কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস থেকে বিস্তারিত জানুন

প্রত্যেক মুসলমানেরই উচিত কিয়ামত দিবস সম্পর্কে ধারণা রাখা। কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে এবং কিভাবে হবে তার বেশ কিছু আলামত রয়েছে কুরআন ও হাদিসে। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কিয়ামত দিবসকে বিশ্বাস করা এবং সেই মহাপ্রলয় কে ভয় করার মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগীতে নিজেকে সঠিক পথে পরিচালনা করা। 

কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই

আমরা সকলেই বিশ্বাস করি যে একদিন কেয়ামত হবে এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে আর সেই দিন আমাদের প্রত্যেকের হিসাব নিকাশ নেওয়া হবে। তার সাথে যারা ভাল আমল করেছে তারা জান্নাতে যাবে আর যারা বিপথে চলেছে তারা জাহান্নামে যাবে তো চলুন আজকে কিয়ামতের কি কি আলামত রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

সূচিপত্রঃ  কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই

 কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই

১৪০০ বছর আগে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে কিছু বর্ণনা দিয়ে গেছে। মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ তাকে অনেক ক্ষমতা দিবেন। তার নির্দেশক্রমে বৃদ্ধি হবে মাটিতে ঘাস উৎপন্ন হবে প্রাণী সুস্বাস্থ্য ওসবল হবে তাদের দুধ বৃদ্ধি পাবে পৃথিবীকে নির্দেশ দিলে সে তার ধনভান্ডার কে উন্মুক্ত করে দিবেন। চারিদিকে ঝড় বয়ে যাবে আগুনের গোলা যে আসবে গাড়ি বাড়ি সকল কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যাবে। 

এমন এক মহাপ্রলয় শুরু হবে যে মানুষ নিজেকে বাঁচাতে এদিক থেকে অধিক ছোটাছুটি করতে থাকবে কিন্তু কোনভাবেই সে বাঁচতে পারবে না। কবর থেকে মৃত মানুষ উঠে আসবে এভাবেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। যাদের ঈমান দুর্বল তারা ভয়ে নাফরমানি কাজ করবেন এবং ভন্ড লোকদের অনুসারী হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে একত্রে করা হবে এবং হিসাব নিকাশের ফলে যারা দুনিয়াতে ভালো কাজ করেছে ঈমানদার ব্যক্তি ছিল তারা জান্নাতে যাবে। 

আর যারা ক্ষমতার দাপটে দুনিয়ার বুকে অন্ধ হয়ে নাফরমানী কাজ করেছে তাদের জন্য জাহান্নামের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলবে সেখানেই তাদের নিক্ষেপ করা হবে। কিয়ামত কখন সংগঠিত হবে কিভাবে হবে এটা কেউ বলতে পারবে না একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন এই বিষয়ে। তবে আমাদের নবী কিছু আলামত বলে গেছেন যেগুলা দেখলে বুঝা যাবে কেয়ামত অতি নিকটে। 

কেয়ামতের ১০ টি বড় আলামত দেখুন 

কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে বেশ কয়েকটি বড় আলামতের ইঙ্গিত আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বলেছেন এই আলামত গুলো যখন তোমাদের মাঝে দেখা দিবে তখন তোমরা বুঝে নিবে কিয়ামত বেশি দূরে নয় বরং তোমার নিকটে। তাই সকলেরই উচিত কিয়ামতের বড় আলামত সম্পর্কে কেন রাখা তো চলুন দশটি আলামত সম্পর্কে আলোচনা করা যাক:

১. পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠা : যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে সেই দিন সূর্য পূর্ব দিক থেকে না উঠে পশ্চিম দিক থেকে উঠবে এটা কিয়ামতের একটি বড় আলামত। 

২. দাজ্জাল আগমন : কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে দাজ্জাল আগমন করবেন। দাজ্জালের চেহারা হবে ভয়ঙ্কর তার কপালে থাকবে একটি চোখ যা দেখে সবাই ভয় পেয়ে তার কথা শুনে চলবে আর ঈমান হারা হয়ে যাবে। 

৩. তিনটি বড় ভূমিকম্প : কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে তিনটি অনেক বড় বড় ভূমিকম্প হবে যেখান থেকে মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা একটি কিয়ামতের আলামত। 

৪. ইয়াজুজ - মাজুজ এর আগমন আচ্ছা : কিয়ামতের বড় আলামতের একটি হলো ইয়াজুজ আগমন করবে এবং মানুষকে পথভ্রষ্ট করবে।  

