কাঁঠাল ও কাঁঠালের বিচির গুনাগুন, উপকারিতা ও অপকারিতা দেখুন

কাঁঠাল কাঁঠালের বিচির গুনাগুন উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলটির মধ্যে কাঁচা কাঁঠাল ও পাকা কাঁঠাল এবং কাঁঠালের বিচির সকল উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

কাঁঠাল-খাওয়ার-উপকারিতা-কি

কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন সহ বিভিন্ন উপাদান এই কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে। কাঁঠাল আমাদের শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক উপকারী একটি ফল। তাই চলুন কাঠালের যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করি। 

সূচিপত্রঃ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি 

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি 

বাংলাদেশের জাতীয় ফল হলো কাঁঠাল। সাইজে অনেকটা বড় এবং খেতেও অনেক সুস্বাদু। এই ফলটির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন জিংক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, থায়ামিন, আয়রন ইত্যাদি।এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলটি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকেন।এছাড়া কাঁঠাল খাওয়ার ফলে উপকারে তার পাশাপাশি কিছু অপকার রয়েছে। 
তাই আপনাকে কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা জানার সাথে সাথে অপকারিতার বিষয় ও ধারণা রাখতে হবে। কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের সর্দি-কাশি কে খুব দ্রুত নিরাময় করতে সহায়তা করে। কাঁঠালের মধ্যে কি কি উপকারিতা রয়েছে চলুন সেগুলো আলোচনা করা যাক।
  • চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করেঃ কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি যা খাওয়ার ফলে আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আমাদের দাঁতের মাড়িকে মজবুত করে। 
  • শরীরে হাড় গঠনঃ কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও ম্যাঙ্গানিজ। যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের হাড় গঠন করতে সহায়তা করে থাকে কাঁঠাল।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ কাঁঠালের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকার কারণে আমাদের উচ্চ রক্তচাপ হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে কাঁঠাল।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কাঁঠালের মধ্যে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকার কারণে আমাদের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটা খুবই একটি কার্যকরী বিষয় যারা ডায়েট করে তাদের জন্য।
  • হজমের সমস্যা দূর করেঃ যাদের বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে এছাড়া মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে তাদের জন্য খুবই একটি ভালো খাবার হলো কাঁঠাল। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কাঁঠাল হলো আঁশ জাতীয় খাবার এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের দীর্ঘদিন ধরে থাকা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • শিশুর জন্য উপকারঃ শিশুর বয়স যখন ছয় মাস থেকে দশ মাস হয়ে যায় তখন দুধের পাশাপাশি চাইলে কাঁঠালের রস করে খাওয়ালে অনেক ধরনের ঘাটতি পূরণ হয়। এবং এখান থেকে অনেক পুষ্টি পাওয়া পায়। 
  • কাঁঠালের মধ্যে আমিসের পরিমাণ বেশি রয়েছে যার ফলে এই খাবারটি খাওয়ার ফলে হজম হতে একটু সময় লেগে যেতে পারে।

কাঁঠালের কিছু ক্ষতিকর দিক জানুন

আপনারা যারা কাঁঠালের উপকারিতার পাশাপাশি এর কোন ক্ষতিকর দিক আছে কিনা সেটা জানতে চেয়েছি লে তাই আর্টিকেলটির মধ্যে এখন আলোচনা করা হবে কাঁঠাল খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক। প্রতিটা ভালো জিনিসের পেছনেই কিছু মন্দ জিনিস থাকে ঠিক তেমনি ভাবে উপকারী এবং সুস্বাদু ফল যা কম বেশি অনেকেই পছন্দ করে থাকেন। 

