মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমের নাম জানুন
যে সকল ছেলে এবং মেয়েদের ঠোঁট কালো হয়ে গেছে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি নিয়ে আসলাম। আপনাদের জন্য সহজে ঘরোয়া কিছু উপায়ে ঠোঁট গোলাপি করার সহজ পদ্ধতি বলে দিব এছাড়াও পাশাপাশি কিছু ক্রিমের নাম বলা হবে যা ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে ঠোঁট গোলাপি হবে।
যাদের ঠোঁট কালো হয়ে গিয়েছে এবং এর জন্য আপনার সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটছে তারা চাইলে এ আর্টিকেলটি পড়ে এখান থেকে টিপ গুলো ফলো করতে পারেন। তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক কিভাবে আপনার কালো ঠোঁট গোলাপি করা যেতে পারে।
সূচিপত্রঃ মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
- মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
- ছেলেদের ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
- সিগারেট খেয়ে ঠোট কালো হয়ে গেছে সমাধান দেখুন
- মাত্র ১০ দিনে ঘরোয়া উপায়ে ঠোটের কালো দাগ দূর করুন
- জন্মগত কারণে ঠোটের কালো দাগ হলে কি করনীয়
- কালো ঠোটকে পরিষ্কার রাখুন ঘরোয়া উপায়ে
- ঠোটের কালো দাগ দূর করায় ক্লোভেট ক্রিম
- ঠোট গোলাপি করার ফার্মেসী ক্রিম
- কালো ঠোট সমস্যায় ডাক্তারি ট্রিটমেন্ট
- উপসংহারঃ মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
কর্মব্যস্ততার কারণে আমাদের অনেকেরই তেমন নিজের একটা যত্ন নেওয়া হয় না যার সাইড ইফেক্ট হিসেবে আমাদের শরীরে পড়ায় সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। তেমনিভাবে যে সকল মেয়েরা কর্মের জন্য বা অন্য কোন কাজে ঘরের বাহিরে যাচ্ছেন বাহিরের ধুলাবালি ও ময়না আপনার ত্বকে এসে পড়ছে এবং সেগুলো ধীরে ধীরে আপনার ঠোঁটকে কালচে করে দিচ্ছে যার পরিণাম হিসেবে এক সময় ঠোঁট কালো হয়ে যাচ্ছে।
তাই অবশ্যই আপনার কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি একটু নিজের দিকে খেয়াল করা উচিত।
এজন্যই আপনাদের কে খুব সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করব যে কিভাবে ঘরোয়া উপায়
দিয়ে ঘরে বসে আপনার ঠোঁটকে সুন্দর করতে পারেন এবং এর পাশাপাশি যারা আছেন এটাকে
ঝামেলা মনে করেন তাদের জন্য ক্রিমের নাম বলে দেব যা ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁট
মসৃণ কমল ও গোলাপি হবে। তো চলুন শুরু করা যাক আপনি প্রধান ক্রিম হিসেবে
বেটনোভেট এন বেছে নিতে পারেন।
বেটনোভেট এন ক্রিম আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী হবে। এটা ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হয়ে যাবে
এবং আস্তে আস্তে গোলাপি ভাবটা চলে আসবেন। তাহলে আপনি এখন থেকেই ঘরোয়া উপায়
অথবা ক্রিম ব্যবহার করে নিজের কালো ঠোঁটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।কিভাবে
ঘরোয়া উপাদান দিয়ে যত্ন করবেন নিচে আরো উল্লেখ করা
ছেলেদের ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
ছেলেদের ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার পিছনে প্রধান সমস্যা হল ধূমপান করা। বেশিরভাগ
ছেলেরাই আজকাল ধূমপান করে থাকে এবং কর্মের তাগিদে ঘরের বাইরে বের হয়। এর ফলে
বাহিরের ধুলাবালি ঠোঁটে বা ত্বকে এসে পরে যা পরিষ্কার করা হয় না বলে ছেলেদের ঠোট
কালো হয়ে যায়। এবং দেখা যায় পুরা শরীর ফর্সা কিন্তু ঠোঁট কালো এজন্য একটু
দেখতে খারাপ লাগে।
তাই অবশ্যই আপনাদের একটু সচেতন হওয়া উচিত যে কিভাবে একটু যত্নের ফলে আপনার ত্বক
ও ঠোট উভয়েরই সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আপনাদের জন্য ঘরোয়া অনেকগুলো উপায় বলে