৫. ইমাম মাহদীর আগমন : ইমাম মাহদী আলাইহিস সাল্লাম কিয়ামতের পূর্বে আগমন করবে। তার আগমনে পৃথিবীতে একটি বড় যুদ্ধ হবে বিধর্মী মুশরিকদের সাথে। যে যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয় লাভ করবে।

৬. ঈসা (আ:) এর আগমন : বলা হয় যে ঈসা আলাইহি সাল্লামকে আসমানে উঠে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে কিয়ামতের পূর্বে দুনিয়ায় পাঠানো হবে এবং তার পরেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। 

৭. জমিন থেকে একটি বড় জন্তুর বের হয়ে আসবে। 
৮. কালো ধোঁয়া বের হবে। 
৯. দাব্বাতুল আরদ একটি প্রানির আবির্ভাব দেখা দিবে।
১০. সবশেষে ইয়েমেন থেকে হাশরের ময়দানের দিকে উত্থিত তারনাকারী বের হবে হযরত  

কেয়ামতের ছোট আলামত সমূহ

কিয়ামতের আলামত বলতে দুই ধরনের আলামত কে বুঝায় কবিরা ও সগিরা আলামত। অর্থাৎ কেয়ামতের বড় আলামত ও ছোট আলামত। কিয়ামতের ছোট আলামত হলো সেইগুলো যা কিয়ামতের পূর্বেই দেখা দিবে। আর কিয়ামতের ছোট আলামতগুলো অনেক বেশি যেগুলা আমাদের বর্তমান সময়ে এখনই আমরা দেখতে পাচ্ছি তো চলুন কেয়ামতের ছোট আলামত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি:
  • রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন। 
  • রাসুল সাঃ এর ওফাত। 
  • তার আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া। 
  • সাহাবাগণের বিদায়। 
  • বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়। 
  • দুইটি প্রলয়ংকারী মহামারী দেখা দেওয়া। 
  • নানা ধরনের কিতনা ফাসাদ বৃদ্ধি পাওয়া। 
  • সিফফিনের যুদ্ধ হওয়া। 
  • খারেজিদের আত্মপ্রকাশ পাওয়া। 
  • ৩০ জন নবুওয়াতের দাবিদার অর্থাৎ ভন্ড নবুওয়াতের দাবি।
  • সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাওয়া ও দূরদূরান্ত পাড়ি দেওয়া সহজ হয়ে যাবে। 
  • হিজাজ থেকে আগ্নেয়গিরি প্রকাশ পাওয়া। 
  • মুসলমানদের সঙ্গে তুর্কিদের যুদ্ধ হওয়া।
  • জুলুম অত্যাচার লোকেদের মাঝে বেড়ে যাওয়া। 
  • খুন - খারাবি বেড়ে যাওয়া। 
  • মানুষের অন্তর থেকে আমানত উঠে যাবে। 
  • ইহুদিদের অনুকরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। 
  • ক্রীতদাসের গর্ভ থেকে মালিকের জন্ম হবে। 
  • স্বল্প বসনা নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। 
  • ছাগলের রাখাল নগ্ন পদের লোকেরা বস্ত্র বঞ্চিতরা  অট্টালিকা হারাবে।
  • চেনা জানা বিশিষ্ট লোকদের সালাম দেওয়ার। 
  • ব্যবসায় ব্যাপক বিস্তার করবে। 
  • সুদ, ঘোষ,  ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া। 
  • গান-বাজনা বৃদ্ধি পাওয়া। 
  • এতিমের সম্পদ মেরে খাওয়া। 
  • মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে সত্যকে গোপন করা বেড়ে যাবে। 
  • মূর্খতা বৃদ্ধি পাবে। 
  • যোগ্য চেয়ারে অযোগ্য ব্যক্তি বসবে। 
  • মানুষের অন্তরে হিংসা অহংকার বেড়ে যাবে। 
  • প্রতিবেশীর হক মেরে খাবে। 
  • আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নতার প্রবণতা বাড়বে।
  • সমাজের ভালো মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। 
  • আমানতকে গনিমতের সম্পদ ভেবে ভোগ করা হবে। 
  • যাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে। 
  • পার্থিব উদ্দেশ্যে এলেম শিখবে। 
  • মানুষ স্ত্রীর কথা শুনবে মায়ের কথা শুনবে না।
  • সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিরা সমাজে নেতৃত্ব দিবে।
  • পুরুষের জন্য রেশম কাপড় কে হালাল মনে করা হবে। 
  • মদ খাওয়া কে বৈধ মনে করা হবে। 
  • মৃত্যু কামনা বেড়ে যাবে। 
  • সকালের মমিন বিকালে কাফের এবং বিকালের কাছের সকাল না হতেই ঈমানদার হয়ে যাবে। 
  • মসজিদগুলোতে অতিরিক্ত সাজসজ্জা করা হবে কিন্তু সেখানে হবে তিনি এলেম শূন্য।
  • বেশি বেশি বজ্রপাত হবে। 
  • মানুষ কুরআন বিমুখ হয়ে যাবে এবং অন্য বইয়ের কদর বিস্তার পাবে।
  • সমাজে কারি ফকির ওএলএম কমে যাবে। 
  • হঠাৎ মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। 
  • অল্প বুদ্ধির লোকেরা জাতির মুখপাত্র হবে। 
  • মসজিদকে রাস্তায় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। 
  • মানুষ ইমামতি করতে চাইবে না।  
কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই

কেয়ামতের আলামত নিয়ে রাসুল (সাঃ) এর ভবিষৎবাণী 

কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে রাসূল সাঃ এর ভবিষ্যৎবাণী একটি বই আছে সেখান থেকে কিছু কথা উল্লেখ করা হলো। মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহতালা প্রচুর ধনসম্পদ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিবে। আল্লাহর নির্দেশক্রমে বৃদ্ধি হবে, মাটিতে ঘাস উৎপন্ন হবে, প্রাণীর সুস্বাস্থ্য ও সবল হবে, তাদের দুধ বৃদ্ধি পাবে, পৃথিবীতে নির্দেশ দিলে সে তার ধনভান্ডার কে উন্মুক্ত করে দিবে। 
দুর্ভিক্ষের নির্দেশ দিলে আবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে চরম আকারে। মানুষকে হত্যার পরে আবার জীবিত হওয়ার নির্দেশ দিলে সে জীবিত হয়ে উঠবে। এভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করানোর পর সে মানুষের নিকট দাবি করবে যে আমি তোমাদের প্রভু (নাউজুবিল্লাহ)। অসংখ্য দুর্বল মানুষ আছে যারা অস্বাভাবিক ক্ষমতা দেখার পর নিজেদের ঈমান হারা হয়ে যাবে এবং তাকে স্বীয় প্রভু বলে মেনে চলবে। 

নবী বলেন,  তাদের জন্য জান্নাত জাহান্নাম দুইটাই থাকবে সঠিক পথ অনুসারীদেরকে  জান্নাতে পাঠাবে আর নাফরমানীদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। একটি হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যে দাজ্জালের জাহান্নাম ঠান্ডা এবং মিষ্টি পানি হবে অতএব ওই অবস্থা দৃশ্য যারা দুর্বল হয়ে যাবে তাদের উচিত তার জাহান্নামে প্রবেশ করা। কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে এরকম তথ্য পাওয়ার জন্য শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন। 

কুরআন হাদিসের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদির আগমন 

একটি হাদিসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, রোমিয়রা আমার পরিবারের এক শাসনকর্তার সাথে চুক্তিবদ্ধে আবদ্ধ হবে। আর সেই নাম হবে আমার নামের। এরপর তারা আমাক নামক জায়গায় যুদ্ধ শুরু করবে। মুসলমান সৈন্যদের এক তৃতীয় অংশ অথবা এর কাছাকাছি সৈন্যরা শহীদ হয়ে যাবে। 

এরপর দ্বিতীয় দিনের যুদ্ধে ও এরকম পরিমাণে সৈন্য শহীদ হবে। তৃতীয় দিন মুসলমানরা মোর ঘুরিয়ে দিবে অর্থাৎ রোমীয়দের আক্রমণ করবে। এভাবে যুদ্ধ চলতে থাকবে তারপর মুসলমানরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। এরপর তারা যখন ঢাল ভরে গনিমতের মাল বন্টনে ব্যাপৃত থাকবে, তখন এক ঘোষক চিৎকার করে ঘোষনা করবে, দাজ্জাল তোমাদের সন্তান সন্তনিদেরকে ধংস করবে। 

কেয়ামতের আলামত জানতে পড়ুন "আলামত বইটি"

হাদিসে কিয়ামতের প্রাথমিকভাবে যেসব আলামতের কথা আলোচনা হয়েছে তার প্রায় সবই বর্তমান যুগে দৃশ্যমান হচ্ছে। মানুষ দিন দিন অধিকারের আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হচ্ছে গুনাহের কাজ বেশি বেশি করছে। আবার এমনও কিছু লোক আছে যারা কিয়ামতের বড় আলামত চেয়ে অস্বীকার করে নাফরমানি করছে। দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজের আবির্ভাব এবং ঈসা আলাইহিস সাল্লামের আগমনকে অস্বীকার করছে। 