কিন্তু এই ফলের মধ্যেও কিছু অপকারিতা রয়েছে যা আপনার আমার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। কারণ এর ক্ষতিকর দিকগুলো যদি আমরা না জানি তাহলে দেখা যাবে কোন এক সময় অতিরিক্ত কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের কিছু সমস্যা দেখা দিবে। তাই চলুন আর বেশি কথা না বলে কাঁঠালের কিছু ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে আসি।
  • ডায়াবেটিসের সমস্যাঃ আমরা সকলেই জানি যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের অনেক খাবারই পরিহার করে চলতে হয়। ঠিক তার মধ্যে কাঁঠাল একটি খাবার যা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য না খাওয়াই বেশি ভালো। কারণ কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে গ্লাইসেমিকের পরিমাণ অনেক বেশি যা খাওয়ার ফলে শরীরের সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করে আক্রান্ত করে তোলে।
  • এলার্জির সমস্যাঃ কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে পোলেন এবং ল্যাট্রিক্স যা খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারেন। যাদের শরীরে অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কাঁঠাল পরিহার করে চলায় বেশি ভালো হবে।
  • সার্জারির পরে কাঁঠাল খেলে সমস্যাঃ সার্জারির পরে সকলেরই অনেক ধরনের ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। এই ওষুধগুলো খাওয়ার সাথে কেউ যদি কাঁঠাল খায় তাহলে এক ধরনের বিক্রিয়া সৃষ্টি হবে এবং এর ফলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।
  • গর্ভাবস্থায় সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খেলে খুব একটা বেশি সমস্যা হয় না তবে যদি কেউ প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত কাঁঠাল খেয়ে থাকে তাহলে কিছু সমস্যা হতে পারে।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ যেহেতু কাঁঠালের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং আঁশ জাতীয় খাবার হওয়ার কারণে এটি হজম হতে একটু বেশি সময় লাগে। ঠিক এ কারণেই কিছু মানুষের এই খাবারটি খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • ডায়রিয়ার সমস্যাঃ অতিরিক্ত কাঁঠাল খাওয়ার পরে অনেকেরই দেখা যায় যে ডায়রিয়ার সমস্যা হচ্ছে।কারণ এটা সকলেরই পেটের সহজে হজম হতে চায় না যার ফলে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। 

কাঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা 

কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের যেমন অনেক উপকার হয়ে থাকে ঠিক তেমনি ভাবে কাঁঠালের বিচি খাওয়ার ফলেও আমাদের শরীরে অনেক উপকার হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা কাঁঠালের বেশি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য কাঁঠালের বিচি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।
  • কাঁঠালের বিচিতে আয়রনের একটি বড় উৎস রয়েছে। যা খাওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন রোগ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে এবং ঝুঁকি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়া কাঁঠালের বিচি খাওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক রাখে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা দূর করে।
  • কাঁঠালের বিচির মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের জমে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে বের করে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
  • কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে বৃদ্ধি করে।
  • ত্বক ভালো রাখার জন্য কাঁঠালের বিচি টেস্ট করে দুধের সাথে মিশিয়ে তোকে লাগানোর ফলে ত্বক টানটান থাকে এবং বয়সের ছাপ কমিয়ে আনে। 
  • কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা খাওয়ার ফলে আমাদের পেশি শক্তিসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • কাঁঠালের বিচি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। 
  • কাঁঠালের বিচি খাওয়ার ফলে বদহজম দূর করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সে সমস্যা কে ও দূর করে। 

কাঁঠালের বিচি খাওয়ার নিয়ম

আপনারা অনেকেই কাঁঠালের বিচি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। কাঁঠালের বিচি অনেক রকম ভাবেই খাওয়া যায়। কোন উপায়ে খাওয়ার ফলে আপনি দেশি উপকার এবং স্বাদ পেতে পারেন সেই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা করব। কাঁঠালের বিচি মূলত তরকারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কেউ সবজিতে কাঁঠালের বিচি মিশিয়ে খেতে পছন্দ করে। 
আবার অনেকেই আছে কাঁঠালের বেশি কুচি কুচি করে কেটে ছোট মাছ দিয়ে ভুনা করে খেতে পছন্দ করে। এছাড়া গ্রাম অঞ্চলের দিকে দেখা যায় কাঁঠালের বিচি কড়াইতে তেল ছাড়া ভাজি করে খেতে। এটা মূলত ভাজি করার কারণে একটু সেদ্ধ হয়ে যায় এবং এটা খেতে অনেকটা মিষ্টি এবং সুস্বাদু লাগে।আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হল কাঁঠালের বিচিকে শিল পাটায় ভর্তা করে খেতে এটা অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি যা ছোট বড় অনেকেই পছন্দ করে থাকে। 

এছাড়া আপনি কাঁঠালের বেশি আপনার ত্বকের ব্যবহারে লাগাতে পারবেন। কাঁঠাল যেমন আমাদের অনেক উপকারে আসে ঠিক তেমনি ভাবে কাঁঠালের বিচি ও কিন্তু আমাদের অনেক উপকারে আসে।তাই এখন থেকে আর কাঁঠালের বিচি কেউ ফেলে দিবেন না বা নষ্ট করবেন না এটি খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন এতে করে আপনার শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ হবে। 