দেওয়া হবে তবে কিছু মানুষ আছেন যারা এগুলো করার সময় পান না বা করতে ঝামেলা মনে
করেন। তাদের জন্য কিছু ক্রিমের নাম বলা হবে এগুলো আপনি কাছে রেখে যেকোনো টাইমে
ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার পূর্বের ন্যাচারাল ঠোট ফিরে পাবেন। তো
চলুন জেনে নেই ক্রিমের নামগুলো :
- স্লিপ মাস্ক ন্যাচারাল ব্লুবেরি ওয়ান্ডার ফেসিয়াল ক্রিম।
- বায়ো কুয়া মিল্ক এসেন্স হাইড্রেটিং টেন্ডারিং ফেস ক্রিম।
- INGLOT আল্টিমেট ডে প্রটেকশন ডে ফেস ক্রিম।
- ক্লোভেট ফেস ক্রিম।
সিগারেট খেয়ে ঠোট কালো হয়ে গেছে সমাধান দেখুন
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ভয়ংকর ক্ষতিকারক। এটা সবাই জানার পরেও ধূমপান
নিয়মিত করতেই থাকে। ছেলেদের ঠোট বেশির ভাগে ধূমপানের কারণে কালো হয়ে থাকে।
তাই এই কালো ঠোট কিভাবে ফর্সা করবেন বা আগের মত ন্যাচারাল ফিরিয়ে আনবেন তার
জন্য কিছু টিপস ফলো করুন। আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর করনে এই উপায়গুলো মেনে
চলুন। আসুন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
- বিটের রস : বিট ঘষে তার রস ঠোঁটে লাগিয়ে নিতে পারেন। লালচে রং ফিরে আসবে। বিটের রসের সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে সেটাকে ঠোটে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে করতে থাকলে আপনার ঠোঁট আগের মত হয়ে যাবে
- টুথব্রাশ : আমরা সকলেই জানি ব্রাশ দিয়ে শুধু দাঁত পরিষ্কার করা হয়। বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। আপনি একটা টুথ ব্রাশ দিয়ে ঠোটের উপরে কোন একটা ভেসলিন নিয়ে আলতো করে ঘসতে থাকবেন এভাবে তিন থেকে চার মিনিট করার পর ধুয়ে ফেলবেন এতে করে আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে যাবে।
- গ্লিসারিন : গ্লিসারিন ময়শ্চারাইজ খুবই দরকারি একটি উপাদান। গ্লিসারিনের সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে সহজেই লাগিয়ে নিতে পারবেন। এটা ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে করে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে।
- লেবু ও চিনি : ঠোটের কালচে ভাব দূর করতে লেবু ও চিনি খুবই কার্যকরী উপাদান। প্রথমে লেবু কে স্লাইস করে কেটে তার উপরে এক চিমটি চিনি দিয়ে ভালোভাবে ঠোঁটে ঘষতে থাকবেন এতে করে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে।
মাত্র ১০ দিনে ঘরোয়া উপায়ে ঠোটের কালো দাগ দূর করুন
কালো দাগ দূর করার আগে আমাদের জানতে হবে কোন কোন কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে। কারণ
আমরা যদি সমস্যাটা ধরতে পারি তাহলে সমাধানটাও খুব সহজেই করা যাবে। আসলে ভোটের
কালো দাগ অনেক কারণেই হতে পারে ব্যস্ত কর্মজীবনে, আবহাওয়া জনিত কারণে, শারীরিক
অসুস্থতার কারণে, ধূমপানের কারণে, কেমোথেরাপির কারণে, নিম্নমানের কসমেটিক্স
ব্যবহারের কারণে এবং
আরো পড়ুন ঃ ঘরোয়া ভাবে ওজন বাড়ানোর সহজ উপায় জানুন
রাসায়নিক যুক্ত লিপস্টিক ব্যবহারের কারণে এছাড়াও যেটা রয়েছে জেনেটিক গত
কারণে তো এ ধরনের অনেক কারণেই আমাদের ঠোট কাল সে হয়ে যায় বা কালো স্পট পড়ে
যায়। তাই চলুন সমস্যাগুলোর সমাধান কিভাবে করা যায়। আর হ্যাঁ এই সমস্যা থেকে
পরিত্রান পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এগুলো মেনে চলতে হবে।
- আপনি যখন রাতে ঘুমাতে যাবেন দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি চেষ্টা করবেন আপনার ঠোঁট কোন একটা ভ্যাসলিন নিয়ে আলতো ভাবে ঘষার এতে করে সারাদিনের ধুলো ময়লা যা জমবে সেগুলো দূর হয়ে যাবে।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে পাঁচ মিনিট পরে আপনার ঠোঁট ম্যাসাজ করেন। মেসেজের জন্য কয়েক ফোটা লেবুর রস এবং বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে সেটাকে লাগিয়ে রাখুন তারপর কিছুক্ষণ গেলে ধুয়ে ফেলুন।