এদের এই অস্বীকারের কারণে তাদের ঈমান হারা হয়ে যাচ্ছে এবং নিশ্চিত জাহান্নাম কিনে নিচ্ছে। বর্তমান সময়ের এই সকল সংক্রান্ত দলিল ভিত্তিক অগ্রহণযোগ্য হলো বই কিয়ামত গ্রন্থটি। এ বই পাঠিয়ে পাপাচারের আঁধারে ঢেকে যাওয়া পৃথিবীর অধিবাসীরা কিয়ামতের ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারবে। তারা সচেতন ও আখেরাতমুখী হতে পারবে এবং সঠিক পথ বেছে নিয়ে চলতে পারবে। 

এই বই পাঠের মাধ্যমে তারা জানতে পারবে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে ইমাম মাহদী ও দাজ্জাল সম্পর্কে আমাদের আগে কি হবে ইয়াজুজ মাজুজের প্রাচীর এবং ঈসা আঃ সালামের আগমনের সকল তথ্যই এ বইয়ের মাধ্যমে দেওয়া থাকবে। এ বইয়ের সাতটি সিরিজ রয়েছে প্রথম সিরিজে কিয়ামতের আলামত ঘটনা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে। দ্বিতীয় সিরিজ এ রয়েছে হাদিসের আলোকে কিয়ামতের আগে কি হবে সেই সম্পর্কে। 

সহি হাদিসের আলোকে মাহাদী আলাই সাল্লাম এর আগমন সম্পর্কে। চতুর্থ সিরিজ আছে ইয়াজুজ মাজুজ ও জুলকারনাইনের সম্পর্কে। পঞ্চম সিরিজে ঈসা (আ:) এর আগমন ষষ্ঠ সিরিজে দাজ্জাল ই ফেৎনা ও সপ্তম সিরিজে আছে বর্তমান যুগ সম্পর্কে। মোটকথা এটি কিয়ামতের ছোট বড় সকল নিদর্শন জান্নাত জাহান্নাম ঈসা আঃ, দাজ্জাল, ইয়াজুজ মাজুজ, সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই বইয়ের মাধ্যমে। 

কেয়ামতের আলামতে শেষ যুগের ভয়াবহ ফিতনা 

শেষ যুগে অর্থাৎ কিয়ামতের পূর্ব অবস্থাতে এমন সব ভয়াবহ ফিতনা সৃষ্টি হবে যে মানুষের মাঝে ক্রন্দন লেগেই থাকবে। কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে বর্ণনা করা আছে পৃথিবীর শেষ মুহূর্তে বা শেষ যুগে বিভিন্ন ছয়লাভ সংঘটিত হবে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মুসলিম উম্মাহ কে আষ্টেপিষ্টে ধরবে যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তবে এখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য কুরআন ও হাদিসে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা আছে যে সংকট মুহূর্তে কিভাবে একজন মুসলমান সঠিক পথে থাকবে। 

বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা আছে যার বাস্তবতা দেখতে গেলে মন গড়া এবং বানোয়াট। সামাজিক ঠিক না পারিবারিক ফেতনা অর্থনৈতিক দিক না অর্থনৈতিক ফেতনা প্রাকৃতিক ফিতনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতে হবে। অবশ্যই একজন মুসলিম হিসেবে কিয়ামতের শেষ দিনগুলোর ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানা উচিত এজন্য এই মুসলিমকে সঠিক তথ্য বের করে জানতে হবে। তাই সঠিক তথ্য পেতে শিখতে চাই ব্লগ ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। 