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

বছরের  বসন্ত ও গ্রীষ্মের শুরুর দিকে ব্যাপক পরিমাণে কাঁঠাল বাজারে পাওয়া যায়। এই কাঁঠাল কিনতেও খুব সহজলভ্য দাম। তাই ছোট বড় অর্থাৎ ধনী গরিব সকলেই এই ফলটি খেতে পারে। কাঁঠালের সাইজ বেশ অনেকটাই বড় হয়ে থাকে। অনেকেই এই ফলটি পছন্দ করে থাকে আবার অনেকেই আমার মত আছে যারা কাঁঠালের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। 
কাঁঠাল-খাওয়ার-উপকারিতা-কি
কাঁঠালের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিক থাকার পরেও কাঁঠালের বেশ কিছু পুষ্টিগুণে ও রয়েছে। এখন আমরা জানবো কাঁঠালের মধ্যে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে। আপনারা যারা কাঁঠালের উপকারিতা এবং অপকারিতা জানার পাশাপাশি কাঁঠালের পুষ্টি নিয়েও জানতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য এই আর্টিকেল।তাহলে চলুন কাঁঠালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করি।
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন সি
  • ক্যালোরি
  • আয়রন
  • প্রিবায়োটিক 
  • ইনফ্লেমেটরি
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট
  • ক্যালসিয়াম
  • পটাশিয়াম
  • ফাইবার
  • খনিজ
  • আমিষ
  • শর্করা
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ম্যাঙ্গানিজ

গর্ভাবস্থায় কাঁঠাল খেলে কি হয়

কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের শরীরের জন্য কাঁচা কাঁঠাল খুবই উপকারী। কারণ কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, আইরন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যালসিয়াম সহ বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। টাকা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে যেমন আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয় ঠিক তেমনি ভাবে কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকার হয় চলুন দেখা যাক।
  • কাঁচা কাঁঠালের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের ক্যান্সার এবং টিউমার প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • কাঁঠালের মধ্যে থাকা সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স কে নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে আমাদের হার্টকে ভালো রাখে।
  • যেহেতু কাঁঠালের মধ্যে ফাইবার যুক্ত রয়েছে তাই কাঁঠাল খাওয়ার ফলে আমাদের পেটকে পরিষ্কার রাখে এবং পেটের নানা সমস্যা হওয়া থেকে দূরে রাখে।
  • কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে বি ক্যারোটিন যা খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ভিতর থেকে একটা উজ্জ্বল ভাব তৈরি করে।
  • কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে তা দূর করে। 

কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম

আমরা ইতিমধ্যে কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনেছি। এছাড়াও কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার ফলে কি কি উপকার হতে পারে সেগুলো জেনেছি। এবার জানবো কাঁচা কাঁঠাল আমরা কিভাবে খেতে পারি। এর আগে বর্ণনা করা হয়েছে কাঁঠালের বিচি খাওয়ার নিয়ম। কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো এবং উপযোগী পদ্ধতি হলো কাঁঠালের ভাজি খাওয়া। 

এটা গ্রামে বা শহরে সব জায়গাতে প্রচলন রয়েছে। অনেকেই রয়েছে যারা কাঁচা কাঁঠালের ভাজি খেতে পছন্দ করে। গ্রামের দিকে দেখা যায় গ্রীষ্মের সময় ঝড় বৃষ্টিতে কাঁচা কাঁঠাল গাছ থেকে পড়ে যায়। তখন সেই কাঁঠাল কুরে এনে ভাজি করে খাওয়া হয়। আর শহরের দিকে কাঁচা কাঁঠাল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। তাই খুব সহজেই হাতের নাগালে পাওয়ার কারণে এবং দামও কম থাকার কারণে অনেকেই চাহিদা পূরণ করতে পারে। 

পাকা কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম

পাকা কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম বলতে আলাদা করে তেমন কোন বিশেষ নিয়ম নেই। তবে আপনাকে কাঁঠাল খাওয়ার আগে কাঁঠাল কিভাবে তুলতে হয় সেটা ভালো করে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি না জানেন এবং কাঁঠাল তুলতে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ কাঁঠালে রয়েছে এমন এক ধরনের আঠা যা আপনার হাতে এবং ত্বকে লেগে যাবে এবং তুলতে অনেক কষ্ট হবে। 