- অল্প পরিমাণে চিনি এবং কোল্ড ক্রিম সাথে ব্যবহার করুন ঠোটের স্ক্রাব হিসেবে। কোল্ড ক্রিম এর বদলে আপনি চাইলে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে আপনার পূর্বের ন্যাচারাল ঠোঁট যে পাবেন বা কালচে ভাব দূর হবে।
- আপুরা যারা আছেন প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার সময় যে লিপস্টিকটা মাখছেন অবশ্যই বাসায় আসার পর সেটাকে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন কারণ লিপস্টিকে থাকে রাসায়নিক যা আপনার ঠোঁটকে খুব সহজেই কালো করে তোলে।
- আমাদের ত্বকের অন্যান্য অংশে যেমন তৈলাক্ত ভাব হয় তেমনি ঠোঁটেও হয় সেটাকে বলা হয় সেবাম। এটা খুব প্রয়োজনীয়। ঠোঁটকে সবসময় আদ্রতা রাখতে বাইরে যাওয়ার সময় একটা ভালো মানের লিপ বাম অবশ্যই মনে করে লাগিয়ে বের হবেন এতে করে আপনার ঠোটের আদ্রতা রক্ষা পাবে।
জন্মগত কারণে ঠোটের কালো দাগ হলে কি করনীয়
অনেক মানুষই আছে যাদের এই সমস্যাটা জন্মগত। এবং তারা খুবই চিন্তায় আছে কিভাবে
এ সমস্যা দূর করা যায়। আমার জানামতে জন্মগত কারণে এরকম হলে এটা দূর করার কোন
অপশন নেই। কারণ এটা হয়ে থাকে জিনেটিক গত কারণে এটা কোনভাবেই পরিবর্তন করা যায়
না। যেহেতু এটা জেনেটিক কারণে ঘটে থাকে তাই এটা নিয়ে আলাদাভাবে দেখার কিছু
নেই।
এখানে মন খারাপেরও কিছু নেই আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। তবে যারা ভাবছেন কোন না কোন
একটা টিপস পেতে তাদের জন্য বলতে পারি একটা ক্রিমের কথা যা আপনি ব্যবহার করতে
পারেন। ক্রিমটির নাম হল বেটনোভেট এন। এই ক্রিমটি অনেক কার্যকরী ঠোঁটের পাশাপাশি
ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করে তত্ত্বের উজ্জ্বল করে তোলে।
তাই আপনি বেটনোভেট এন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এতে করে খুব বেশি উপকার যদি নাও
পান তারপরেও কিছুটা পেতে পারেন।
তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন কোন জিনিসে যত্নের খারাপ হয় না। আপনার ঠোঁট জন্মগত
ভাবে কালো হওয়ার কারণে অবশ্যই আপনাকে একটু যত্ন করে রাখতে হবে এতে করে অনেকটাই
সুন্দর লাগবে। স্বাভাবিক ভাবে আপনার জন্য তেমন কোন লিপস্টিক ব্যবহার না করাই
ভালো এমনি সাধারণত ভালোর মধ্যে লিপ বাম ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে
দেখতে ভালো দেখাবে।
কালো ঠোটকে পরিষ্কার রাখুন ঘরোয়া উপায়ে
কালো ঠোঁট পরিষ্কার করার জন্য ঘরোয়া অনেক টিপস রয়েছে যেগুলো আপনি ফলো করলে এই
সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন। সুন্দর গোলাপী ঠোঁট সবারই নজর কাড়ে। কিন্তু
যত্নের অভাবে ঠোট কালো হয়ে যায়। ঠোটের যত্নে সঠিক পণ্য ব্যবহার না করার কারণ
অতিরিক্ত কফি পান করার কারণে ঠোঁট কালো হয়। তাই এবার জানব সামান্য কিছু
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বসে অল্প সময়ে কিভাবে ঠোটকে পরিষ্কার রাখা যায়
চলুন দেখা যাক।
- ঠোঁটের যত্নে লেবু ও মধু : আপনারা ভোটের যত্ন লেবু এবং মধু একসাথে মিস করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখতে পারে তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এবং এটা সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন করার চেষ্টা করবেন।
- বেশি বেশি পানি পান করা : বেশি পানি পান করা শরীরের সকল দিক দিয়েই উপকার বয়ে নিয়ে আসে। পানি হল সকল রোগের ঔষধ। তাই আপনি চেষ্টা করবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার এতে করে আপনার শরীরের সকল ঘাটতি পূরণ হবে।