কেয়ামতের আলামত ফিতনা বিষয়ক বইসমূহ 

বর্তমান সময়ে এমনও অনেক মানুষ আছে যারা ভ্রান্ত ও মনগড়া ফতোয়া দিয়ে থাকেন কেয়ামতের আলামত সম্পর্কে। তাই জনসাধারণ মানুষ সঠিক জ্ঞান ধারণা থেকে দূরে পড়ে আছেন। ঠিক তাদের জন্যই যাদের সত্যটা জানার আগ্রহ রয়েছে এবং কিয়ামতের আলামত বিষয়ে ক্যান রাখার ইচ্ছা রয়েছে তাদের জন্য কিছু বইয়ের নাম বলা হচ্ছে যেন আপনারা এখান থেকে এই বইগুলো পড়ে সঠিক জ্ঞান নিতে পারেন তো চলুন নিচেকোন বইয়ের নাম গুলো উল্লেখ করা যাক: 
  • ফিতনার মর্মকথা। 
  • জমানোর শেষ দিনগুলো। 
  • রিসালাতুল মুস্তারশিদীন।
  • ফিতনার বজ্রধ্বনি। 
  • কিয়ামতের কতদূর। 
  • ইয়াজুজ মাজুজ। 
  • ফিতনার যুগে করণীয়। 
  • ফিতনা থেকে বাঁচুন। 
  • আল্লাহর বন্ধু ও শয়তানের বন্ধু। 
  • সমকালীন ফিতনা ও নবীজির ভবিষ্যৎবাণী। 
  • ধেয়ে আসছে ফিতনা। 
  • শয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয়। 
  • ইমাম মাহদী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমন। 
  • কিতাবুল ফিতান। 
যারা চাচ্ছেন ভালো মানের বই পড়ে নিজে কিছু জ্ঞান অর্জন করতে তারা অবশ্যই এখান থেকে একটা বইয়ের নাম বেঁচে নিয়ে বইটা কিনে পড়তে পারেন। এতে করে আপনার লাইফের অনেক পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন এবং সেটা যেন হয় ঈমানের পথে। এরকম আরো আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন সব সময় চেষ্টা করব সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। 

ইসলামে কিয়ামত ও বিচার দিবস 

ইসলামে বিচার দিবস বলতে বোঝানো হয়েছে কিয়ামত দিবসকে। যেদিন সমস্ত মানুষের দেহকে পুনরুত্থিত করা হবে এবং তাদের পার্থিব জীবনের কর্মকাণ্ড বিশ্বাসের জন্য সকল বিষয়ের জবাবদিহি করতে বলা হবে। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনের প্রধান বার্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে পুনরুত্থান ও বিচারকে ইসলামে পরকাল তত্ত্বের মূল দুটি বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিচারের দিন সব মুসলমানের জন্য এতিম মৌলিক বিশ্বাস হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এটি ইসলামের ছয়টি ঈমানের স্তম্ভের মধ্যেের একটি। 

এই দিনের সঙ্গে সকল পরীক্ষা সমূহ দুঃখ কষ্ট এবং বিস্তারিত বর্ণনা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। পরবর্তীতে এগুলোকে আরও ব্যাখ্যা করা হয়েছে আকিদা, তাফসির, ধর্মতাত্ত্বিক রচনা এবং পরকাল বিষয়ক গ্রন্থ কিয়ামতের দিনের ঘটনা বিস্তারিত বিষয়ে উপস্থাপন করা আছে। ইসলামিক পণ্ডিতরা অনেক ধরনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকেন যার মধ্যে ইমাম গাজ্জালী, ইমাম বুখারী, ইবনে কাসির, ইবনে মাজাহ, ইবনে তিরমিজি, ইবনে খুজাইমা প্রমুখ। এ সকল ব্যক্তিবর্গরা সব সময় চেষ্টা করেছেন ইসলামের বিষয়ে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরার।
কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই

লেখকের শেষকথাঃ  কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে হাদিস বই

নিশ্চয়ই কিয়ামত অতি নিকটে অথচ আমরা কত উদাসীন হয়ে গেছে। আল্লাহকে ভুলে গিয়ে দুনিয়াতে পাপের সাগরে ডুবে গেছি। ভ্রান্ত বিশ্বাস ভুল ধারণা মন গড়া কথা প্রচলিত অপব্যাখ্যায় কাল তো আমাদের অনেকেই। কিয়ামত সম্পর্কে শুদ্ধ জ্ঞান না থাকার কারণে অনেক মুসলমান আজ পথ হারিয়েছেন। ঈমান আমল ও আকিদা সব যেন হারাতে বসেছে আমাদের এই প্রজন্ম। 

মুসলিম জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমস্যার সমাধানে আল কুরআন হাদিসের আলোকে লেখা হয়েছে আলামত শেষ যুগের ভয়াবহতা সম্পর্কে। সকলেরই উচিত দুনিয়ার লোভে পড়ে ঈমান হারা না হয়ে পরকালের চিন্তা করা। কেননা এই জীবন আমাদের সংক্ষিপ্ত আর অনন্তকাল পড়ে রয়েছে সেই পরকালে। তাই সকলের উচিত সঠিক পথে চলে আসা এবং কুরআন ও হাদিস দ্বারা নিজের জীবনকে আলোকিত করা।

সর্বোপরি বলতে পারি অবশ্যই আপনারাও নিজের জীবনকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলেন আর আমার আর্টিকেল পড়ে নিজের কাছে ভালো লাগবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করুন এবং পরবর্তী নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি পেলে অবশ্যই আমাকে ক্ষমা করবেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url