধরনের অনেক সমস্যা রয়েছে যার সমাধানে কারি পাতা। সেই প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদী প্রাকৃতিক হেয়ার অয়েল সেভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কারি পাতা। কারি পাতা এতটাই গুনে গুণান্বিত যে আপনার হাজারো সমস্যার সমাধানে জায়গা করে রেখেছে এই কারি পাতা।
বরাবরই চুলের যত্নে কারি পাতার কদর অনেক বেশি ছিল এবং আছে। কারি পাতার মধ্যে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা চুল ও স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। চুল বড় করার পাশাপাশি চুল বন্ধ করা এবং খুশকি দূর করা সকল সমস্যার সমাধানে কারি পাতা রয়েছে। এছাড়াও চুলের প্রাকৃতিক কেল্লা বজায় রাখতে দারুন উপযোগী হলো এই কারি পাতা। কারি পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া উপাদানের ভরপুর রয়েছে কারি পাতায়। 

খুশকি দূর করতে কারি পাতার আয়ুর্বেদিক তেল ব্যবহার করুন। আবার চাইলে কারি পাতা বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে সেটা মাথায় মালিশ করে নিন এতে করে অনেক উপকার পাবেন। আবার নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি দানা ও কারি পাতা একসাথে ফুটিয়ে নিতে পারেন। এই কারি পাতার তেল বানিয়ে অনেকদিন ঘরে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন। গোসলের পূর্বে এই তেল চুলে ব্যবহার করুন।

যেভাবে কারি পাতা ব্যবহার করলে টাক মাথায় চুল গজাবে 

এখনো অনেক মানুষ আছে যারা মনে করে কারি পাতা শুধু রান্নার কাজেই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পারি পাতা যে আমাদের চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অনেকেই জানেন না। প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে এই কারি পাতা। এই পাতা ভিটামিনের একটি বড় উৎসব। চুলের যত্নে অনেক মানুষই দামি হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন কিন্তু দিনশেষে কোন উপকার সেখান থেকে আসে না। কারি পাতায় এত উপকারিতা আছে সেটা জানার পরেও চুলে কেনা ব্যবহার করবে কারি পাতা। 

অনেক মানুষ আছে যাদের বয়সের তুলনায় চুল পেকে এমনকি চুল উঠে টাক মাথা হয়ে গেছে মানুষের সামনে যেতে লজ্জা পাচ্ছে। এরকম অবস্থায় আপনার জন্য অনেক ভালো একটু উপাদান হল কারি পাতা। টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য যেভাবে কারি পাতার ব্যবহার করবেন। বৈজ্ঞানিক প্রমাণে দেখা গেছে এই কারি পাতায় রয়েছে ক্যারোটিন যা চুলের প্রোটিন উপাদান বৃদ্ধি করে চুল ঝরা বন্ধ করে। 

এখন আসি কিভাবে আপনি একটা হেয়ার প্যাক বানাবেন কারি পাতা দিয়ে। হেয়ার প্যাকটির জন্য ব্যবহার করবেন পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, অ্যালোভেরা জেল, মেথির দানা, দই এবং কারি পাতা এগুলো সব একসাথে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিবেন। এরপর সেটা প্রতিদিন নিয়ম করে গোসলের পূর্বে মাথায় লাগাবেন। এভাবে করে আপনি দুই থেকে তিন মাস ব্যবহার চালিয়ে যাবেন এবং ফল স্বরূপ দেখতে পাবেন আপনার টাক মাথায় চুল গজাবে। 

চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায় 

আমাদের যখন স্বাভাবিকের তুলনার অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু করে স্বাভাবিকভাবে সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তাই অতিরিক্ত চুল পড়লে কিভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে আমরা যত্ন নিতে পারি চুলের সেগুলা দেখব ঘরোয়াভাবে। প্রাকৃতিক ধানের সাহায্যে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ব্যবহার করলে শুধু চুল বন্ধই হয় না বরংচোল ঝলমলে ও সিল্কি হয়।তবে একটা কথা মাথায় রাখবে কোন উপায়েই কিন্তু রাতারাতি চুল বন্ধ করা সম্ভব নয় আপনি যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন না কেন অবশ্যই সেটা একটু ধীরে ধীরে কাজ করব। আর ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধের উপায়ে কাজ না হলেও তখন আপনারা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবেন। এবার দেখবো ঘরোয়া উপাদান গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা করি: 
  • ডিম : চুলের যত্নে ঘরোয়া উপায়ে ডিম ব্যবহার করা অনেক ভালো। টিমের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো এসিড যা পুষ্টির চমৎকার উৎস। ডায়েটের অংশ হিসেবে ডিম খাওয়ার পাশাপাশি চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চুল পড়া বন্ধ হবে নতুন চুল গজাবে চুলের স্বাস্থ্য ফিরে পাবে।
  • অ্যালোভেরা : চুল পড়া রোধে এলোভেরা একটি কার্যকরী উপাদান যা বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এলোভেরার জেলে অ্যামিনো এসিড ভিটামিন এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় যেমন জিংক কপার ইত্যাদি পাওয়া যায়। 
  • জবা ফুল : জবা ফুলে রয়েছে ফসফরাস রিবোফ্লাভিন এবং ক্যালসিয়ামের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জবা ফুল সাথে জবা ফুলের পাতা তুলে দিলে অনেক উপকার পাওয়া যায় চুলের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে তেলের সাথে মিশিয়ে নিলে অল্প সময়ে ভালো উপকারিতা দেখতে পাওয়া যায়। 
  • নারকেলের দুধ : চুল পড়ার সমস্যায় প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময় হলো নারকেলের দুধ। নারকেলের দুধে উচ্চ পরিমাণে লরিক এসিড রয়েছে যা মাথার ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী। নারকেলের দুধ সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় মেসেজ করুন ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। 
  • পেঁয়াজের রস : চুল পড়ার তীব্রতা নিয়ন্ত্রণের কাজে পেঁয়াজের রস অনেক ভালো কাজ করে। পেঁয়াজের রস হয়েছে ফেনোলিক এবং সালফার যা চুল পড়ার কমাতে সক্ষম হয়। 
  • মেথি : চুল পড়া রোধে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মেথি। মেথি আপনি চুলে যেভাবেই ব্যবহার করেন না কেন আপনার চুলে অনেক ভালো কাজ করবেন মেথির বীজে রয়েছে স্টরয়েড স্যাপনিন যা চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে।  

কারি পাতায় গজাবে নতুন চুল দূর হবে খুশকি 

অনেকের মাথায় চুল পড়ে চুল অনেক পাতলা হয়ে গেছে নতুন চুল বাজায় না এবং মাথা ভর্তি খুশকির অত্যাচার তাই আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম কারি পাতায় ব্যবহার। যা ব্যবহারে আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে এবং খুশকি দূর হবে। প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে ব্যবহৃত হচ্ছে এই পাতায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগাতে এবং চুল বাড়াতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কারি পাতা। 

চুল বৃদ্ধিতে কারি পাতার ভিতরে রয়েছে ভিটামিন সি প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার ত্বকে লাগালে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে নতুন চুল গজাতে কারি পাতা সাহায্য করে। কারি পাতা আমলকি মেথি একসাথে পেটে মাথায় লাগিয়ে রাখুন প্রায় এক ঘন্টা এবং শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। 

খুশকি দূর করতে পাতার ভিতরে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার খুশকি দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারি পাতার সাথে টক দই মিশিয়ে আপনার চুলে ব্যবহার করুন এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সময় মাথায় মেসেজ করতে থাকুন এভাবে সপ্তাহে ২-৩ দিন করলে আপনার চুলের খুশকি দূর হয়ে যাবে। 

চুলের রুক্ষতা দূর করতে কারি পাতা

চুলের দক্ষতা দূর করতে প্রথমেই প্রয়োজন উপায়ে চুলের যত্ন। আর প্রাকৃতিক উপায়ে হিসেবে দারুন কাজ করে থাকে কারি পাতা। যাদের চুল অনেক রুক্ষ চুলের স্বাস্থ্য অনেক খারাপ হয়ে গেছে তাদের জন্য কারি পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। দুই চামচ মধু ও আধা কাপ নারকেল দুধের সাথে কারি পাতার টেস্ট করে মাথায় কিছুক্ষণ রাখতে হবে এভাবে করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চুলে দিতে হবে। 