- ঘুমানোর আগে লিপ বাম মাখুন: অবশ্যই চেষ্টা করবেন ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ভালো মানের একটা লিপ বাম সাথে রাখতে এবং সেটা ঘুমানোর আগে ঠোটে লাগিয়ে রাখবেন যাতে করে ঠোঁটের আদ্রতা ঠিক থাকে।
- লিপস্টিক এভোয়েড করা : বেশিরভাগ আপুরা আছেন যারা কম দামে লিপস্টিকও ব্যবহার করে থাকেন আরে লিপস্টিকের মধ্যে অনেক কেমিক্যাল এর রাসায়নিক থাকে যার কারণে আপনার ঠোট একদম কালো হয়ে যায় তাই চেষ্টা করবেন লিপস্টিক এভোয়েড করে চলার।
- শসার জুস : ঠোঁটের কালো ছাপ দূর করতে শসার জুস খুবই উপকারী। শসার উপাদান কালো ঠোঁটের সমস্যা সমাধানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন শসার জোস ঠোঁটে লাগিয়ে এতে করে আপনার ঠোঁটে সতেজতা ফিরে আসবে।
ঠোটের কালো দাগ দূর করায় ক্লোভেট ক্রিম
ছেলে ও মেয়েদের ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম হিসেবে ক্লোভেট ক্রিম প্রাকৃতিক
এবং নিরাপদ সমাধান। যার ঠোটের কালো দাগ দূর করে শুষ্কতা এবং রুক্ষতা দূর করে
কোমলতা ফিরিয়ে আনে। এই ক্রিমটি ক্লোভের নির্দেশ দিয়ে তৈরি যার ঠোঁটের
তত্ত্বের পুষ্টি প্রদান করে এবং তার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আপনারা
যারা ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করার সময় পাচ্ছেন না বা পড়তে ঝামেলা মনে করছেন
তারা চাইলে ক্লোভেট ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার কালো দাগ দূর হয়ে ঠোঁট
গোলাপি হবে।ঠোঁটে ক্লোভেট লাগানোর হলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় যেমন
:
- ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়।
- ঠোঁটের ত্বককে মসৃণ করে।
- প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
- দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল দেয়।
এই ক্রিমটির মূল্য খুব একটা বেশিও নয় মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে আপনি বাজার থেকে
ক্রয় করে ঠোটের ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্লোভেট ক্রিমটি নির্ভর করে তার
ব্র্যান্ডের ওপর প্যাকেজিং এবং উপাদানের গুণগত মান যদি ভালো থাকে দামটা আর
কিছুটা বেশি হতে পারে। এতে করে ঝামেলা ছাড়াই সহজে আপনি আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে
পারবেন অর্থাৎ আপনার ঠোটের কালো দাগ হয়ে মসৃণ ও কোমল ঠোঁট পাবেন।
ঠোট গোলাপি করার ফার্মেসী ক্রিম
ঠোঁট গোলাপি করার বা রাখার ইচ্ছা সবারই হয়। কিন্তু সঠিক পরিচর্যার অভাবে এবং
বেখেয়ালি ভাবে চলার কারণে আমাদের গোলাপে ঠোঁটগুলো ধীরে ধীরে কালচে ও কালো
বর্ণে পরিণত হচ্ছে। আমাদের উচিত আমাদের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য সকল কিছুর
পাশাপাশি আমাদের ঠোঁটের ও যত্ন করা যেনো দেখতে ফর্সা করে আর সৌন্দর্যটা আরো
বৃদ্ধি করে।
আরে কালো ঠোঁটকে ফর্সা করতে অনেকগুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে আরেকটি উপায় হল
ফার্মেসি থেকে কিছু কিনে নিয়মিত ব্যবহার করে ফলাফল দেখতে পাওয়া। অর্থাৎ এই
উপায় এর মাধ্যমে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।এই চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক কোন
ক্রিম গুলো কি করলে গোলাপি বা সুন্দর থাকবে। এখান থেকে আপনার পছন্দের ক্রিম টি
বেছে নিন।
- SCRU ক্রিম
- ক্লোভেট ক্রিম
- বেটনোভেট এন ক্রিম
- বায়োকিও ক্রিম
- নিউকর্ট ক্রিম
- বেটা ভেট সিএল ক্রিম
- Laneige লিপ স্লিপিং মাস্ক
- WNPL সফট প্রিমিয়াম লিপ বাম
- লিপ কেয়ার সুইট হানি