তাই কাঁঠাল খাওয়ার আগে কাঁঠাল তোলার জন্য যে প্রস্তুতি নিতে হয় সেটা জানান। কাঁঠাল তোলার জন্য অবশ্যই আপনার দুই হাতে ভালোভাবে সরিষার তেল মেখে নিবেন এরপরে কাঁঠাল তুলবেন। এতে করে কাঁঠালের আঠা আপনার তেলের উপর দিয়ে লাগবে যা তোলার সময় অনেক সহজেই উঠে যাবে। টাকা কাঁঠাল অনেকেই মুড়ির সাথে খেতে পছন্দ করে। 

আবার গ্রামের দিকে কিছু মানুষ আছে যারা পান্তার সাথে কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। এছাড়া অনেকেই কাঁঠাল দিয়ে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করে। আবার কাঁঠালের জুস করে খুব সহজেই বাচ্চাদের খাওয়ানো যায়। তো এই ছিল মোটামুটি পাকা কাঁঠাল খাওয়ার নিয়ম। আপনি আপনার পছন্দমত খেতে পারেন। কিন্তু মনে করে কাঁঠাল তোলার আগে হাতে তেল মেখে নিবেন।

কাঁঠাল খেলে কি ওজন বাড়ে

আপনাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে যে পাকা কাঁঠাল খেতে অতিরিক্ত মিষ্টি হয়। এর ফলে হয়তো পাকা কাঁঠাল খেলে আপনি মোটা হয়ে যাবেন বা আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। তাই চলুন আপনার প্রশ্নের সমাধান করে আসি। যদিও কাঁঠালে অনেক পোষ্টের গুনাগুন রয়েছে কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা একদমই শূন্য। তাই যারা মনে করেন কাঁঠাল খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
যেহেতু কাঁঠালের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা শূণ্য তাই স্বাস্থ্যর জন্য কোন সমস্যা নেই এবং যেকোনো বয়সের মানুষই এই ফলটি খেতে পারেন। কাঁঠালের শক্তির অনেক ভালো উৎস রয়েছে এবং এর মধ্যে সরকার আর পরিমাণ অনেক বেশি আছে এবং চর্বির পরিমাণ কম থাকার কারণে এই ফলটি খাওয়ার পরেও ওজন বৃদ্ধি নিয়ে কোন আশঙ্কা নেই। 

ডায়াবেটিস রোগীরা কি কাঁঠাল খাবে

যাদের শরীরের ডায়াবেটিস নামক সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কাঁঠাল খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ কাঁঠাল অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ার ফলে বোঝাই যাচ্ছে কাঁঠালের মধ্যে সুগারের পরিমাণ অনেক বেশি। এ কারণেই দেখা যাবে অনেকে কাঁঠাল খাওয়ার পরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার করতে পারেন। 
কাঁঠাল-খাওয়ার-উপকারিতা-কি
কারণ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য সুগারের মাত্রা বেশি থাকা খাবারগুলো খাওয়া একদমই উচিত নয়।এই সময়টাতে ডায়াবেটিসের রোগীরা অনেক ধরনের খাবারই পরিহার করে থাকে।ঠিক তেমনিভাবে তাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে কাঁঠাল। তাই আপনি যদি কাঁঠাল খেতেও চান অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। 

উপসংহারঃ কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা কি 

উপরে উল্লেখিত কাঁঠাল ও কাঁঠালের বিচি সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা হয়তো বুঝে গেছেন যে কাঁঠাল আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।

উপরে আলোচনার মধ্যে রয়েছে কাঁঠালের উপকারিতা অপকারিতা, কাঁঠালের বিচি উপকারিতা, কাঁচা কাঁঠাল এবং পাকা কাঁঠালের উপকারিতা, এছাড়া কাঁঠালের মধ্যে থাকা সকল পুষ্টিগুণ, এবং কাঁঠাল খেলে ওজন বাড়ে নাকি কমে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁঠাল খাওয়া কতটা নিরাপদ এ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

এছাড়া আপনি যে বিষয় নিয়ে জানতে চাচ্ছেন সেটা যদি আমার আর্টিকেলটির মধ্যে লেখা না থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্য করে যাবেন। এতে করে আমি আপনাকে রিপ্লাই দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব।আমার লেখা আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে সাবস্ক্রাইব করে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url