অনেকের আছে অতিরিক্ত কথার কারণে চুল ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে এর থেকে রেহাই পেতে ডিমও দারুন উপকারী উপাদান। অপরদিকে তুলে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। এবার আপনি চাইলে এই কয়েকটা উপাদান একসাথে মিশিয়ে চুলের জন্য আদর্শ ত্যাগ তৈরি করে ফেলুন ঘরোয়া ভাবে। আর নিয়মিত আপনার চুলে এটা দিতে থাকুন দুই মাস পর ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন। 

ছেলেদের চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

সবকিছু হারাতে রাজি হলেও ছেলেরা চুল হারাতে রাজি নয়। ছেলেদের সৌন্দর্যের কে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল মাথার চুল। ত্বকের যত্নের ব্যাপারে অনিহা থাকলেও তারা চুলের যত্নের ব্যাপারে অনেক সচেতন। তবে অনেকেই আছেন যারা চুলের যত্ন বলতে শুধুমাত্র নিয়মিত করাকেই বোঝেন এটা সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। শ্যামপুর পাশাপাশি আপনার চুলের যত্নে একটু সময় দিতে হবে এবং সেটা হবে কারি পাতার ব্যবহার।  

অনেক ছেলে আছে বা মেয়েরাও আছেন চুল ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না চুলের যত্নের ব্যাপারে সাধারণ যে ভুলটি করে থাকেন সেটি হল পরিষ্কারের অভাব। আমাদের উচিত সাপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা কিন্তু এটা অনেকেই করে থাকি না এর জন্য আমাদের চুল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আজ থেকে চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন করে চুলে শ্যাম্পু দেওয়ার। 

আলতো করে শুকিয়ে নিবেন চুল। গোসলের পর গামছাবার তোয়ালে দিয়ে অনেকেই অনেক জোরে জোরে ঘষতে থাকেন এটা চুলের জন্য সম্পূর্ণই নিষেধ। কারণ গোসলের পরে চুলের গোড়া অনেক দুর্বল থাকে এবং এভাবে ধরার কারণে ফোন উঠে করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 
চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার
কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টের বদলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন। ছেলেদের চুলের স্টাইলিং এর জন্য বাজারের অনেক ধরনের হেয়ার ক্রিম রয়েছে। এগুলো অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা যা চুলের ক্ষতি করে। তাই বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে অ্যালোভেরা জেল নিয়মিত ব্যবহার করুন এবং চুলের স্টাইলিং হবে এবং পুষ্টি ও যোগাবে। 

আমার মন্তব্যঃ চুলের যত্নে কারি পাতার

আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন কারি পাতা আমাদের চুলের যত্নে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু চুলের যত্নের জন্যই নয় স্বাস্থ্য রক্ষাথেও কারি পাতার ভূমিকা অনেক বেশি। কারি পাতা ব্যবহারের ফলে আমাদের চুল উঠা বন্ধ হয়, নতুন চুল গজায়, চুল বৃদ্ধি পায়, আগা ফাটা দূর হয়, চুল সিল্ক হয়, চুলের কারলি দূর হয় ইত্যাদি। এছাড়াও ত্বকের অতিরিক্ত ময়লা দূর করে এবং চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে তার পাশাপাশি রক্ত চলাচল সচল রাখতে গুরুত্ব বহন করে। 

আপনারা যারা এতদিন ধরে বাজার থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছেন আজ থেকে সেগুলো বাদ দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিক উপাদানের যেমন কারি পাতা মেথি লেবুর রস দই জবা ফুল ডিম ইত্যাদি পেস্ট করে সপ্তাহে তিনদিন পরে লাগাবেন। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং এবং এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। 

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কাছে ভালো লাগে এবং আপনার উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের বা আত্মীয়দের শেয়ার করুন। যেন তারাও আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হতে পারে। চুলের যত্নে সঠিক নিয়ম জানতে পারে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হয়েছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা করবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url