কালো ঠোট সমস্যায় ডাক্তারি ট্রিটমেন্ট
কালো ঠোঁট সমস্যা দূর করতে ডাক্তারি কিছু ট্রিটমেন্ট রয়েছে। যাদের অল্পতে এই
সমস্যা দূর করা যায় না তারা চাইলে ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে কালো ঠোঁট খরচা করতে
পারে। কালো ঠোট ফর্সা এবং সেটা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ডাক্তারি চিকিৎসা এবং
নিয়মিত ত্বকের যত্নে রাখতে হবে। ঠোঁটের কালচেভাব দূর করার জন্য পেশাদার
চিকিৎসা রয়েছে। রাসায়নিক খোসা এপি ডার্মিস করে ঠোঁটের পিগমেন্টেশন
উল্লেখযোগ্য ভাবে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আমরা আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড বা বিটা হাইড্রোক্স অ্যাসিড ধারণকারী পিল
ব্যবহার করি জা মৃত ত্বকের কোষ গুলোকে দ্রবীভূত করে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি কেবল
পিগমেন্টেশন কমায় না বরং নতুন কোষের বৃদ্ধিকেও উজ্জীবিত করে এবং ত্বকের গঠন
উন্নত করে। পিগমেন্টেশনের তীব্রতা এবং রোগীর ত্বকের ধরণের উপর ভিত্তি করে পিল
নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও রয়েছে লেজার থেরাপি। লেজার থেরাপি একটা চিকিৎসা
সেখানে নির্ভলতার মাধ্যমে সকল সমস্যা এবং রঙ্গকতা দূর করে যার ফলে ঠোঁটের
অবস্থা উন্নত হয়।
মাইক্রোনিড লিং কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ঠোঁটের অংশের কালো দাগ দূর করতে
সহায়তা করে। এটার মাধ্যমে ঠোঁটের মরা কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে।
আপনারা চাইলে বড় বড় যেগুলো বিউটি পার্লার রয়েছে সেখানে এমন কিছু শিয়ালের
মাধ্যমে আপনার কালো ঠোঁটকে করতে পারেন। তাহলে সর্বোপরি আপনি ঘরোয়া উপায়ে অথবা
ক্রিম ব্যবহার করে অথবা ডাক্তারি ট্রিটমেন্ট নিয়ে অথবা বিউটি পার্লারে
ফেসিয়াল এর মাধ্যমে আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে পারেন।
উপসংহারঃ মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়
চাই তোমার মুখের সকল দিক যেন সুন্দর থাকে। সেই দিক থেকে যদি কারোর ঠোঁট কালো
হয় তাহলে অনেক খারাপ লাগে। তাই আর চিন্তা না করে আপনাদের জন্য ঘরোয়াভাবে
এছাড়াও কিছু বিস্তারিত দেওয়া হল এগুলো অনুসরণ করলে আপনি একটু ভালো ফলাফল পেতে
পারেন। প্রথমত আপনি ঘরোয়া উপাদান দিয়ে চেষ্টা করবেন। এছাড়াও যারা ঘরোয়া
উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করার সময় পান না তাদের জন্য কিছু ক্রিমের নাম বলা
হয়েছে যেগুলা ব্যবহার করতে পারেন।
এরপরে বলা হয়েছে ডাক্তারি পরামর্শ কিছু কিছু দাগ বা স্পট আছে কোনভাবেই দূর
হচ্ছে না তাই তাদের জন্য অবশ্যই ডাক্তারে পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ সেখানে
ফিজিক্যালি অনেক ট্রিটমেন্ট করা হয় যার ফলশ্রুতিতে আপনার আশানুরুপ সুন্দর ঠোঁট
পেতে পারেন। আবার যদি কেউ মনে করেন বিউটি পার্লারে ও ফেসিয়াল এর মাধ্যমে এই
সমস্যা গুলো দূর করতে পারেন তবে এগুলো করার জন্য একটু অর্থের প্রয়োজন
পড়বে।
সর্বোপরি যেটা বলতে চাচ্ছি আমার নিজেও এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া উপাদান
ব্যবহার করে থাকি এবং এখান থেকেই আশানুরূপ ফল পেয়ে যাই। আপনারা যারা আমার
আর্টিকেল টি পরেছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আমার আর্টিকেলটি পরে যদি ভালো লাগে
তাহলে দয়া করে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তী আপডেট জানতে
শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকবেন। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি
হলে ক্ষমা করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url